বিএনপির নির্বাচন বয়কট-দলের পুরনো বিবাদ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন বয়কটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবি পূরণ না হলে এ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতারা। একই সঙ্গে এ দুটি দাবিতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুশিয়ারি এবং জনমত গঠনের কথাও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে কুসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুরনো বিবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য দুই মেয়র প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নেওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা টাউন হলের কনফারেন্স রুমে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবিতে জেলা বিএনপি আজ শনিবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাাবি না মানলে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অবশ্য ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েন করলে বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয়। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুসিক নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, প্রহসনের এ নির্বাচন জনগণ বর্জন করলে অনিবার্য পরিণতির দায়ভার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) নিতে হবে।
তিনি বলেন, ইভিএম সম্পর্কে জনগণ কিছু জানে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। এ পদ্ধতিতে পোলিং অফিসারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এক ব্যক্তি একের
অধিক যত
খুশি ভোট দিতে পারবে। তাই বিএনপি এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছে। ইয়াছিন জানান, ইভিএমের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচনে কারচুপি করা যায়, কীভাবে এক মিনিটে ১০০ ভোট দেওয়া সম্ভব তা প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখিয়ে ইভিএমবিরোধী জনমত সৃষ্টি করবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রাবেয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কোতোয়ালি থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আক্কাছ, শহর সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদল সভাপতি আমীরুজ্জামান আমীর, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রমুখ।
পুরনো বিবাদ মাথাচাড়া : কুসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুরনো বিবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য দুই মেয়র প্রার্থী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচন নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন।
জানা গেছে, আমিন উর রশিদ ইয়াছিন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত থাকলেও বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু কৌশলে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাগুলো, এমনকি শুক্রবার সকালের দলীয় সংবাদ সম্মেলনেও দেখা যায়নি তাকে। তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেবেন_ এমনটা শোনা যাচ্ছে।
এদিকে ঢাকায় দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে কুসিক নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি জরুরি সভা হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের সভায় তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত দুই প্রার্থীকে প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর ২৩ নভেম্বরের সভায় ইভিএম ব্যবহার করলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে_ এমন ইঙ্গিত দিয়ে দুই প্রার্থীকে ইভিএমবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বলা হয়।
জানতে চাইলে জেলা সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী সমকালকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির কেউই কুসিক নির্বাচনে অংশ নেবেন না। কেউ অংশ নিলে সেটা হবে দুঃখজনক। তিনি বলেন, মনিরুল হক সাক্কুও দলের চেয়ারপারসনকে এ বিষয়ে কথা দিয়ে এসেছেন। জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, মনিরুল হক সাক্কুর নির্বাচনী প্রচার চালানোর অভিযোগ তারাও শুনেছেন। আমিন উর রশিদ ইয়াছিন জানান, তিনি দলের বাইরে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
দলের একজন সহ-সভাপতি জানান, সাক্কু কুমিল্লার মেয়র ছিলেন। এখন তার সামনে একটি পথই খোলা। সেটা হচ্ছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। এ কারণেই হয়তো তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ইয়াছিন সংসদ সদস্য পদে লড়েছেন, ভবিষ্যতেও একই পদে লড়বেন।
তবে মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনী প্রচার থেকে তিনি বিরতই রয়েছেন। তার সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে তার অবস্থান কী হবে_ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই ঘোষণা এখনও আসেনি। এলে দেখা যাবে। সাক্কু এও বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারেন না তিনি। অন্যদিকে নির্বাচন করার জন্য তার ওপর জনগণের চাপ রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের মৃত্যুর পর জেলা বিএনপি দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দু'ভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মনিরুল হক সাক্কু। কোন্দলের কারণে বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে কুমিল্লা সদর আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে হয়েছিল। অবশ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমিন উর রশিদ ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পেলেও সামান্য ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ওয়ান-ইলেভেনের পর সাক্কু পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে রাবেয়া চৌধুরীকে সভাপতি ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
অন্যদিকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মনিরুল হক সাক্কু এলাকায় ফিরে এসে ২০০৯-এর ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় দফায় কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র হন। ১৬ মাস এ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগে দলীয় রাজনীতিতে আবারও নিজের অবস্থান শক্ত করে নেন তিনি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ দুই নেতার সম্পর্কের দূরত্ব অনেকটাই কমে এসেছিল। কুসিক নির্বাচন আবার তাদের দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব দুই-ই বাড়িয়ে দিয়েছে।
