চীনে জ্বালানি তেল সরবরাহ করছে রাশিয়া
জ্বালানি শক্তি রফতানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার পছন্দের তালিকার প্রথমে রয়েছে এখন এশিয়ার দেশগুলো। তাই শুধু চীনেই নয়, অন্যান্য দেশও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সফর করছেন। রাশিয়া তার জ্বালানি রফতানির ক্ষেত্রকে কয়েকটি দিকে প্রসারিত করেছে। ইস্ট সাইবেরিয়ান প্যাসিফিক ওশান পাইপলাইন এ জ্বালানি রফতানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এ পাইপলাইন এখনও তৈরি হচ্ছে। এ পাইপলাইন তৈরিতে চীনও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এ পাইপলাইনের সাহায্যে প্রতি বছর প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল চীনে রফতানি করবে রাশিয়া।
আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ পাইপলাইনের সাহায্যে গোটা এশিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৮০ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এবং চীন একাই পাবে ৩০ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি। বাকি ৫০ মিলিয়ন টন যাবে এশিয়ার অন্যান্য দেশে। রাশিয়া প্রতি বছর প্রায় ১৮০ মিলিয়ন টন তেল ইউরোপে রফতানি করে থাকে। সেই তুলনায় এশিয়াতে রফতানি করা হচ্ছে মাত্র ৩৫ মিলিয়ন টন। তবে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি কোনো কারণে এশিয়ার জন্য বরাদ্দকৃত জ্বালানি তেল ইউরোপে চলে যায় তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, এশিয়ায় যদি এত বিপুল পরিমাণ তেল রফতানি করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে ইউরোপে তেলের ঘাটতি দেখা দেবে। বিশ্লেষক ভিক্টর মার্কোভ জানান, রাশিয়া এ সুযোগে ইউরোপের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামদর নিয়ে আলোচনা করতে পারে। প্রয়োজনে তেলের দাম বাড়াতে পারে। তেলের মতো গ্যাস রফতানি নিয়েও মস্কো চিন্তা-ভাবনা করছে। ইউরোপ এরই মধ্যে গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার মুখাপেক্ষী থাকতে রাজি নয়। তাই রাশিয়ার প্রয়োজন নতুন নতুন দেশ, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস আমদানি করবে। তাই গ্যাস রফতানি করতেও রাশিয়া ঝুঁকছে এশিয়ার দিকে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনে এ বছরই বিভিন্ন জ্বালানির চাহিদা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
শুধু চীন নয়, দক্ষিণ কোরিয়াও রুশ কোম্পানি গ্যাসপ্রমের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও বেশি জ্বালানি গ্যাস আমদানি করার কথা জানিয়েছে।
শুধু চীন নয়, দক্ষিণ কোরিয়াও রুশ কোম্পানি গ্যাসপ্রমের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও বেশি জ্বালানি গ্যাস আমদানি করার কথা জানিয়েছে।
No comments