তাহরির স্কয়ারে লাখো মানুষের সমাবেশ
মিসরের সেনা শাসকরা গতকাল শুক্রবার কামাল গানজুরিকে (৭৯) প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণা সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পরপরই বিক্ষোভকারীরা আবার কায়রোর তাহরির স্কয়ারে সমবেত হতে শুরু করেন। 'শেষ সুযোগের শুক্রবার'_ এ ঘোষণা দিয়ে আবারও ১০ লাখ মানুষের গণজমায়েতের আহ্বান জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তারা অবিলম্বে পার্লামেন্ট নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল তাহরির স্কয়ারে জুমার নামাজের পর এক বিশাল সমাবেশে ইমাম শেখ মাজহার শাহীন বলেন, মিসরের সামরিক বাহিনী বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে তাহরির স্কয়ার ছেড়ে কেউ যাবে না। এদিকে আল-আজহার মসজিদের প্রধান ইমাম তাহরির স্কয়ারের বিক্ষোভকারীদের সাফল্য কামনা করে গতকাল টিভিতে এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা অর্থনীতিবিদ কামাল গানজুরির নিয়োগের সমালোচনা করেন। তারা অভিযোগ করেন, কামাল গানজুরি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সহযোগী। তিনি মোবারকের শাসনামলে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল কায়রোতে কামাল গানজুরি বলেন, পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের চেয়ে তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় থেকে যেতে চান না।
সুহির নাদিম নামে এক বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অভিযোগ করে বলেন, ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতায়ির পর আমরা দ্বিতীয়বার মোবারকের পুরনো সহযোগীকে পেলাম।
আমরা নতুন প্রজন্মের কাউকে চাই। হুসেইন আমের (৪৪) নামে অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, গানজুরিকে নিয়োগ দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য আদায়ে আবার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা তাহরির স্কয়ার ছাড়তে পারি না।
কায়রোসহ সে দেশের বিভিন্ন শহরে শুরু হওয়া সামরিক সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে। সেনা সুপ্রিম কাউন্সিল জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ শেষে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মিসরজুড়ে নির্বাচন শুরু হবে।
সম্প্রতি তাহরির স্কয়ার এবং সে দেশের অন্যান্য শহরে ব্যাপক সেনা শাসনবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২০০ জন। তাহরির স্কয়ার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী সব রাস্তায় সেনাবাহিনী কংক্রিট ও ধাতব বস্তু দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করছে। এদিকে মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড দলটি তাহরির স্কয়ারে আয়োজিত সমাবেশের বিরোধিতা করেছে। কার্যত সোমবারের পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে জনমত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
যত শিগগির সম্ভব বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মিসরের ক্ষমতাসীন সামরিক শাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল আহরাম জানিয়েছে, গানজুরি নীতিগতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় পরিত্রাণ সরকার গঠন করতে সম্মত হয়েছেন। এর আগে তিনি সুপ্রিম কাউন্সিল প্রধান হুসেইন তানতায়ির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সহিংসতা ঠেকাতে যথাসম্ভব সব কিছু করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন সুপ্রিম কাউন্সিল। এক বিবৃতিতে তারা এ পর্যন্ত বিক্ষোভ-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য জেনারেল মামদু শাহীন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হবে সোমবার। চলবে সময়মতোই। আমরা নির্বাচনে দেরি করব না। এটাই শেষ কথা।
আরেক সদস্য মেজর জেনারেল মোক্তার আল মোল্লা তাহরির স্কয়ারে সমবেত বিক্ষোভকারীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের মতামতকেও আমাদের মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সোমবারের আগেই প্রধানমন্ত্রী এশাম শরফের মন্ত্রিসভার স্থলে নতুন একটি সরকার গঠন করতে চায়। সেনা সরকারবিরোধী সহিংসতা চলার কারণে মিসরের মন্ত্রিসভা এ সপ্তাহে পদত্যাগ করে।
তাহরির স্কয়ারের বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাত থেকে দু'পক্ষে সংঘর্ষ থেমেছে। রাত ১টা থেকে আর কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তবে বিক্ষোভকারীরা এখনও রাস্তা অবরোধ করে রাখার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী রাস্তা বন্ধ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে তাদের ওপর নজর রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে দেশের কয়েকটি জায়গায় সহিংসতা এখনও চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সুয়েজ খালের ইসমাইলিয়ার মতো শহরগুলোতে চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। এ জায়গাগুলোয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।
