১৫০০ বছরের পুরনো ভালোবাসা!
মাটি খুঁড়ে মণি-মাণিক্য পাওয়ার নজির তো অগুনতিই রয়েছে। বিশেষ করে প্রত্নতাত্তি্বকরা যখন ইতিহাস ঘেঁটে কোনো তল্লাটে সন্ধানে নামেন, তখন তো আর বিফল হওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু মাটি খুঁড়ে যদি কখনো মেলে ভালোবাসার সন্ধান? এবার অন্তত এমনটিই হয়েছে; বিশেষজ্ঞদের ধারণা সত্যি হলে রোমান সাম্রাজ্যের এক স্থাপত্য ভাঙতে গিয়ে ইতালিতে ১৫০০ বছরের পুরনো 'ভালোবাসার' সন্ধান পাওয়া গেছে।সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইতালির মদেনায় পুরনো একটি প্রাসাদের ভবন ভাঙতে গিয়ে সেখানে একই সঙ্গে একজন নারী ও একজন পুরুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে।
কঙ্কাল দুটি একে অপরের হাত জড়িয়ে ধরে আছে। এ ছাড়া ওই নারী বেশ প্রেমময় ভঙ্গিতে পুরুষটির দিকে তাকিয়ে আছেন। প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং ওই স্থাপনা ভাঙার কাজের তত্ত্বাবধায়ক দোনাতো লাবাতে জানিয়েছেন, কঙ্কাল দুটি রোমান সাম্রাজ্যের শেষ দিককার
নিদর্শন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর মনে হচ্ছে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি কোনো একসময়ে তাঁদের একই সঙ্গে সমাহিত করা হয়েছে। কঙ্কাল দুটির অবস্থান বিশ্লেষণে মোটামুটি নিশ্চিত, মৃত্যুর পর সমাহিত করার সময় দুজনই একে অপরের দিকে তাকানো অবস্থায় ছিলেন। পুরুষটির মেরুদণ্ডের হাড় পরীক্ষা করে মনে হয়েছে, পরে তাইপিদো নদী থেকে উৎপন্ন হওয়া একাধিক বন্যার মতো দুর্যোগের প্রভাবে হয়তো পুরুষের খুলিটি নারীটির দিক থেকে বিপরীত দিকে ঘুরে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটি নিশ্চিত, তাঁরা দুজন ছিলেন প্রেমিক যুগল। এর পরও আরো তথ্য-উপাত্ত পেতে ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনার নৃতত্ত্ববিদ জর্জিও গ্রুপ্পিওনি কঙ্কাল দুটি পরীক্ষা করবেন। তিনি আবিষ্কার করার চেষ্টা করবেন, মৃত্যুর সময় তাঁদের কার বয়স কত ছিল, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আসলে কী ছিল আর তাঁদের মৃত্যুর কারণই বা কী ছিল। তবে এখন পর্যন্ত সবাই নিশ্চিত, তাঁরা প্রেমিক-প্রেমিকাই ছিলেন। যারাই তাঁদের সমাহিত করেছে, তারা নিশ্চয়ই ভেবেছিল যে মৃত্যুর আগে তাঁদের সম্পর্কের মতোই মৃত্যুর পরও তা সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই ভাবনা থেকেই হয়তো তাদের একসঙ্গে সমাহিত করা হয়েছিল। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল অনলাইন।
নিদর্শন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর মনে হচ্ছে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি কোনো একসময়ে তাঁদের একই সঙ্গে সমাহিত করা হয়েছে। কঙ্কাল দুটির অবস্থান বিশ্লেষণে মোটামুটি নিশ্চিত, মৃত্যুর পর সমাহিত করার সময় দুজনই একে অপরের দিকে তাকানো অবস্থায় ছিলেন। পুরুষটির মেরুদণ্ডের হাড় পরীক্ষা করে মনে হয়েছে, পরে তাইপিদো নদী থেকে উৎপন্ন হওয়া একাধিক বন্যার মতো দুর্যোগের প্রভাবে হয়তো পুরুষের খুলিটি নারীটির দিক থেকে বিপরীত দিকে ঘুরে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটি নিশ্চিত, তাঁরা দুজন ছিলেন প্রেমিক যুগল। এর পরও আরো তথ্য-উপাত্ত পেতে ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনার নৃতত্ত্ববিদ জর্জিও গ্রুপ্পিওনি কঙ্কাল দুটি পরীক্ষা করবেন। তিনি আবিষ্কার করার চেষ্টা করবেন, মৃত্যুর সময় তাঁদের কার বয়স কত ছিল, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আসলে কী ছিল আর তাঁদের মৃত্যুর কারণই বা কী ছিল। তবে এখন পর্যন্ত সবাই নিশ্চিত, তাঁরা প্রেমিক-প্রেমিকাই ছিলেন। যারাই তাঁদের সমাহিত করেছে, তারা নিশ্চয়ই ভেবেছিল যে মৃত্যুর আগে তাঁদের সম্পর্কের মতোই মৃত্যুর পরও তা সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই ভাবনা থেকেই হয়তো তাদের একসঙ্গে সমাহিত করা হয়েছিল। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল অনলাইন।
No comments