নুসরাত ভুট্টোর সঙ্গে চলে গেল অনেক ঐতিহাসিক তথ্য by হামিদ মির
‘আমি জানি, আমার স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়নি। তারা তাঁকে কারাগারের ভেতরে হত্যা করেছে। আমার আশঙ্কা, তারা মুর্তাজা ও বেনজিরকেও হত্যা করবে। কারণ, তারা পুরো ভুট্টো পরিবারকে শেষ করে দিতে চায়।’ এ কথাগুলো প্রয়াত নুসরাত ভুট্টো ১৯৯৫ সালে আমাকে বলেছিলেন। গত রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান নুসরাত ভুট্টো (৮২)। বহু ঐতিহাসিক গোপন তথ্য স্মৃতিতে রেখে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আলঝেইমার রোগে ভুগছিলেন।
লারকানায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে পাকিস্তান সরকার দেশটিতে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের এবং গতকাল সোমবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। পিপিপি দলীয়ভাবে ৪০ দিনের শোক পালন করবে। নুসরাত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর স্ত্রী, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মা। কিন্তু তাঁর জীবন ছিল দুঃখ-কষ্টে ভরা। তিনি তাঁর স্বামী ও ছোট ছেলে মীর শাহ নেওয়াজ ভুট্টোর মৃত্যু সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন। কিন্তু বড় ছেলে মীর মুর্তাজা ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের পর কার্যত ভেঙে পড়েন তিনি।
১৯৪৯ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে নুসরাতের দেখা হয়। সে সময় জুলফিকার নুসরাতকে দেখে মুগ্ধ হন। ১৯৫১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে জুলফিকার বিয়ের প্রস্তাব দেন নুসরাতকে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা দেখা দেয়। জুলফিকার ছিলেন বিবাহিত। তাই তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান নুসরাত।
পরে জুলফিকার দেখা করেন নুসরাতের বাবার সঙ্গে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, মাত্র ১৪ বছর বয়সে কেন পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর প্রথম স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই। জুলফিকার প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি নুসরাতকে সারা জীবন সুখে রাখবেন। জুলফিকারের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হন নুসরাতের বাবা। বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু এই দ্বিতীয় বিয়ে গোপনে করেননি জুলফিকার। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলে জানান প্রথম স্ত্রী আমির বেগমকে। ১৯৫১ সালে যখন জুলফিকার ও নুসরাতের বিয়ে হয়, তখন আমির বেগমের বাবা নতুন দম্পতিকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন। বাকি জীবনে নুসরাতের সঙ্গে আমির বেগমের কোনো সমস্যা হয়নি।
১৯৫৩ সালে জুলফি-নুসরাতের প্রথম সন্তান বেনজিরের জন্ম হয়। তারপর দুই ছেলে মুর্তাজা ও শাহ নেওয়াজ।
১৯৮২ সালে যখন নুসরাতের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন তিনি ও বেনজির ভুট্টো কারাগারে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন তিনি পিপিপির নেতৃত্ব বেনজিরের কাছে হস্তান্তর করেন। ১৯৮৭ সালে নুসরাত তাঁর মেয়ে বেনজিরকে আসিফ আলী জারদারিকে বিয়ে করতে রাজি করান।
নুসরাত নিশ্চিত ছিলেন, তাঁর স্বামীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি সব সময় চাইতেন, তাঁর স্বামীকে হত্যার ঘটনা অবশ্য কেউ তদন্ত করুক এবং প্রমাণিত হবে, আদালত একটি হত্যা মামলায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছেন, তা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়।
১৯৪৯ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে নুসরাতের দেখা হয়। সে সময় জুলফিকার নুসরাতকে দেখে মুগ্ধ হন। ১৯৫১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে জুলফিকার বিয়ের প্রস্তাব দেন নুসরাতকে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা দেখা দেয়। জুলফিকার ছিলেন বিবাহিত। তাই তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান নুসরাত।
পরে জুলফিকার দেখা করেন নুসরাতের বাবার সঙ্গে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, মাত্র ১৪ বছর বয়সে কেন পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর প্রথম স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই। জুলফিকার প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি নুসরাতকে সারা জীবন সুখে রাখবেন। জুলফিকারের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হন নুসরাতের বাবা। বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু এই দ্বিতীয় বিয়ে গোপনে করেননি জুলফিকার। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলে জানান প্রথম স্ত্রী আমির বেগমকে। ১৯৫১ সালে যখন জুলফিকার ও নুসরাতের বিয়ে হয়, তখন আমির বেগমের বাবা নতুন দম্পতিকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন। বাকি জীবনে নুসরাতের সঙ্গে আমির বেগমের কোনো সমস্যা হয়নি।
১৯৫৩ সালে জুলফি-নুসরাতের প্রথম সন্তান বেনজিরের জন্ম হয়। তারপর দুই ছেলে মুর্তাজা ও শাহ নেওয়াজ।
১৯৮২ সালে যখন নুসরাতের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন তিনি ও বেনজির ভুট্টো কারাগারে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন তিনি পিপিপির নেতৃত্ব বেনজিরের কাছে হস্তান্তর করেন। ১৯৮৭ সালে নুসরাত তাঁর মেয়ে বেনজিরকে আসিফ আলী জারদারিকে বিয়ে করতে রাজি করান।
নুসরাত নিশ্চিত ছিলেন, তাঁর স্বামীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি সব সময় চাইতেন, তাঁর স্বামীকে হত্যার ঘটনা অবশ্য কেউ তদন্ত করুক এবং প্রমাণিত হবে, আদালত একটি হত্যা মামলায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছেন, তা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়।
No comments