বসুন্ধরার এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কারখানার উদ্বোধন মংলায়
দেশে সিলিন্ডারজাত এলপি গ্যাসের চাহিদা বিবেচনায় রেখে এর বাজার সম্প্রসারণ করতে চলেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। এ লক্ষ্যে মংলা সমুদ্রবন্দরের কাছে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স-সংলগ্ন সুন্দরবন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বয়ংক্রিয় সিলিন্ডার তৈরির কারখানা। গতকাল শুক্রবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
দেশ ও মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান গতকাল কারখানাটির শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় তিনি কারখানায় পৌঁছালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। তিনি ফিতা কেটে উদ্বোধন শেষে কারখানাটি ঘুরে দেখেন।
দেশে সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ এ ধরনের কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলায়েত হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপদেষ্টা (তথ্য ও গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাহাবুব উজ জামানসহ বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা অত্যাধুনিক এই কারখানায় মাসে এক লাখ সিলিন্ডার তৈরি করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে মাসে প্রায় ১৬ লাখ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে বাজারজাত করা যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কারখানায় প্রতি শিফটে সাড়ে ১২ কেজির এক হাজার এবং ৪৫ কেজির ১০০টি সিলিন্ডার উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি জানান, দেশের সর্ববৃহৎ এই কারখানায় আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের (ডট) মান অনুযায়ী সিলিন্ডার তৈরি হবে। এখানে ব্যবহার করা হবে কোরিয়ার হুন্দাই ও ভারতের টাটা স্টিলসের হট রোল। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান_হুয়ান টেকনিক্যাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এঙ্পোর্ট করপোরেশন ও জিয়াংযান সিটি ইউহাই ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানি লিমিটিড। এভাবে সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কিছুসংখ্যক কারিগরি ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষ ব্যক্তি ছাড়া এই অঞ্চলের মানুষই এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণকে সেবা দেওয়ার প্রত্যয়ে ১৯৯৯ সালে মংলায় বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ফিলিং কারখানা। অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেশে সিলিন্ডারজাত এলপি গ্যাসের বাজারে শীর্ষস্থান অর্জন করে। বর্তমানে দেশে এলপি গ্যাসের মোট চাহিদার ৪২ শতাংশই জোগান দিচ্ছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ফিলিং কারখানায় বর্তমানে ঘণ্টায় সাড়ে ১২ কেজির এক হাজার সিলিন্ডার ফিলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, বসুন্ধরা গ্রুপ একটি অটো গ্যাসের প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা আগামী বছরের শুরুতে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে রান্নার পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনেও এলপি গ্যাস ব্যবহার করা যাবে। খুলনা অঞ্চলের মানুষ বসুন্ধরা এলপি গ্যাস দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে কম দামে কিনতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে এলপি গ্যাসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে। বিশাল এই চাহিদার বিপরীতে জোগান কম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল সিলিন্ডারের অভাব। উন্নত মান ও সাশ্রয়ী দামের সিলিন্ডারের অভাবে মোট চাহিদার পুরোপুরি জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। আশা করা যায়, কারখানাটি সেই চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের বাজার বিস্তৃত করার চিন্তা-ভাবনাও চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে বিদেশ থেকে সিলিন্ডার আমদানিতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হতো। বসুন্ধরার এ উদ্যোগের ফলে এখন দেশে তৈরি সিলিন্ডার দিয়েই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারী বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা যাঁদের সিলিন্ডার তৈরির অবকাঠামোগত সুবিধা নেই, সুন্দরবন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে উৎপাদিত বসুন্ধরার সিলিন্ডার দিয়ে তাঁদের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে মানিকগঞ্জে সিলিন্ডার তৈরির কার্যক্রম শুরু করে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। ওই কারখানায় মাসে ১৫ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার উৎপাদন হয়ে আসছিল। বিশাল চাহিদা বিবেচনায় এবার মংলায় চালু হলো দেশের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বয়ংক্রিয় সিলিন্ডার তৈরির কারখানা।
দেশে সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ এ ধরনের কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলায়েত হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপদেষ্টা (তথ্য ও গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাহাবুব উজ জামানসহ বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা অত্যাধুনিক এই কারখানায় মাসে এক লাখ সিলিন্ডার তৈরি করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে মাসে প্রায় ১৬ লাখ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে বাজারজাত করা যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কারখানায় প্রতি শিফটে সাড়ে ১২ কেজির এক হাজার এবং ৪৫ কেজির ১০০টি সিলিন্ডার উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি জানান, দেশের সর্ববৃহৎ এই কারখানায় আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের (ডট) মান অনুযায়ী সিলিন্ডার তৈরি হবে। এখানে ব্যবহার করা হবে কোরিয়ার হুন্দাই ও ভারতের টাটা স্টিলসের হট রোল। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান_হুয়ান টেকনিক্যাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এঙ্পোর্ট করপোরেশন ও জিয়াংযান সিটি ইউহাই ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানি লিমিটিড। এভাবে সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কিছুসংখ্যক কারিগরি ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষ ব্যক্তি ছাড়া এই অঞ্চলের মানুষই এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণকে সেবা দেওয়ার প্রত্যয়ে ১৯৯৯ সালে মংলায় বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ফিলিং কারখানা। অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেশে সিলিন্ডারজাত এলপি গ্যাসের বাজারে শীর্ষস্থান অর্জন করে। বর্তমানে দেশে এলপি গ্যাসের মোট চাহিদার ৪২ শতাংশই জোগান দিচ্ছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ফিলিং কারখানায় বর্তমানে ঘণ্টায় সাড়ে ১২ কেজির এক হাজার সিলিন্ডার ফিলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, বসুন্ধরা গ্রুপ একটি অটো গ্যাসের প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা আগামী বছরের শুরুতে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে রান্নার পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনেও এলপি গ্যাস ব্যবহার করা যাবে। খুলনা অঞ্চলের মানুষ বসুন্ধরা এলপি গ্যাস দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে কম দামে কিনতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে এলপি গ্যাসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে। বিশাল এই চাহিদার বিপরীতে জোগান কম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল সিলিন্ডারের অভাব। উন্নত মান ও সাশ্রয়ী দামের সিলিন্ডারের অভাবে মোট চাহিদার পুরোপুরি জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। আশা করা যায়, কারখানাটি সেই চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের বাজার বিস্তৃত করার চিন্তা-ভাবনাও চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে বিদেশ থেকে সিলিন্ডার আমদানিতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হতো। বসুন্ধরার এ উদ্যোগের ফলে এখন দেশে তৈরি সিলিন্ডার দিয়েই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারী বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা যাঁদের সিলিন্ডার তৈরির অবকাঠামোগত সুবিধা নেই, সুন্দরবন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে উৎপাদিত বসুন্ধরার সিলিন্ডার দিয়ে তাঁদের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে মানিকগঞ্জে সিলিন্ডার তৈরির কার্যক্রম শুরু করে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। ওই কারখানায় মাসে ১৫ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার উৎপাদন হয়ে আসছিল। বিশাল চাহিদা বিবেচনায় এবার মংলায় চালু হলো দেশের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বয়ংক্রিয় সিলিন্ডার তৈরির কারখানা।
No comments