৫ কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক :কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, শুক্রবার আরও ৫ সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান, ৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী এমএ জলিল কেবল টিভিতে স্ক্রল দিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মোসাম্মৎ ঝর্ণা মাহমুদও একই কাজ করেছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম খন্দকারও প্রচারে কেবল টিভি ব্যবহার করেন। ওই তিন কাউন্সিলর প্রার্থীকেই সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ চিঠির অনুলিপি কেবল টিভি অপারেটরদেরও দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার আরও জানান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মাওলানা সেলিম খান হ্যান্ডমাইক দিয়ে প্রচার চালান। একই কাজ করেছেন একই ওয়ার্ডের আবাদ মিয়া। তিনি ফোল্ডার ছেপেও বিলি করেছেন। তাদের দু'জনকেও সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা টাউন হলের কনফারেন্স রুমে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবিতে জেলা বিএনপি আজ শনিবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাাবি না মানলে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অবশ্য ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েন করলে বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয়। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুসিক নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, প্রহসনের এ নির্বাচন জনগণ বর্জন করলে অনিবার্য পরিণতির দায়ভার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) নিতে হবে।
তিনি বলেন, ইভিএম সম্পর্কে জনগণ কিছু জানে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। এ পদ্ধতিতে পোলিং অফিসারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এক ব্যক্তি একের
অধিক যত
খুশি ভোট দিতে পারবে। তাই বিএনপি এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছে। ইয়াছিন জানান, ইভিএমের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচনে কারচুপি করা যায়, কীভাবে এক মিনিটে ১০০ ভোট দেওয়া সম্ভব তা প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখিয়ে ইভিএমবিরোধী জনমত সৃষ্টি করবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রাবেয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কোতোয়ালি থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আক্কাছ, শহর সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদল সভাপতি আমীরুজ্জামান আমীর, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রমুখ।
পুরনো বিবাদ মাথাচাড়া : কুসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুরনো বিবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য দুই মেয়র প্রার্থী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচন নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন।
জানা গেছে, আমিন উর রশিদ ইয়াছিন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত থাকলেও বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু কৌশলে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাগুলো, এমনকি শুক্রবার সকালের দলীয় সংবাদ সম্মেলনেও দেখা যায়নি তাকে। তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেবেন_ এমনটা শোনা যাচ্ছে।
এদিকে ঢাকায় দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে কুসিক নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি জরুরি সভা হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের সভায় তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত দুই প্রার্থীকে প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর ২৩ নভেম্বরের সভায় ইভিএম ব্যবহার করলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে_ এমন ইঙ্গিত দিয়ে দুই প্রার্থীকে ইভিএমবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বলা হয়।
জানতে চাইলে জেলা সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী সমকালকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির কেউই কুসিক নির্বাচনে অংশ নেবেন না। কেউ অংশ নিলে সেটা হবে দুঃখজনক। তিনি বলেন, মনিরুল হক সাক্কুও দলের চেয়ারপারসনকে এ বিষয়ে কথা দিয়ে এসেছেন। জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, মনিরুল হক সাক্কুর নির্বাচনী প্রচার চালানোর অভিযোগ তারাও শুনেছেন। আমিন উর রশিদ ইয়াছিন জানান, তিনি দলের বাইরে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
দলের একজন সহ-সভাপতি জানান, সাক্কু কুমিল্লার মেয়র ছিলেন। এখন তার সামনে একটি পথই খোলা। সেটা হচ্ছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। এ কারণেই হয়তো তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ইয়াছিন সংসদ সদস্য পদে লড়েছেন, ভবিষ্যতেও একই পদে লড়বেন।
তবে মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনী প্রচার থেকে তিনি বিরতই রয়েছেন। তার সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে তার অবস্থান কী হবে_ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই ঘোষণা এখনও আসেনি। এলে দেখা যাবে। সাক্কু এও বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারেন না তিনি। অন্যদিকে নির্বাচন করার জন্য তার ওপর জনগণের চাপ রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের মৃত্যুর পর জেলা বিএনপি দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দু'ভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মনিরুল হক সাক্কু। কোন্দলের কারণে বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে কুমিল্লা সদর আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে হয়েছিল। অবশ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমিন উর রশিদ ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পেলেও সামান্য ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ওয়ান-ইলেভেনের পর সাক্কু পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে রাবেয়া চৌধুরীকে সভাপতি ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
অন্যদিকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মনিরুল হক সাক্কু এলাকায় ফিরে এসে ২০০৯-এর ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় দফায় কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র হন। ১৬ মাস এ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগে দলীয় রাজনীতিতে আবারও নিজের অবস্থান শক্ত করে নেন তিনি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ দুই নেতার সম্পর্কের দূরত্ব অনেকটাই কমে এসেছিল। কুসিক নির্বাচন আবার তাদের দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব দুই-ই বাড়িয়ে দিয়েছে।
৫ কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক :কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, শুক্রবার আরও ৫ সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান, ৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী এমএ জলিল কেবল টিভিতে স্ক্রল দিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মোসাম্মৎ ঝর্ণা মাহমুদও একই কাজ করেছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম খন্দকারও প্রচারে কেবল টিভি ব্যবহার করেন। ওই তিন কাউন্সিলর প্রার্থীকেই সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ চিঠির অনুলিপি কেবল টিভি অপারেটরদেরও দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার আরও জানান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মাওলানা সেলিম খান হ্যান্ডমাইক দিয়ে প্রচার চালান। একই কাজ করেছেন একই ওয়ার্ডের আবাদ মিয়া। তিনি ফোল্ডার ছেপেও বিলি করেছেন। তাদের দু'জনকেও সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
No comments