'ভাইয়ের সঙ্গে প্রতারণা করবে না আফগানিস্তান'
আফগানিস্তান কখনই পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। কারণ তারা আমাদের ভাই। আর যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারত যদি পাকিস্তানে হামলা চালায় তা হলে ইসলামাবাদকে সমর্থন দেবে কাবুল'_আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। গত শনিবার পাকিস্তানের জিয়ো চ্যানেলে কারজাইয়ের সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচারিত হয়।জঙ্গিবাদ দমন নিয়ে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের কৌশলগত অংশীদারি চুক্তি সই হওয়ায় কিছুটা শঙ্কায় পাকিস্তান।
কারণ আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা পাকিস্তানের জন্য স্পর্শকাতর বিষয়। প্রতিবেশী দেশ দুটির কাছে এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণও বটে_এমন পরিস্থিতিতে কারজাই এ মন্তব্য করলেন।
পাকিস্তান দ্বৈত ভূমিকা পালন করছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন কারজাই। এ ছাড়া আফগান শান্তি পরিষদের প্রধান বোরহানউদ্দিন রাব্বানি হত্যাসহ সেখানে বেশ কয়েকটি হামলায় পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলেছিল কাবুল। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করে কারজাই বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশ পাকিস্তানের ওপর হামলা চালালে আমরা অবশ্যই ইসলামাদকে সমর্থন করব। আল্লাহ না করুক, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আমেরিকার যুদ্ধ বেধে যায়, আর তখন পাকিস্তানের মানুষের আফগানিস্তানের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে তারা আমাদের পাশে পাবে।'
সম্প্রতি কাবুল সফরকালে তালেবান সমর্থিত হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নির্মূল করা নিয়ে বেশ কড়া সুরেই পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হিলারি বলেন, 'আল-কায়েদা ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক দমনে অনিচ্ছুক বা অপারগ হলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেখিয়ে দেবে কিভাবে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ ভাঙতে হয়।' তবে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তাপ পাক-আফগান সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না বলেও মনে করেন আফগান প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়া আফগান প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন, 'শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমার মত হলো তালেবান শুরা ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানেই আছে। এটা আমরা সবাই জানি। তাই অজ্ঞাত তালেবানকে না খুঁজে পাকিস্তানে থাকা আমাদের ভাইদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই।' উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিন রাব্বানিকে হত্যার পেছনে হাক্কানি নেটওয়ার্ক জড়িত বলে অভিযোগ করেছে আফগানিস্তান। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। সূত্র : এএফপি, এপি।
পাকিস্তান দ্বৈত ভূমিকা পালন করছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন কারজাই। এ ছাড়া আফগান শান্তি পরিষদের প্রধান বোরহানউদ্দিন রাব্বানি হত্যাসহ সেখানে বেশ কয়েকটি হামলায় পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলেছিল কাবুল। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করে কারজাই বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশ পাকিস্তানের ওপর হামলা চালালে আমরা অবশ্যই ইসলামাদকে সমর্থন করব। আল্লাহ না করুক, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আমেরিকার যুদ্ধ বেধে যায়, আর তখন পাকিস্তানের মানুষের আফগানিস্তানের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে তারা আমাদের পাশে পাবে।'
সম্প্রতি কাবুল সফরকালে তালেবান সমর্থিত হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নির্মূল করা নিয়ে বেশ কড়া সুরেই পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হিলারি বলেন, 'আল-কায়েদা ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক দমনে অনিচ্ছুক বা অপারগ হলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেখিয়ে দেবে কিভাবে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ ভাঙতে হয়।' তবে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তাপ পাক-আফগান সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না বলেও মনে করেন আফগান প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়া আফগান প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন, 'শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমার মত হলো তালেবান শুরা ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানেই আছে। এটা আমরা সবাই জানি। তাই অজ্ঞাত তালেবানকে না খুঁজে পাকিস্তানে থাকা আমাদের ভাইদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই।' উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিন রাব্বানিকে হত্যার পেছনে হাক্কানি নেটওয়ার্ক জড়িত বলে অভিযোগ করেছে আফগানিস্তান। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। সূত্র : এএফপি, এপি।
No comments