মেনে নিতে পারছেন না সাব-সাহারা অঞ্চলের মানুষ
লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির অধ্যায় শেষ। তাঁর মৃত্যুতে পশ্চিমা দেশগুলো উল্লাস প্রকাশ করেছে। তাঁর মৃত্যুকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেছে, দীর্ঘ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেল দেশটি। তবে গাদ্দাফির মৃত্যুসংবাদে শোকে মুহ্যমান আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল। অনেকেই কেঁদেছেন নীরবে-নিভৃতে, শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁদের বীর নেতাকে। তাঁদের মতে, এখন আফ্রিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পশ্চিমা হস্তক্ষেপ আরও বাড়বে, লুণ্ঠন হবে লিবিয়ার তেলসম্পদ।
উগান্ডার রাজধানী কামপালার একটি বৃহৎ মসজিদ পরিচালনায় সহায়তা করেন সেলিম আবদুল। গাদ্দাফির নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়। সেটির পরিচালনায় মোটা অঙ্কের অর্থও দিতেন গাদ্দাফি। সেলিম আবদুল জানালেন, ‘আমরা সেই এক ভাগ, যারা (গাদ্দাফির মৃত্যু) উদ্যাপন করছি না। তিনি উগান্ডাকে বড্ড ভালোবাসতেন।’ সেলিম আরও জানান, গাদ্দাফি ওই মসজিদের ২০ জন কর্মীর জন্য পরবর্তী ২০ বছর বেতন দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এখন সবকিছুই শেষ হয়ে গেল। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর গাদ্দাফিকে শ্রদ্ধা জানাতে মসজিদটিতে আনুমানিক ৩০ হাজার লোক জড়ো হন।
উগান্ডার দ্য ডেইলি মনিটর সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিবিয়ায় দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত আমির মুতাইয়াবা বলেন, গাদ্দাফি বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ তাঁকে অনুগ্রহ দান করবেন। আর বিদেশি তেল খননকারীরা শাস্তি পাবে। তাঁর এই মন্তব্য ওই ধারণারই পরোক্ষ ইঙ্গিত, যারা মনে করে, তেলসম্পদ লুণ্ঠনের জন্যই মূলত পশ্চিমারা লিবিয়ায় আগ্রাসন চালিয়েছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার গণমাধ্যমে গাদ্দাফিকে আফ্রিকার প্রশংসনীয় নেতাদের অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির সাবেক মিলিশিয়া নেতা মুজাহিদ দকুবো-আসারি বলেছেন, তাঁর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। বিশ্বের জনগণ এর বিরুদ্ধে জেগে উঠবে।
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জর্জ শারাম্বা বলেছেন, জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা এবং আফ্রিকার রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় অবদানের জন্য গাদ্দাফিকে স্মরণ করতেই হবে। তিনি বলেন, বিদেশিদের ইন্ধনে এই অঞ্চলের রাজনীতির ধারা পরিবর্তনের মডেল গাদ্দাফির রক্ত ঝরেছে। এটা সরকার মেনে নিতে পারে না।
এ ছাড়া আফ্রিকার অনেকেই, যাঁরা গাদ্দাফিকে পছন্দ করতেন না, তাঁরাও এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে আহত হয়েছেন। এ রকমই একজন মালির বার্ষিক জনপ্রিয় সংগীত উৎসবের পরিচালক মান্নি আনসার। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই গাদ্দাফির ভক্ত ছিলাম না। তবে তাঁকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাতে আমি কষ্ট পেয়েছি। তাঁকে ভালোবাসি আর নাই বাসি, আমাদের স্বীকার করতেই হবে, তিনি আফ্রিকার মহান নেতাদের একজন, যাঁরা কয়েক প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছেন।
উগান্ডার রাজধানী কামপালার একটি বৃহৎ মসজিদ পরিচালনায় সহায়তা করেন সেলিম আবদুল। গাদ্দাফির নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়। সেটির পরিচালনায় মোটা অঙ্কের অর্থও দিতেন গাদ্দাফি। সেলিম আবদুল জানালেন, ‘আমরা সেই এক ভাগ, যারা (গাদ্দাফির মৃত্যু) উদ্যাপন করছি না। তিনি উগান্ডাকে বড্ড ভালোবাসতেন।’ সেলিম আরও জানান, গাদ্দাফি ওই মসজিদের ২০ জন কর্মীর জন্য পরবর্তী ২০ বছর বেতন দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এখন সবকিছুই শেষ হয়ে গেল। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর গাদ্দাফিকে শ্রদ্ধা জানাতে মসজিদটিতে আনুমানিক ৩০ হাজার লোক জড়ো হন।
উগান্ডার দ্য ডেইলি মনিটর সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিবিয়ায় দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত আমির মুতাইয়াবা বলেন, গাদ্দাফি বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ তাঁকে অনুগ্রহ দান করবেন। আর বিদেশি তেল খননকারীরা শাস্তি পাবে। তাঁর এই মন্তব্য ওই ধারণারই পরোক্ষ ইঙ্গিত, যারা মনে করে, তেলসম্পদ লুণ্ঠনের জন্যই মূলত পশ্চিমারা লিবিয়ায় আগ্রাসন চালিয়েছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার গণমাধ্যমে গাদ্দাফিকে আফ্রিকার প্রশংসনীয় নেতাদের অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির সাবেক মিলিশিয়া নেতা মুজাহিদ দকুবো-আসারি বলেছেন, তাঁর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। বিশ্বের জনগণ এর বিরুদ্ধে জেগে উঠবে।
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জর্জ শারাম্বা বলেছেন, জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা এবং আফ্রিকার রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় অবদানের জন্য গাদ্দাফিকে স্মরণ করতেই হবে। তিনি বলেন, বিদেশিদের ইন্ধনে এই অঞ্চলের রাজনীতির ধারা পরিবর্তনের মডেল গাদ্দাফির রক্ত ঝরেছে। এটা সরকার মেনে নিতে পারে না।
এ ছাড়া আফ্রিকার অনেকেই, যাঁরা গাদ্দাফিকে পছন্দ করতেন না, তাঁরাও এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে আহত হয়েছেন। এ রকমই একজন মালির বার্ষিক জনপ্রিয় সংগীত উৎসবের পরিচালক মান্নি আনসার। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই গাদ্দাফির ভক্ত ছিলাম না। তবে তাঁকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাতে আমি কষ্ট পেয়েছি। তাঁকে ভালোবাসি আর নাই বাসি, আমাদের স্বীকার করতেই হবে, তিনি আফ্রিকার মহান নেতাদের একজন, যাঁরা কয়েক প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছেন।
No comments