চার মাসে টায়ার আমদানি কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ-আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
শুল্ক বৃদ্ধির কারণে চার মাস ধরে টায়ারের বাজারে সৃষ্ট অস্থিরতার বিষয়ে এফবিসিসিআই নেতারা গত আগস্টে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই সময় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও দুই মাসেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নিশিমুল নজরুল, চট্টগ্রামটায়ার-টিউবের আমদানি গত চার মাসে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে টায়ার-টিউবের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা পুরনো এবং রিসোলিং টায়ারের দিকে ঝুঁকছেন।
২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ী নেতারা অবিলম্বে শুল্ক কমিয়ে টায়ারের আমদানি স্বাভাবিক করার জন্য রাজস্ব বোর্ডের কাছে লিখিত আহ্বান জানান।চট্টগ্রাম টায়ার-টিউব ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহম্মদ বলেন, 'সরকার চলতি বাজেটে সকল ধরনের আমদানীকৃত টায়ারের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে বাস, ট্রাক ও টেইলরের প্রতিটি টায়ারে গড়ে সাত থেকে আট হাজার টাকা দাম বেড়ে গেছে। এখন বাস, ট্রাক ও টেইলরের একটি টায়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকায়।' ২০১০-১১ অর্থবছরে বাস-ট্রাকের টায়ার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছিল মাত্র ১২ শতাংশ এবং কার, মাইক্রো ও জিপের টায়ারের ক্ষেত্রে শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ, জানান তিনি।
টায়ার-টিউব আমদানিকারকরা অভিযোগ করেন, 'রাজস্ব বোর্ড চলতি অর্থবছর একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য গণমানুষের ব্যবহারের পণ্য বাস-ট্রাকের টায়ারে শুল্ক দ্বিগুণের বেশি করে সব ধরনের টায়ারের শুল্কের পরিমাণ একই স্তরে নিয়ে এসেছে।'
দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে সরকার আমদানি করা টায়ারের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার কথা বললেও বাস, ট্রাক কিংবা টেইলরের টায়ার বাংলাদেশে উৎপাদন হয় না বলে জানান চট্টগ্রাম টায়ার-টিউব ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স গ্রুপের সহসভাপতি ছবির আহমেদ। সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির শুল্ক বাড়ানোর কারণে পরিবহন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে তিনি জানান। এখন পরিবহন মালিকরা টায়ার-টিউবের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরনো এবং রিসোলিং টায়ারের দিকে ঝুঁকছেন। আর এ কারণে মহাসড়কে প্রতিদিন যানবাহনের দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। এ কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র চারটি কম্পানি টায়ার-টিউব উৎপাদন করে। কম্পানিগুলো হলো গাজী টায়ার, হোসেন টায়ার, মেঘনা ও এপেঙ্ টায়ার। প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মোটরসাইকেল, সিএনজি টেক্সি এবং ব্যাটারিচালিত টেঙ্রি (ইজি বাইক) টায়ার উৎপাদন কবরে থাকে। কিন্তু দেশীয় এসব কম্পানিতে বাস, ট্রাক ও টেইলরের টায়ার উৎপাদন হয় না। ভারী যানবাহনের সব ধরনের টায়ার আমদানিনির্ভর। মূলত চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে বাস, ট্রাক ও টেইলরের টায়ার আমদানি হয়ে থাকে।
ব্যবসায়ী নেতারা আরো জানান, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে চার মাস ধরে টায়ারের বাজারে সৃষ্ট অস্থিরতার বিষয়ে এফবিসিসিআই নেতারা গত আগস্টে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই সময় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও দুই মাসেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে চট্টগ্রামের টায়ার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমদানীকৃত টায়ারের শুল্ক গত বাজাটে দ্বিগুণ করায় ব্যবসায়ীরা টায়ারের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।' বাজেটের আগে প্রতি মাসে টায়ার-টিউব আমদানির জন্য গড়ে ৫০ লাখ ডলারের এলসি খোলা হলেও এখন ১০ লাখ ডলারেরও এলসি হয় না বলে জানান তিনি। আমদানিকারকরা আরো জানান, দেশে প্রতি মাসে বাস-ট্রাক ও টেইলরে ব্যবহৃত ৮.২৫২০, ৯০০২০, ১০০০-২০ এবং ১১০০-২০ সাইজের সাত থেকে আট লাখ পিস টায়ার প্রয়োজন।
টায়ার-টিউব আমদানিকারকরা অভিযোগ করেন, 'রাজস্ব বোর্ড চলতি অর্থবছর একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য গণমানুষের ব্যবহারের পণ্য বাস-ট্রাকের টায়ারে শুল্ক দ্বিগুণের বেশি করে সব ধরনের টায়ারের শুল্কের পরিমাণ একই স্তরে নিয়ে এসেছে।'
দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে সরকার আমদানি করা টায়ারের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার কথা বললেও বাস, ট্রাক কিংবা টেইলরের টায়ার বাংলাদেশে উৎপাদন হয় না বলে জানান চট্টগ্রাম টায়ার-টিউব ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স গ্রুপের সহসভাপতি ছবির আহমেদ। সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির শুল্ক বাড়ানোর কারণে পরিবহন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে তিনি জানান। এখন পরিবহন মালিকরা টায়ার-টিউবের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরনো এবং রিসোলিং টায়ারের দিকে ঝুঁকছেন। আর এ কারণে মহাসড়কে প্রতিদিন যানবাহনের দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। এ কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র চারটি কম্পানি টায়ার-টিউব উৎপাদন করে। কম্পানিগুলো হলো গাজী টায়ার, হোসেন টায়ার, মেঘনা ও এপেঙ্ টায়ার। প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মোটরসাইকেল, সিএনজি টেক্সি এবং ব্যাটারিচালিত টেঙ্রি (ইজি বাইক) টায়ার উৎপাদন কবরে থাকে। কিন্তু দেশীয় এসব কম্পানিতে বাস, ট্রাক ও টেইলরের টায়ার উৎপাদন হয় না। ভারী যানবাহনের সব ধরনের টায়ার আমদানিনির্ভর। মূলত চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে বাস, ট্রাক ও টেইলরের টায়ার আমদানি হয়ে থাকে।
ব্যবসায়ী নেতারা আরো জানান, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে চার মাস ধরে টায়ারের বাজারে সৃষ্ট অস্থিরতার বিষয়ে এফবিসিসিআই নেতারা গত আগস্টে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই সময় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও দুই মাসেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে চট্টগ্রামের টায়ার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমদানীকৃত টায়ারের শুল্ক গত বাজাটে দ্বিগুণ করায় ব্যবসায়ীরা টায়ারের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।' বাজেটের আগে প্রতি মাসে টায়ার-টিউব আমদানির জন্য গড়ে ৫০ লাখ ডলারের এলসি খোলা হলেও এখন ১০ লাখ ডলারেরও এলসি হয় না বলে জানান তিনি। আমদানিকারকরা আরো জানান, দেশে প্রতি মাসে বাস-ট্রাক ও টেইলরে ব্যবহৃত ৮.২৫২০, ৯০০২০, ১০০০-২০ এবং ১১০০-২০ সাইজের সাত থেকে আট লাখ পিস টায়ার প্রয়োজন।
No comments