ভারতে বোমাবিরোধী কুকুর মোতায়েন
বোমা চিহ্নিতকরণ ও টাইম বোমা অকার্যকরণে সক্ষম বিশেষভাবে প্রশক্ষিত কুকুর প্রথমবারের মতো নিয়োজিত করেছে ভারত। গতকাল দেশটির ভারত-তিব্বত সীমান্তে পুলিশের হাতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এ কুকুর তুলে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষিত এ ল্যাম্বার্ড গোষ্ঠীর কুকুরটি তার মুখে করে বিস্ফোরক বহন করতে পারবে এমনকি শত্রুদের লুকিয়ে থাকা স্থানে গোপন ক্যামেরা স্থাপনেও সক্ষম। খবর দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের।অডিও-ভিডিও ডিভাইস বহন সক্ষম এ কুকুরটি হিন্দি ও ইংরেজি এমনকি শারীরিক সাংকেতিক ভাষাও বুুঝতে পারবে।
এরই মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে কুকুরের ব্যবহার শুরু করল ভারত। এ জাতের ছয়টি কুকুরকে ১ বছর বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে ভারতীয় 'ডগ ট্রেনিং স্কোয়াড'। ইন্দো-তিব্বত পুলিশ ফোর্সের প্রধান ডিকে পান্ডে বলেন, প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়া এ জাতের প্রশিক্ষিত কুকুরের ব্যবহার করতে যাচ্ছে। তিনি জানান, প্রশিক্ষিত এ কুকুরটি তার মুখে করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বহনে সক্ষম, বিশেষ করে গোপন ক্যামেরা, রিমোট কন্ট্রোল, ভিডিও-অডিও ডিভাইস। এসব ডিভাইস নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনের পর তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কমান্ডারের নির্দেশে কুকুরগুলো কাজ করবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীতে অস্ত্র পরিচালনায় সক্ষম কুকুর ব্যবহারের ঐতিহ্য রয়েছে। পাকিস্তানে লাদেন হত্যা অভিযানেও একটি কুকুর অংশ নিয়েছিল। ১৯৩০-এর দশকে রাশিয়া বিশেষ ট্যাংক বিধ্বংসী পারদর্শী কুকুর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। প্রশিক্ষত ওই কুকুর নিজের শরীরে বিস্ফোরক নিয়ে ট্যাংকের কাছে গিয়ে নিজেই রিমোর্ট টিপে বিস্ফোরণ ঘটাত। তবে বরাবরই প্রাণী সংগঠনগুলো যুদ্ধে প্রাণীদের ব্যবহারে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ বিষয়ে পান্ডে বলেন, ভারতীয় পুলিশের কাছে থাকা এসব কুকুরকে পরিমিত নিরাপত্তা নিয়েই বিভিন্ন অভিযানে নিয়ে যাওয়া হবে।
No comments