এখনো ভরসা পাচ্ছেন না ইলিয়েভস্কি
বাংলাদেশের ফুটবলের স্বপ্ন কখনো সাফ অঞ্চল ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। সব সময় এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করে এবং ফেভারিট হিসেবেই। সেই ঐতিহ্য মেনে এবারও বাফুফে কর্তারা নিজেদের দলকে ফেভারিট ভাবছেন, যদিও ইলিয়েভস্কি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ঘোষণা দিতে অপরাগ। জাতীয় দলের এই কোচ দিতে না পারলে দর্শক হয়ে দেখা দেশের অন্য কোচেরাই বা তা দেবেন কী করে! মানিক-মারুফ-টিটু-কামাল বাবুরা এই দল নিয়ে খুব উচ্চাশা পোষণ না
করলেও বাতিলের দলে ফেলে দিচ্ছেন না। তাঁদের শঙ্কা এ দলের সম্ভাবনার পথে ছোটখাটো কাঁটাগুলো নিয়ে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ম্যাচের নিয়মিত দর্শক হলেন শফিকুল ইসলাম মানিক। সদ্য মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব নেওয়া এই কোচের অপছন্দ হলো ইলিয়েভস্কির অতিমাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, 'মনে হচ্ছে কোচ বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন দল নিয়ে। এখনই তাঁর একটা একাদশ তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা, সেটা বোধহয় হয়নি। সেটা হলে খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগত না। সাধারণত প্র্যাকটিস করতে করতেই খেলোয়াড়রা নিজের অবস্থান বুঝে ফেলে। সেটা তারা বোঝেনি, যার মানে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসহীনতার পাশাপাশি কোচের আস্থাহীনতাও বড় এক সমস্যা এই দলের জন্য।' আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় দিলি্ল সাফ ফুটবলে অংশ নেওয়ার আগ মুহূর্তে খেলোয়াড়-কোচের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের সেতুবন্ধ না হওয়াটা মোটেও ভালো খবর নয়। একাদশের জায়গা নিয়ে দ্বিধায় থাকলে খেলোয়াড়দের মোটিভেশনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গত পরশু পর্যন্ত একাদশ নিয়ে নিকোলা ইলিয়েভস্কির মনে নানা ভাবনা থাকলেও কাল একটু ইতিবাচকই মনে হয়েছে তাঁকে, 'একাদশ এবং ফরমেশন নিয়ে আমার ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমার কাছে প্রথম ম্যাচটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।' বাংলাদেশ ২ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের, বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ে তাদের ঢাকায় হারিয়েছে তারা। সুতরাং মেসিডোনিয়ান কোচের সামনে এটা অচেনা শক্তি নয়। তবে সাইফুল বারী টিটুর সংশয় এই দলের গোল করার ক্ষমতা নিয়ে। পরশু তাঁর দল শেখ রাসেলকে প্র্যাকটিস ম্যাচে ১-০ গোলে হারালেও এই কোচের ভয়টা কাটেনি, 'এই দলের গোল করার ক্ষমতা নিয়ে আমি সন্দিহান। ওই দিনের ম্যাচেও দেখলাম, সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছে না তারা।' তবে পরশুর ওই ম্যাচে জাতীয় দলের খেলার উন্নতির কথা তিনি স্বীকার করেছেন। শেখ জামালের বিপক্ষে এই দল আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং বল পজেশনও ছিল বেশি। খেলায় ছন্দ ফিরলেও গোলে গণ্ডগোলের শঙ্কাটা ইলিয়েভস্কিরও আছে। এটা বুঝেই কদিন আগে মিঠুন চৌধুরীকে ক্যাম্পে ডেকে তুমুল প্র্যাকটিস করানো শুরু করে দিয়েছেন। ক্রমেই এই ফরোয়ার্ডের ওপর কোচ আস্থা ফিরে পাচ্ছেন বলে খবর।
মারুফুল হকও নিয়মিত জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখছেন। তবে শেষ দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখার সুযোগ না হলেও শেখ রাসেলের কোচের ভয় জাতীয় দলের ডিফেন্স নিয়ে, 'রাইট ব্যাক ও লেফট ব্যাক পজিশনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে স্পেশালিস্ট ফুলব্যাক আনা উচিত। ডিফেন্সটা আরো আঁটসাঁটো করা উচিত।' কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচেও দেখা গেছে, ডিফেন্সের ভুলে গোল হজম করেছে জাতীয় দল। সেখানে ইলিয়েভস্কি চাইছেন ডিফেন্সে আরো সমন্বয় এবং শৃঙ্খলা। এ ছাড়া মারুফুল হকের চোখে আরেকটা ঘাটতি হলো মাঝমাঠে বৈচিত্র্যহীনতা, অর্থাৎ সব মিডফিল্ডারই একই চরিত্রের, তাই অ্যাটাকেও বৈচিত্র্য দেখেননি তিনি।
