তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প, ৮৫ মৃতদেহ উদ্ধার-সহস্রাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গতকাল রবিবার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায়) ৮৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে সহস্রাধিক লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। অনেকে ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনে আটকা রয়েছে। কেবল একটি শহরেই অর্ধশত মানুষ মারা গেছে। অন্য শহরগুলোতে আরো ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি্বক জরিপ সংস্থার হিসাব মতে, তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ভ্যানে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২।
তবে তুরস্কের স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা প্রথমে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৬ উল্লেখ করে। পরে তারা ওই মাত্রা ৭ দশমিক ১ বলে জানিয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি্বক জরিপ সংস্থা ঘটনার পরপরই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৬ বলে জানিয়েছিল।
ঘটনার পরপরই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভূমিকম্পে ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানায়। আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পে ভ্যান শহরে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু কতজন নিহত হয়েছে, তা জানা যায়নি। এদিকে স্থানীয় কানদিলি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান মুস্তাফা ইরদিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভ্যান প্রদেশের কাছে ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০০ থেকে এক হাজার হতে পারে।
সরকারের একটি সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের ঘটনায় প্রায় ৪৫টি ভবন ভেঙে পড়েছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, ভ্যান প্রদেশের এরসিস শহরে একটি ডরমিটরিসহ ২৫ থেকে ৩০টি ভবন ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এরসিস এলাকার মেয়র জুলফুকার এরাপগলু বলেন, 'অনেক ভবন ধসে পড়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। তবে কতজন, তা আমরা জানি না। আমরা জরুরি সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছি। এ মুহূর্তে তা খুবই জরুরি।' তিনি আরো বলেন, 'আমাদের অবিলম্বে তাঁবু ও উদ্ধারকারী দল দরকার। আমাদের কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। একটি মাত্র হাসপাতাল আছে। কিন্তু হতাহত হয়েছে বহু মানুষ।'
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্রে গতকাল রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) কেবল এরসিস শহরেই ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আহত হয়েছে চারশরও বেশি। তা ছাড়া ভ্যানে একটি সাত তলা ভবন ধসে পড়ে অনেক লোক আটকা পড়েছে।
এদিকে ভ্যানে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা আনাতোলিয়া। আহত ৫০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা কতটা গুরুতর সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এ ছাড়া টেলিভিশনে ধসে পড়া ভবন ও বিধ্বস্ত গাড়ির ছবি দেখানো হয়েছে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজনকে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। ভূমিকম্পের ফলে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ইতিমধ্যেই ভ্যান পরিদর্শনে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
খবরে জানা যায়, ভ্যান থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর হাক্কারিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কানদিলি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, ইরান সীমান্তবর্তী তুর্কি শহর ভ্যান থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গ্রিনিচ মান সময় ১০টা ৪১ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ছিল।
তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট জানায়, এরসিসে ২৫টি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। আশপাশের প্রদেশগুলোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে বলা হয়। প্রাথমিক ভূকম্পনের পর একাধিক কম্পন অনুভূত হয় বলেও কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। ইরানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হওয়ায় ওই অঞ্চলের প্রধান প্রধান শহরে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
উল্লেখ্য, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ১৯৯৯ সালে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৭০ সালে কুতাহায়া প্রদেশে ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। সূত্র : এপি, এএফপি, টুডেইজজামান, ওয়ার্ল্ডবুলেটিন, আরআইএ, এজেসি, হারেজ অনলাইন।
ঘটনার পরপরই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভূমিকম্পে ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানায়। আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পে ভ্যান শহরে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু কতজন নিহত হয়েছে, তা জানা যায়নি। এদিকে স্থানীয় কানদিলি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান মুস্তাফা ইরদিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভ্যান প্রদেশের কাছে ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০০ থেকে এক হাজার হতে পারে।
সরকারের একটি সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের ঘটনায় প্রায় ৪৫টি ভবন ভেঙে পড়েছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, ভ্যান প্রদেশের এরসিস শহরে একটি ডরমিটরিসহ ২৫ থেকে ৩০টি ভবন ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এরসিস এলাকার মেয়র জুলফুকার এরাপগলু বলেন, 'অনেক ভবন ধসে পড়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। তবে কতজন, তা আমরা জানি না। আমরা জরুরি সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছি। এ মুহূর্তে তা খুবই জরুরি।' তিনি আরো বলেন, 'আমাদের অবিলম্বে তাঁবু ও উদ্ধারকারী দল দরকার। আমাদের কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। একটি মাত্র হাসপাতাল আছে। কিন্তু হতাহত হয়েছে বহু মানুষ।'
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্রে গতকাল রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) কেবল এরসিস শহরেই ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আহত হয়েছে চারশরও বেশি। তা ছাড়া ভ্যানে একটি সাত তলা ভবন ধসে পড়ে অনেক লোক আটকা পড়েছে।
এদিকে ভ্যানে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা আনাতোলিয়া। আহত ৫০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা কতটা গুরুতর সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এ ছাড়া টেলিভিশনে ধসে পড়া ভবন ও বিধ্বস্ত গাড়ির ছবি দেখানো হয়েছে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজনকে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। ভূমিকম্পের ফলে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ইতিমধ্যেই ভ্যান পরিদর্শনে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
খবরে জানা যায়, ভ্যান থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর হাক্কারিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কানদিলি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, ইরান সীমান্তবর্তী তুর্কি শহর ভ্যান থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গ্রিনিচ মান সময় ১০টা ৪১ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ছিল।
তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট জানায়, এরসিসে ২৫টি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। আশপাশের প্রদেশগুলোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে বলা হয়। প্রাথমিক ভূকম্পনের পর একাধিক কম্পন অনুভূত হয় বলেও কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। ইরানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হওয়ায় ওই অঞ্চলের প্রধান প্রধান শহরে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
উল্লেখ্য, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ১৯৯৯ সালে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৭০ সালে কুতাহায়া প্রদেশে ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। সূত্র : এপি, এএফপি, টুডেইজজামান, ওয়ার্ল্ডবুলেটিন, আরআইএ, এজেসি, হারেজ অনলাইন।
No comments