প্রতারণার শিকার দেড়শ' হজযাত্রী অনিশ্চয়তায় by শহিদুল আলম
একশ্রেণীর ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে রাজধানীর আশকোনার হাজি ক্যাম্পে অসহায় দিনযাপন করছেন প্রায় দেড়শ' হজযাত্রী। কষ্টার্জিত টাকা জমা দিয়েও তারা রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। হজ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।তবে হজ কর্মকর্তা বজলুল হক বিশ্বাস সমকালকে বলেন, কারও প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ তাদের কাছে নেই। হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শাহ সম্রাট সমকালকে বলেন, অভিযুক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তারা আগেই ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ হজ কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন।
বরিশালে একটি এজেন্সির মালিক খুন হওয়ার কারণে ৯৩ হজযাত্রীর জেদ্দা যাওয়াঅনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে গতকাল প্রতারণার অভিযোগে মোতালেব ও আবদুস সালাম নামে দুই ট্রাভেল এজেন্সি মালিককে গ্রেফতার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রাভেল এজেন্সির ৩ প্রতারকচক্র ১৪৩ হজযাত্রীর প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে। প্রতারকচক্র ঢাকার ২টি ট্রাভেল এজেন্সির কাগজপত্র দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সি দুটি হচ্ছে, মতিঝিল এলাকায় রায়হান এয়ার ট্রাভেলস এবং এটিএম ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস। এর মধ্যে রায়হান ট্রাভেলসের ৯৯ ও এটিএমের ৪৪ হজযাত্রী রয়েছে। এসব ট্রাভেল এজেন্সির যেসব দালালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এসেছে, তারা হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাজি ইসমাইল হোসেন, গাইবান্ধার রাকিবুদ-দৌলা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মোতালেব হোসেন ও আবদুস সালাম। প্রতারকচক্র প্রত্যেক হজযাত্রীর কাছ থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা করে নেয়। প্রতারিত এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৭৮ জনের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর ও ধুনট এলাকার বলে জানা গেছে। হজযাত্রী সাজ্জাদুল হক সমকালকে জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর হাজি ইসমাইল হোসেন ১০০ যাত্রীকে আশকোনা হজক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পরদিন রাত সাড়ে ৯টার ফ্লাইটে তাদের সৌদিতে পাঠানোর কথা ছিল; কিন্তু অদ্যাবদি তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মতিঝিল এলাকায় ট্রাভেলস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
২২ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে এসেছেন, হজযাত্রী রুহুল আমিন। তিনি জানান, ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় সুঞ্জুরী ট্রাভেলসের এক দালালকে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
অবশ্য হজ অফিসার বজলুল হক বিশ্বাস সমকালকে জানান, ট্রাভেল এজেন্সির দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ তার কাছে আসেনি। আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া ছিল দালালের হাতে কোনো টাকা না দেওয়ার। তাই কেউ প্রতারণার শিকার হলে কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই।
এদিকে গতকাল অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সির দুই মালিক মোতালেব ও আবদুস সালামকে আটক করে বাড্ডা থানা পুলিশে দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রাভেল এজেন্সির ৩ প্রতারকচক্র ১৪৩ হজযাত্রীর প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে। প্রতারকচক্র ঢাকার ২টি ট্রাভেল এজেন্সির কাগজপত্র দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সি দুটি হচ্ছে, মতিঝিল এলাকায় রায়হান এয়ার ট্রাভেলস এবং এটিএম ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস। এর মধ্যে রায়হান ট্রাভেলসের ৯৯ ও এটিএমের ৪৪ হজযাত্রী রয়েছে। এসব ট্রাভেল এজেন্সির যেসব দালালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এসেছে, তারা হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাজি ইসমাইল হোসেন, গাইবান্ধার রাকিবুদ-দৌলা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মোতালেব হোসেন ও আবদুস সালাম। প্রতারকচক্র প্রত্যেক হজযাত্রীর কাছ থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা করে নেয়। প্রতারিত এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৭৮ জনের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর ও ধুনট এলাকার বলে জানা গেছে। হজযাত্রী সাজ্জাদুল হক সমকালকে জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর হাজি ইসমাইল হোসেন ১০০ যাত্রীকে আশকোনা হজক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পরদিন রাত সাড়ে ৯টার ফ্লাইটে তাদের সৌদিতে পাঠানোর কথা ছিল; কিন্তু অদ্যাবদি তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মতিঝিল এলাকায় ট্রাভেলস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
২২ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে এসেছেন, হজযাত্রী রুহুল আমিন। তিনি জানান, ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় সুঞ্জুরী ট্রাভেলসের এক দালালকে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
অবশ্য হজ অফিসার বজলুল হক বিশ্বাস সমকালকে জানান, ট্রাভেল এজেন্সির দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ তার কাছে আসেনি। আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া ছিল দালালের হাতে কোনো টাকা না দেওয়ার। তাই কেউ প্রতারণার শিকার হলে কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই।
এদিকে গতকাল অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সির দুই মালিক মোতালেব ও আবদুস সালামকে আটক করে বাড্ডা থানা পুলিশে দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
No comments