কিষানজি হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ্
ভারতের শীর্ষ মাওবাদী নেতা কটেশ্বর রাও ওরফে কিষানজির মৃত্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে অন্ধ্র প্রদেশের করিমপুরে কিষানজির পরিবারের তরফ থেকে প্রথম তাঁকে অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছে উল্লেখ করে এই আলোচনা তোলা হয়। এদিকে দলীয় শীর্ষ নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে মাওবাদীরা আজ শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ্ ডেকেছে পশ্চিমবঙ্গে। পাশাপাশি সাত দিনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিও ঘোষণা
করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে কিষানজির ভাতিজি দীপা রাও টেলিফোনে কলকাতার একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর কাকাকে (কিষানজি) ভুয়া এনকাউন্টারে খুন করেছে যৌথ বাহিনী। এর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও তিনি ঘোষণা দেন। দক্ষিণ ভারতের শীর্ষস্থানীয় লেখক ও সাংবাদিক ভারভারা রাও মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, নিরস্ত্র অবস্থায় কিষানজিকে খুন করা হয়েছে।
রাজধানী দিলি্লর লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলার সময়ই বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল সিপিআইয়ের সাংসদ গুরুদাশ গুপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে চিঠি দিয়ে এই মৃত্যুকে 'খুন' বলে দাবি করতেই রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষীয়ান এ বাম নেতার ভাষায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে জঙ্গলমহল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কটেশ্বর রাও ওরফে কিষানজি। এরপর তাঁকে যৌথ বাহিনী গুলি করে হত্যা করে এবং সাজানো এনকাউন্টার দেখানো হয়। তিনি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া কিষানজির দেহের গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে মৃত দেহ রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে না পেঁৗছানোয় এ কাজ করতে পারেনি প্রশাসন। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সচিবালয় মহাকরণের সামনে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিষানজির মৃত্যুর প্রতিবাদ ও জঙ্গলমহল থেকে অবিলম্বে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে যোগ দেন কিষানজির ভাতিজি ও লেখক ভারভারা রাও। এর আগে দুপুরের বিমানে কলকাতায় পেঁৗছান তাঁরা।
এদিকে কিষানজির দেহ তাঁর পরিবারের কাছে দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন ইতিবাচক হলেও অন্ধ্র প্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো তাঁর পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়ার অনুমোদন দেয়নি। এই অনুমোদন পেলেই কিষানজির দেহ অন্ধ্র প্রদেশের করিমপুরে পেঁৗছে দেবে যৌথ বাহিনী।
উল্লেখ্য, কিষানজি ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিন দশক থেকে সিপিআই (মাওবাদী) রাজনীতি করছিলেন। দলটির পলিটব্যুরোর সিনিয়র সদস্য কিষানজি পশ্চিম ভারতে মাওবাদী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং রাজ্যটিতেও মাওবাদী আদর্শকে প্রচার-প্রসারের দায়িত্ব পান তিনি।
রাজধানী দিলি্লর লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলার সময়ই বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল সিপিআইয়ের সাংসদ গুরুদাশ গুপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে চিঠি দিয়ে এই মৃত্যুকে 'খুন' বলে দাবি করতেই রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষীয়ান এ বাম নেতার ভাষায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে জঙ্গলমহল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কটেশ্বর রাও ওরফে কিষানজি। এরপর তাঁকে যৌথ বাহিনী গুলি করে হত্যা করে এবং সাজানো এনকাউন্টার দেখানো হয়। তিনি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া কিষানজির দেহের গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে মৃত দেহ রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে না পেঁৗছানোয় এ কাজ করতে পারেনি প্রশাসন। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সচিবালয় মহাকরণের সামনে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিষানজির মৃত্যুর প্রতিবাদ ও জঙ্গলমহল থেকে অবিলম্বে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে যোগ দেন কিষানজির ভাতিজি ও লেখক ভারভারা রাও। এর আগে দুপুরের বিমানে কলকাতায় পেঁৗছান তাঁরা।
এদিকে কিষানজির দেহ তাঁর পরিবারের কাছে দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন ইতিবাচক হলেও অন্ধ্র প্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো তাঁর পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়ার অনুমোদন দেয়নি। এই অনুমোদন পেলেই কিষানজির দেহ অন্ধ্র প্রদেশের করিমপুরে পেঁৗছে দেবে যৌথ বাহিনী।
উল্লেখ্য, কিষানজি ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিন দশক থেকে সিপিআই (মাওবাদী) রাজনীতি করছিলেন। দলটির পলিটব্যুরোর সিনিয়র সদস্য কিষানজি পশ্চিম ভারতে মাওবাদী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং রাজ্যটিতেও মাওবাদী আদর্শকে প্রচার-প্রসারের দায়িত্ব পান তিনি।
No comments