৭০০ কোটি মানুষ-সমস্যা নয়, সৃষ্টি হোক সম্ভাবনা
সৃষ্টি হলো নতুন ইতিহাস। গত রবিবার রাতে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি হয়ে গেল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটি শিশুকে ৭০০ কোটিতম শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপি বলেছে, আগামী ১৩ বছরে পৃথিবীতে আরো ১০০ কোটি মানুষ বাড়বে। ইউএনএফপির আরেক হিসাবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি পাঁচ লাখ।
একসময় জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবেই দেখা হতো। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা কমিয়ে আনার চেষ্টাও করা হয়েছে। ইউএনএফপির এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীতে জনসংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, ১৮০৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। এই জনসংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছিল ১২৩ বছর। ১৯২৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়ায় ২০০ কোটিতে। কিন্তু এর মাত্র ৩২ বছরের মাথায় ১৯৫৯ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৩০০ কোটিতে। এর ১৫ বছরের মাথায় ১৯৭৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৪০০ কোটিতে। বিশ্বের জনসংখ্যা ৫০০ কোটি হতে সময় লাগে আরো কম, মাত্র ১৩ বছর। ১৯৮৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০ কোটিতে। এরপর প্রতি ১২ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি করে। ১৯৯৯ সালে এ জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৬০০ কোটিতে। এ বছর পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াল ৭০০ কোটিতে। এই হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯০০ কোটি। এ শতাব্দীর শেষের দিকে পৃথিবীর জনসংখ্যা এক হাজার কোটি স্পর্শ করবে বলে ইউএনএফপি জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, এই জনসংখ্যা কি অনেক বেশি? আর কত মানুষের ভার বহন করবে বা করতে পারবে এই পৃথিবী?
বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি স্পর্শ করলেও বেশ কিছু ইতিবাচক অর্জন আছে মানুষের। ১৯৫০ সালে পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৮ বছর। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮। ১৯৫০ সালে প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ১৩৩ জন। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। তারুণ্যের জয়জয়কার এখন বিশ্বজুড়ে। ২৫ বছরের কম বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন ৪৩ শতাংশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি হলেও এই বৃদ্ধিকে ইতিবাচক দেখছে ইউএনএফপি। তাদের মতে, এই জনসংখ্যায় নারীর পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতায়ন ঘটলে সমাজের সব পর্যায়ে অগ্রগতি হবে। নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় তরুণ প্রজন্ম বিশ্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও পাল্টে দিতে পারে। আবার এর নেতিবাচক দিক যে নেই, তা নয়। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পুষ্টি ও সংক্রামক রোগ প্রভাব ফেলবে জনসংখ্যার ওপর। উৎপাদন না বাড়লে দেখা দেবে খাদ্যাভাব। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক তিন শতাংশ, সেখানে দেশ নিয়ে নতুন চিন্তা করতে হবে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এই ৭০০ কোটি মানুষকে ৭০০ কোটি সম্ভাবনা হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। ৭০০ কোটি মানুষকে পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য ভাবতে হবে। তাহলেই পৃথিবী সুন্দর হবে। তখন আর জনসংখ্যার ভারে পৃথিবী ভারসাম্য হারাবে না। জনসংখ্যা বোঝা হবে না, হবে সম্পদ। জনসংখ্যা জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে গড়ে তুলতে হবে নতুন এক পৃথিবী।
বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি স্পর্শ করলেও বেশ কিছু ইতিবাচক অর্জন আছে মানুষের। ১৯৫০ সালে পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৮ বছর। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮। ১৯৫০ সালে প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ১৩৩ জন। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। তারুণ্যের জয়জয়কার এখন বিশ্বজুড়ে। ২৫ বছরের কম বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন ৪৩ শতাংশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি হলেও এই বৃদ্ধিকে ইতিবাচক দেখছে ইউএনএফপি। তাদের মতে, এই জনসংখ্যায় নারীর পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতায়ন ঘটলে সমাজের সব পর্যায়ে অগ্রগতি হবে। নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় তরুণ প্রজন্ম বিশ্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও পাল্টে দিতে পারে। আবার এর নেতিবাচক দিক যে নেই, তা নয়। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পুষ্টি ও সংক্রামক রোগ প্রভাব ফেলবে জনসংখ্যার ওপর। উৎপাদন না বাড়লে দেখা দেবে খাদ্যাভাব। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক তিন শতাংশ, সেখানে দেশ নিয়ে নতুন চিন্তা করতে হবে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এই ৭০০ কোটি মানুষকে ৭০০ কোটি সম্ভাবনা হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। ৭০০ কোটি মানুষকে পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য ভাবতে হবে। তাহলেই পৃথিবী সুন্দর হবে। তখন আর জনসংখ্যার ভারে পৃথিবী ভারসাম্য হারাবে না। জনসংখ্যা বোঝা হবে না, হবে সম্পদ। জনসংখ্যা জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে গড়ে তুলতে হবে নতুন এক পৃথিবী।
No comments