সবিশেষ-মহাকাশে বরফ খণ্ড
এই পৃথিবীর বাইরে আরো পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকতে পারে মহাবিশ্বে-এ ধারণায় আরেক ধাপ এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হার্সেল স্পেস অবজারভেটরির বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক দুরবিনের সাহায্যে মহাকাশে ভেসে বেড়ানো অসংখ্য বরফ খণ্ডের উপস্থিতি ধারণ করেছেন। এসব বরফের চাকতি নতুন কোনো এক নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। এটা অনেকটা নতুন সোলার সিস্টেম অর্থাৎ সৌরজগতের মতো ব্যাপার।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নতুন নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত বরফের চাকতিগুলোকে দূর থেকে ধূমকেতুর মতো মনে হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নতুন নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত বরফের চাকতিগুলোকে দূর থেকে ধূমকেতুর মতো মনে হয়।
যেগুলো নতুন কোনো এক পৃথিবীর ভেতর পতিত হতে পারে। এই গবেষণার বিজ্ঞানীদলের প্রধান ছিলেন নেদারল্যান্ডসের লেইডেন অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল হোগারহেইজ। দ্য জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, 'পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা দেখেছি, ওই নক্ষত্রকে ঘিরে ভাসমান বরফের চাকতিগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ঠাণ্ডা পানি রয়েছে, যার দ্বারা পৃথিবীর হাজারেরও বেশি মহাসমুদ্র পানিতে পূর্ণ হতে পারে।' এর আগে বিজ্ঞানীদের দুরবিনে মহাকাশের অন্য নক্ষত্রকে ঘিরে ভাসমান যেসব বরফ চাকতির উপস্থিতি দেখা গেছে, সেগুলো ছিল অনেক ছোট আকারের। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওই নক্ষত্র থেকে অতি-বেগুনি রশ্মি ছড়িয়ে পড়ছে, আর চারপাশে বড় বরফের চাকতি থেকে পানি নিঃশেষিত হয়ে হালকা গ্যাসের আবরণ তৈরি হচ্ছে।
এ নিরীক্ষায় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহযোগিতাও রয়েছে। টিডাবি্লউ হাইড্রা নামের ওই নক্ষত্রটি আনুমানিক এক কোটি বছরের পুরনো এবং পৃথিবী থেকে ১৭৫ আলোক-বর্ষ দূরে রয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।
এ নিরীক্ষায় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহযোগিতাও রয়েছে। টিডাবি্লউ হাইড্রা নামের ওই নক্ষত্রটি আনুমানিক এক কোটি বছরের পুরনো এবং পৃথিবী থেকে ১৭৫ আলোক-বর্ষ দূরে রয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।
No comments