আরব গণজাগরণের সূতিকাগার তিউনিসিয়ায় প্রথম নির্বাচন

রব গণজাগরণের সূতিকাগার তিউনিসিয়ায় গতকাল রোববার প্রথমবারের মতো ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা সাংবিধানিক পরিষদ গণতান্ত্রিক তিউনিসিয়ার জন্য একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন করবে। খবর এএফপি, আলজাজিরা অনলাইনের।
তিউনিসিয়ায় গণজাগরণের পর একে একে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির সাবেক শাসক জিনে আল আবিদিন বেন আলি ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।


গত ডিসেম্বরে মুহাম্মদ বুয়াজিজি নামে এক তরুণ ফল বিক্রেতা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে পুরো তিউনিসিয়ায় বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই উঠে আসে দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানাবিধ অভ্যন্তরীণ সমস্যা।
এক দশক পর অবাধ ও নিরপেক্ষ এ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ধর্মনিরপেক্ষ ও ইসলামপন্থি দলগুলো। নির্বাচনে ২১৭টি আসনের বিপরীতে ৮০টি রাজনৈতিক দলের ১১ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন আরও হাজারখানেক। প্রায় ৪৪ লাখ তিউনিসীয় ভোটার হিসেবে নাম নিবন্ধন করিয়েছেন। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। আজ সোমবার ফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশটির সংবিধান সংশোধনসহ ভবিষ্যৎ তিউনিসিয়ার রূপকল্প নির্ধারণে কাজ করবেন। দেশটির পর্যালোচকরা মনে করছেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া সরকারের প্রধান কাজ হবে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করা। নির্বাচন উপলক্ষে ৪০ হাজার পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় দোকানিরা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কায় অনেকেই দুধ ও পানিসহ খাদ্যসামগ্রী কিনে মজুদ করে রেখেছেন।

No comments

Powered by Blogger.