হাসিনা-মনমোহন বৈঠক শনিবার অস্ট্রেলিয়ায়
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠক হবে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা যায়।এদিকেআগামী তিন মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে জানান, জার্মানি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার ভোরে দেশে ফিরবেন। দেশে ১৫ ঘণ্টা অবস্থানের পর বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আগামী শুক্র থেকে রবিবার কমনওয়েলথের সরকারপ্রধানদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের ফাঁকে কমনওয়েলথের সদস্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। আগামী শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
হাসিনা-মনমোহন বৈঠকের সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি সম্পর্কে কিছুই জানাননি ওই কর্মকর্তা। তবে গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা হতে পারে বলে তিনি জানান। ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ ছিটমহল বিনিময়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আগ্রহী।
আগামী তিন মাসে ঢাকা-দিলি্ল কয়েকটি বৈঠক : আগামী তিন মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক জানান, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে জেআরসির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের স্বরাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে নিরাপত্তাবিষয়ক একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক এবং স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলাদা একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকগুলোর দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে বৈঠকগুলো দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের অংশ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকগুলোতে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
তিন বিঘা করিডরে চিদাম্বরমের অনুপস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি : গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন বিঘা করিডর পরিদর্শনের সময় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিন বিঘা করিডরে ভারত সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের অভ্যর্থনা জানানোর কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন মঙ্গলবার পি চিদাম্বরমের ৯১ বছর বয়সী মা পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরের দিন সকালে মায়ের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকায় তিনি দ্রুত চেন্নাই ছুটে যান।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি পাওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে।
গতকাল রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন বিঘা করিডর সফরের সময় পি চিদাম্বরম যে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তা আগের রাতেই ঢাকাকে জানানো হয়।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন বিঘা করিডর পরিদর্শন বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবগত করার কথা জানালেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী গত শনিবার দিলি্লতে সাংবাদিকদের বলেছেন, 'তিন বিঘার অনুষ্ঠান নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তা ছাড়া এটা দিলি্ল-ঢাকার ব্যাপার। এখানে রাজ্য সরকারের করার কী আছে।'
হাসিনা-মনমোহন বৈঠকের সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি সম্পর্কে কিছুই জানাননি ওই কর্মকর্তা। তবে গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা হতে পারে বলে তিনি জানান। ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ ছিটমহল বিনিময়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আগ্রহী।
আগামী তিন মাসে ঢাকা-দিলি্ল কয়েকটি বৈঠক : আগামী তিন মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক জানান, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে জেআরসির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের স্বরাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে নিরাপত্তাবিষয়ক একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক এবং স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলাদা একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকগুলোর দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে বৈঠকগুলো দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের অংশ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকগুলোতে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
তিন বিঘা করিডরে চিদাম্বরমের অনুপস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি : গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন বিঘা করিডর পরিদর্শনের সময় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিন বিঘা করিডরে ভারত সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের অভ্যর্থনা জানানোর কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন মঙ্গলবার পি চিদাম্বরমের ৯১ বছর বয়সী মা পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরের দিন সকালে মায়ের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকায় তিনি দ্রুত চেন্নাই ছুটে যান।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি পাওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে।
গতকাল রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন বিঘা করিডর সফরের সময় পি চিদাম্বরম যে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তা আগের রাতেই ঢাকাকে জানানো হয়।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন বিঘা করিডর পরিদর্শন বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবগত করার কথা জানালেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী গত শনিবার দিলি্লতে সাংবাদিকদের বলেছেন, 'তিন বিঘার অনুষ্ঠান নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তা ছাড়া এটা দিলি্ল-ঢাকার ব্যাপার। এখানে রাজ্য সরকারের করার কী আছে।'
No comments