দুটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বাস্তবায়নাধীন সাভারের চামড়া শিল্পনগরী'র কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র (সিইটিপি) স্থাপন আবারও পেছাল। রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে সরিয়ে নেওয়ার প্রকল্পটি শুরু হয় ২০০৩ সালে। ট্যানারি স্থানান্তরের অন্যতম মূল স্থাপনা সিইটিপি নির্মাণ এ আট বছরেও সম্পন্ন করতে পারেনি সরকার। আর এ কারণে রাজধানী থেকে চামড়া শিল্প সাভারে স্থানান্তরে দেরি হচ্ছে। এদিকে আশুগঞ্জ ও ঘোড়াশালে আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ইটিপি কেন্দ্র স্থাপনে দরদাতা প্রতিষ্ঠান নন-রেসপনসিভ হওয়ায় প্রস্তাবটি আবার রিভিউ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে রিভিউ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্যাংক গ্যারান্টি সংক্রান্ত বিষয়েও কিছু জটিলতা রয়েছে। এসব বিষয় সমাধান করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টাসহ মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকালকের বৈঠকে কমিটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর আওতায় বিল্ড অন অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে আশুগঞ্জে ৫০ মেগাওয়াট এবং ঘোড়াশালে ১০০ মেগাওয়াট গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্পন্সর নিয়োগের লক্ষ্যে আর্থিক দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তিনটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর তিনটি প্রস্তাবসহ ২ লাখ টন সার আমদানির দরপ্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নুরুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিটি আশুগঞ্জ ৫০ মোগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব ভিয়েলাটেক্স লিমিটেড অ্যান্ড শাহজীবাজার পাওয়ার লিমিটেড। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের মূল্য ধরা হয়েছে ২ দশমিক শূন্য ২২১ টাকা। এ ছাড়া ঘোড়াশালে ১০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক ১৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ প্রকল্পের দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব রিজেন্স স্পিনিং অ্যান্ড রিজেন্ট পাওয়ার লিমিটেড।
বৈঠকে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো তিন বছর মেয়াদি তিনটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার প্রজেক্ট পরিচালিত খুলনা ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেলচালিত রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ এক বছর তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট ১৪ দশমিক ৪২৭ টাকা ধরা হয়েছে। যা আগের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া এনার্জি প্রিমা লিমিটেড পরিচালিত কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৬৮ টাকা।
বৈঠকে শাহজীবাজার ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানো হয়েছে। এটিও পরিচালনা করছে এনার্জি প্রিমা লিমিটেড। বর্ধিত মেয়াদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৮৪ টাকা। নুরুল করিম বলেন, প্রস্তাবিত খুলনা এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট ও ভূমি উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দরপ্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। এ কাজে খরচ হবে ১৬৩ কোটি ২৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৩৯ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৭২ দশমিক ৭০ ডলার। এ কাজের দরপত্র পেয়েছে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন।
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এক লাখ টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রতি টন ৫৮৭ ডলার দরে এ সার সরবরাহ করবে। এর মধ্যে হানাবি প্রাইভেট লিমিটেড ও ইমপাটস কনসালট্যান্ট ২৫ হাজার টন করে ও মেসার্স হাইড্রোকার্বন লিমিটেড ৫০ হাজার টন সার সরবরাহ করবে। এর জন্য মোট ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও এক লাখ টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া আমদানি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ৫৭১ দশমিক ৫০ ডলার করে ৪টি প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকে ২৫ হাজার টন করে সার সরবরাহ করবে। দরপ্রস্তাব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হানাবি প্রাইভেট লিমিটেড, হাইড্রোকার্বন লিমিটেড, এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল ইনপুট ও মেসার্স সুইস সিঙ্গাপুর ওভারসিজ এন্টারপ্রাইজ দুবাই।
সোমবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টাসহ মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকালকের বৈঠকে কমিটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর আওতায় বিল্ড অন অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে আশুগঞ্জে ৫০ মেগাওয়াট এবং ঘোড়াশালে ১০০ মেগাওয়াট গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্পন্সর নিয়োগের লক্ষ্যে আর্থিক দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তিনটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর তিনটি প্রস্তাবসহ ২ লাখ টন সার আমদানির দরপ্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নুরুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিটি আশুগঞ্জ ৫০ মোগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব ভিয়েলাটেক্স লিমিটেড অ্যান্ড শাহজীবাজার পাওয়ার লিমিটেড। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের মূল্য ধরা হয়েছে ২ দশমিক শূন্য ২২১ টাকা। এ ছাড়া ঘোড়াশালে ১০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক ১৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ প্রকল্পের দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব রিজেন্স স্পিনিং অ্যান্ড রিজেন্ট পাওয়ার লিমিটেড।
বৈঠকে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো তিন বছর মেয়াদি তিনটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার প্রজেক্ট পরিচালিত খুলনা ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেলচালিত রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ এক বছর তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট ১৪ দশমিক ৪২৭ টাকা ধরা হয়েছে। যা আগের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া এনার্জি প্রিমা লিমিটেড পরিচালিত কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৬৮ টাকা।
বৈঠকে শাহজীবাজার ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানো হয়েছে। এটিও পরিচালনা করছে এনার্জি প্রিমা লিমিটেড। বর্ধিত মেয়াদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৮৪ টাকা। নুরুল করিম বলেন, প্রস্তাবিত খুলনা এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট ও ভূমি উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দরপ্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। এ কাজে খরচ হবে ১৬৩ কোটি ২৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৩৯ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৭২ দশমিক ৭০ ডলার। এ কাজের দরপত্র পেয়েছে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন।
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এক লাখ টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রতি টন ৫৮৭ ডলার দরে এ সার সরবরাহ করবে। এর মধ্যে হানাবি প্রাইভেট লিমিটেড ও ইমপাটস কনসালট্যান্ট ২৫ হাজার টন করে ও মেসার্স হাইড্রোকার্বন লিমিটেড ৫০ হাজার টন সার সরবরাহ করবে। এর জন্য মোট ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও এক লাখ টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া আমদানি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ৫৭১ দশমিক ৫০ ডলার করে ৪টি প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকে ২৫ হাজার টন করে সার সরবরাহ করবে। দরপ্রস্তাব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হানাবি প্রাইভেট লিমিটেড, হাইড্রোকার্বন লিমিটেড, এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল ইনপুট ও মেসার্স সুইস সিঙ্গাপুর ওভারসিজ এন্টারপ্রাইজ দুবাই।
No comments