ছায়ানটের সুবর্ণজয়ন্তীর দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু-প্রাণের ছোঁয়ায় সারাবেলা
প্রাণের ছোঁয়ায় গতকাল শুক্রবার উদ্বোধন করা হলো ছায়ানটের সুবর্ণজয়ন্তীর দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। হেমন্তের হালকা শীতের সকালে ছায়ানটের অনুরাগী-শিল্পী ও অনুসারীরা সমবেত হন ধানমণ্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে। ছায়ানট প্রাঙ্গণসারাদিন মুখর ছিল আনন্দ সম্মিলনে। ভালোবাসা, আনন্দ, ভালোলাগা আর ৫০ বছরের স্মৃতির পরশে কাটে প্রতিটি মূহূর্ত। সঙ্গীত, আবৃত্তি আর নৃত্য_ উৎসবের আমেজ জড়িয়ে রাখে সবার হৃদয়-প্রাণ।
প্রথাগতভাবে জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি'র দলগত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় ছায়ানটের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রবীণ শিল্পী মদন গোপাল দাস। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হতেই ছায়ানটের ক্ষুদে শিল্পীদের কণ্ঠে বেজে ওঠে 'লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা আমাদের এই পতাকা'। ছায়ানটের পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে ভবনের সামনের আঙিনায় উন্মোচন করা হয় ভাস্কর্য। ভাস্কর নাসিমা হকের এ ভাস্কর্যটি শিরোনামহীন। এর উদ্বোধন করেন ছায়ানটের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্ দৌলা। ভাস্কর্যের উদ্বোধন শেষে 'প্রজাপতি, প্রজাপতি কোথায় পেলে ভাই এমন রঙিন পাখা' গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করে ছোট্ট নৃত্যশিল্পীরা।
এর পর ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে বক্তব্য রাখেন ছায়ানটের সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন,
শিক্ষাগুরু সোহরাব হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্ দৌলা। বক্তারা
সংগঠনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। একই সঙ্গে সংগঠনকে সফলভাবে আগামীর পথে এগিয়ে নিতে শুভার্থীদের সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়। এ পর্বে ছায়ানটের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন সন্জীদা খাতুন।
বক্তব্য শেষে শুরু হয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের শুদ্ধ সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা এ পরিবেশনায় অংশ নেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেষে শুরু হয় নালন্দার ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশনা। মুগ্ধকর পরিবেশনা শেষে শুরু হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীত। দুপুরে ঘণ্টাখানেক বিরতির পর আবার অনুষ্ঠানমালা। শুরুতেই ছিল লোকসঙ্গীত। মাটির গানের নানা ধারা পরিবেশন করেন সঙ্গীতবিদ্যায়তনের লোকসঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর পর ছিল শিকড় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। বেলা গড়াতেই শুরু হয় জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গানের পরিবেশনা। পঞ্চম তলায় অনুষ্ঠিত এ পরিবেশনায় অংশ নেন সঙ্গীতবিদ্যায়তনের নজরুলসঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা। ছিল সুরের জাদু-রঙের জাদু'র শিক্ষার্থীদের চমৎকার উপস্থাপনা। এর পর আবৃত্তি আর উচ্চারণ। পরিবেশনে ছিলেন ভাষার আলাপের শিল্পীরা। ছিল সঙ্গীতবিদ্যায়তনের বিশেষ শ্রেণী ও নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পীদের উপস্থাপনা। সবশেষ সন্ধ্যায় বসে সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে প্রাক্তনীদের কথা ও সুরের আসর। চলে অনেক রাত পর্যন্ত।
আজ শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনেও দিনব্যাপী থাকছে সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এর পর ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে বক্তব্য রাখেন ছায়ানটের সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন,
শিক্ষাগুরু সোহরাব হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্ দৌলা। বক্তারা
সংগঠনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। একই সঙ্গে সংগঠনকে সফলভাবে আগামীর পথে এগিয়ে নিতে শুভার্থীদের সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়। এ পর্বে ছায়ানটের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন সন্জীদা খাতুন।
বক্তব্য শেষে শুরু হয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের শুদ্ধ সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা এ পরিবেশনায় অংশ নেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেষে শুরু হয় নালন্দার ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশনা। মুগ্ধকর পরিবেশনা শেষে শুরু হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীত। দুপুরে ঘণ্টাখানেক বিরতির পর আবার অনুষ্ঠানমালা। শুরুতেই ছিল লোকসঙ্গীত। মাটির গানের নানা ধারা পরিবেশন করেন সঙ্গীতবিদ্যায়তনের লোকসঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর পর ছিল শিকড় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। বেলা গড়াতেই শুরু হয় জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গানের পরিবেশনা। পঞ্চম তলায় অনুষ্ঠিত এ পরিবেশনায় অংশ নেন সঙ্গীতবিদ্যায়তনের নজরুলসঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা। ছিল সুরের জাদু-রঙের জাদু'র শিক্ষার্থীদের চমৎকার উপস্থাপনা। এর পর আবৃত্তি আর উচ্চারণ। পরিবেশনে ছিলেন ভাষার আলাপের শিল্পীরা। ছিল সঙ্গীতবিদ্যায়তনের বিশেষ শ্রেণী ও নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পীদের উপস্থাপনা। সবশেষ সন্ধ্যায় বসে সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে প্রাক্তনীদের কথা ও সুরের আসর। চলে অনেক রাত পর্যন্ত।
আজ শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনেও দিনব্যাপী থাকছে সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
No comments