চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা-র‌্যাবের হাতে তিনজন আটক ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনজনকে গতকাল রবিবার এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো_আরিফ হোসেন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম ওরফে বাদশাহ ও মিজানুর রহমান।র‌্যাব জানায়, কঙ্বাজারের মঈন উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে নিয়োগ পেতে ঢাকায় এসে প্রতারণার শিকার হয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশার কাছে অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় 'মনোলোভা' রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।


পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। র‌্যাব সূত্র জানায়, কদিন আগে একটি পত্রিকায় ইতালির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ম্যাডামের কথা বলে '১২ তলা বাড়ি ও সিরামিকের শো-রুমে একজন ম্যানেজার ও ম্যাডামের একজন এপিএস নিয়োগ দেওয়া হবে'_এমন বিজ্ঞাপন দেয় প্রতারকরা। বিজ্ঞাপনে ০১৬৭৭৩৪৩১৭৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। মহিউদ্দিন ম্যানেজার হওয়ার আশায় এই নম্বরে ফোন করেন। প্রতারকরা তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কঙ্বাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তাঁর কাছ থেকে জামানত বাবদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে একটি কাগজে নিয়োগপত্রও দেয়। রেস্টুরেন্টে টাকা দেওয়ার পর মহিউদ্দিনের কাছে মনে হয় তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তিনি সোজা চলে যান র‌্যাবের কাছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলে, আরিফ, টঙ্গীর বিজ্ঞাপন বুথ থেকে ৩০০ টাকায় বিজ্ঞাপনটি পত্রিকায় ছাপায়। তারা কোনো রেস্টুরেন্ট বা অন্য কোনো অফিসের সামনে জামানতের টাকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীকে সাক্ষাৎ করতে বলে। প্রার্থী এলে তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে ম্যাডামের নাম করে কোনো একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। এ বিষয়ে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নারীকে ব্যবহার করেছে। এমনকি কয়েকবার তার স্ত্রীকেও ব্যবহার করেছে। চাকরিপ্রার্থী সন্তুষ্ট হয়ে জামানতের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পর একটা কাগজে গুলশানের একটা ঠিকানা লিখে দিয়ে বলা হয়, 'আপনার চাকরি হয়ে গেছে। সরাসরি এ ঠিকানায় গিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু বাস্তবে এ ঠিকানায় কোনো বাড়ির অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।'
গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, চাকরিপ্রার্থীর কাছে থাকা মোবাইল নম্বরে ফোন করলে বলা হয়, তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সে খারাপ লোক। ম্যাডাম তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে বলেছে।

No comments

Powered by Blogger.