মিসরের সেনাবাহিনী নির্বাচন দিয়ে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেকেরই আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করবে। সে কারণেই পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে সামরিক শাসনের অবসান চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। তাছাড়া সামরিক শাসকরা সত্তরোর্ধ্ব কামাল গানজুরিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী করায় বিশেষত তরুণরা ক্ষুব্ধ। ফলে গানজুরিকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবারও বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশে সমবেত হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
সুহির নাদিম নামে এক বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অভিযোগ করে বলেন, ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতায়ির পর আমরা দ্বিতীয়বার মোবারকের পুরনো সহযোগীকে পেলাম।
আমরা নতুন প্রজন্মের কাউকে চাই। হুসেইন আমের (৪৪) নামে অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, গানজুরিকে নিয়োগ দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য আদায়ে আবার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা তাহরির স্কয়ার ছাড়তে পারি না।
কায়রোসহ সে দেশের বিভিন্ন শহরে শুরু হওয়া সামরিক সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে। সেনা সুপ্রিম কাউন্সিল জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ শেষে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মিসরজুড়ে নির্বাচন শুরু হবে।
সম্প্রতি তাহরির স্কয়ার এবং সে দেশের অন্যান্য শহরে ব্যাপক সেনা শাসনবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২০০ জন। তাহরির স্কয়ার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী সব রাস্তায় সেনাবাহিনী কংক্রিট ও ধাতব বস্তু দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করছে। এদিকে মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড দলটি তাহরির স্কয়ারে আয়োজিত সমাবেশের বিরোধিতা করেছে। কার্যত সোমবারের পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে জনমত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
যত শিগগির সম্ভব বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মিসরের ক্ষমতাসীন সামরিক শাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল আহরাম জানিয়েছে, গানজুরি নীতিগতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় পরিত্রাণ সরকার গঠন করতে সম্মত হয়েছেন। এর আগে তিনি সুপ্রিম কাউন্সিল প্রধান হুসেইন তানতায়ির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সহিংসতা ঠেকাতে যথাসম্ভব সব কিছু করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন সুপ্রিম কাউন্সিল। এক বিবৃতিতে তারা এ পর্যন্ত বিক্ষোভ-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য জেনারেল মামদু শাহীন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হবে সোমবার। চলবে সময়মতোই। আমরা নির্বাচনে দেরি করব না। এটাই শেষ কথা।
আরেক সদস্য মেজর জেনারেল মোক্তার আল মোল্লা তাহরির স্কয়ারে সমবেত বিক্ষোভকারীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের মতামতকেও আমাদের মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সোমবারের আগেই প্রধানমন্ত্রী এশাম শরফের মন্ত্রিসভার স্থলে নতুন একটি সরকার গঠন করতে চায়। সেনা সরকারবিরোধী সহিংসতা চলার কারণে মিসরের মন্ত্রিসভা এ সপ্তাহে পদত্যাগ করে।
তাহরির স্কয়ারের বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাত থেকে দু'পক্ষে সংঘর্ষ থেমেছে। রাত ১টা থেকে আর কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তবে বিক্ষোভকারীরা এখনও রাস্তা অবরোধ করে রাখার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী রাস্তা বন্ধ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে তাদের ওপর নজর রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে দেশের কয়েকটি জায়গায় সহিংসতা এখনও চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সুয়েজ খালের ইসমাইলিয়ার মতো শহরগুলোতে চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। এ জায়গাগুলোয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।
মিসরের সেনাবাহিনী নির্বাচন দিয়ে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেকেরই আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করবে। সে কারণেই পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে সামরিক শাসনের অবসান চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। তাছাড়া সামরিক শাসকরা সত্তরোর্ধ্ব কামাল গানজুরিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী করায় বিশেষত তরুণরা ক্ষুব্ধ। ফলে গানজুরিকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবারও বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশে সমবেত হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
No comments