আফ্রিকান একাদশ নিয়ে জাতীয় দলের বিপক্ষে প্র্যাকটিস ম্যাচে অপরাজেয় কোচ কামাল বাবুর পর্যবেক্ষণ হলো, 'আস্তে আস্তে জাতীয় দল গুছিয়ে উঠেছে। কয়েকটি ম্যাচ ভালোও খেলেছে। তবে ভয় হচ্ছে বেশি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে খেলতে আসল টুর্নামেন্টে গিয়ে না ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেখানে নিজেদের মেলে ধরাটাই জরুরি।' গত এক মাসে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ছয়টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। তাতেই ধরা পড়েছে তাদের ক্রমোন্নতি, সাফে সেটা ধরে রাখাটাই মুখ্য কাজ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ম্যাচের নিয়মিত দর্শক হলেন শফিকুল ইসলাম মানিক। সদ্য মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব নেওয়া এই কোচের অপছন্দ হলো ইলিয়েভস্কির অতিমাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, 'মনে হচ্ছে কোচ বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন দল নিয়ে। এখনই তাঁর একটা একাদশ তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা, সেটা বোধহয় হয়নি। সেটা হলে খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগত না। সাধারণত প্র্যাকটিস করতে করতেই খেলোয়াড়রা নিজের অবস্থান বুঝে ফেলে। সেটা তারা বোঝেনি, যার মানে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসহীনতার পাশাপাশি কোচের আস্থাহীনতাও বড় এক সমস্যা এই দলের জন্য।' আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় দিলি্ল সাফ ফুটবলে অংশ নেওয়ার আগ মুহূর্তে খেলোয়াড়-কোচের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের সেতুবন্ধ না হওয়াটা মোটেও ভালো খবর নয়। একাদশের জায়গা নিয়ে দ্বিধায় থাকলে খেলোয়াড়দের মোটিভেশনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গত পরশু পর্যন্ত একাদশ নিয়ে নিকোলা ইলিয়েভস্কির মনে নানা ভাবনা থাকলেও কাল একটু ইতিবাচকই মনে হয়েছে তাঁকে, 'একাদশ এবং ফরমেশন নিয়ে আমার ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমার কাছে প্রথম ম্যাচটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।' বাংলাদেশ ২ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের, বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ে তাদের ঢাকায় হারিয়েছে তারা। সুতরাং মেসিডোনিয়ান কোচের সামনে এটা অচেনা শক্তি নয়। তবে সাইফুল বারী টিটুর সংশয় এই দলের গোল করার ক্ষমতা নিয়ে। পরশু তাঁর দল শেখ রাসেলকে প্র্যাকটিস ম্যাচে ১-০ গোলে হারালেও এই কোচের ভয়টা কাটেনি, 'এই দলের গোল করার ক্ষমতা নিয়ে আমি সন্দিহান। ওই দিনের ম্যাচেও দেখলাম, সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছে না তারা।' তবে পরশুর ওই ম্যাচে জাতীয় দলের খেলার উন্নতির কথা তিনি স্বীকার করেছেন। শেখ জামালের বিপক্ষে এই দল আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং বল পজেশনও ছিল বেশি। খেলায় ছন্দ ফিরলেও গোলে গণ্ডগোলের শঙ্কাটা ইলিয়েভস্কিরও আছে। এটা বুঝেই কদিন আগে মিঠুন চৌধুরীকে ক্যাম্পে ডেকে তুমুল প্র্যাকটিস করানো শুরু করে দিয়েছেন। ক্রমেই এই ফরোয়ার্ডের ওপর কোচ আস্থা ফিরে পাচ্ছেন বলে খবর।
মারুফুল হকও নিয়মিত জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখছেন। তবে শেষ দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখার সুযোগ না হলেও শেখ রাসেলের কোচের ভয় জাতীয় দলের ডিফেন্স নিয়ে, 'রাইট ব্যাক ও লেফট ব্যাক পজিশনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে স্পেশালিস্ট ফুলব্যাক আনা উচিত। ডিফেন্সটা আরো আঁটসাঁটো করা উচিত।' কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচেও দেখা গেছে, ডিফেন্সের ভুলে গোল হজম করেছে জাতীয় দল। সেখানে ইলিয়েভস্কি চাইছেন ডিফেন্সে আরো সমন্বয় এবং শৃঙ্খলা। এ ছাড়া মারুফুল হকের চোখে আরেকটা ঘাটতি হলো মাঝমাঠে বৈচিত্র্যহীনতা, অর্থাৎ সব মিডফিল্ডারই একই চরিত্রের, তাই অ্যাটাকেও বৈচিত্র্য দেখেননি তিনি।
আফ্রিকান একাদশ নিয়ে জাতীয় দলের বিপক্ষে প্র্যাকটিস ম্যাচে অপরাজেয় কোচ কামাল বাবুর পর্যবেক্ষণ হলো, 'আস্তে আস্তে জাতীয় দল গুছিয়ে উঠেছে। কয়েকটি ম্যাচ ভালোও খেলেছে। তবে ভয় হচ্ছে বেশি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে খেলতে আসল টুর্নামেন্টে গিয়ে না ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেখানে নিজেদের মেলে ধরাটাই জরুরি।' গত এক মাসে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ছয়টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। তাতেই ধরা পড়েছে তাদের ক্রমোন্নতি, সাফে সেটা ধরে রাখাটাই মুখ্য কাজ।
No comments