ধ্বংসাবশেষ ও লাশের শহর সির্ত
লিবিয়ার সির্ত শহরের বাসিন্দা ওমর বেফাইলা। কয়েক দিন ধরে তিনি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নিজের বাড়িঘর ও দোকানে জমে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে। তাঁকে সহযোগিতা করছেন তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা।
লিবিয়ায় গত আট মাসের গৃহযুদ্ধের সর্বশেষ বড় লড়াইটা হয়েছে এই সির্ত শহরে। এর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে তুমুল লড়াই চলেছে গাদ্দাফি অনুগত বাহিনী ও জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের (এনটিসি) যোদ্ধাদের মধ্যে। গত বৃহস্পতিবার মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই লড়াই শেষ হয়েছে। কিন্তু লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে সির্ত শহরও। গাদ্দাফির এই জন্মশহর এখন ধ্বংসাবশেষ ও লাশের শহর। চারদিকে বিধ্বস্ত চেহারা আর এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে অসংখ্য মৃতদেহ।
এনটিসির এক যোদ্ধা গতকাল গাড়িতে করে যেতে যেতে চিৎকার করছিলেন, ‘যুদ্ধ শেষ। আমরা বাড়ি ফিরছি। গাদ্দাফি আর নেই।’
১৯৪২ সালের জুনে এই পুরোনো মৎস্য ও বন্দরনগরেই জন্মেছিলেন গাদ্দাফি। ৪২ বছর দেশ শাসন শেষে গত বৃহস্পতিবার এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে এনটিসি যোদ্ধাদের হাতে।
শহরের কেন্দ্রস্থলের বাইরে একটি জায়গায় গতকাল ১৭৫টির বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা। বৃহস্পতিবার গাড়িবহর নিয়ে পালানোর সময় ন্যাটোর বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল গাদ্দাফির অনুগত এই লোকজন।
শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত আল-মাহারি হাসপাতাল। সেখানে এখন দুর্গন্ধে টেকা মুশকিল। হাসপাতালের সামনে খোলা জায়গায় পড়ে আছে প্রায় ৬০টি মৃতদেহ। সেগুলোতে পচন ধরেছে। অনেক মৃতদেহের হাত-পা বাঁধা। হত্যা করা হয়েছে সরাসরি মাথায় গুলি করে।
শরিফ আহমেদ শরিফ নামের এক এনটিসি যোদ্ধা বলেন, ‘গাদ্দাফির লোকজন এই হাসপাতালটিকে বন্দিশালা হিসেবেই ব্যবহার করেছিল। আমাদের লোকজনকে এখানে আটকে রাখা হয়েছিল। গাদ্দাফির মৃত্যুর পর আমরা এটির খোঁজ পেয়েছি। তারা চলে যাওয়ার আগে আমাদের লোকজনকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।’
তাবিয়া নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী সাদুক আল-বানানি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক মৃতদেহ এখান থেকে সরিয়ে নিয়েছি। আমার হিসাব নেই, সেই সংখ্যা শত শত নাকি হাজার হাজার।’
সির্ত শহরকে নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল গাদ্দাফির। এমনকি একসময় তিনি এটিকে দেশের রাজধানী করার কথাও চিন্তা করেছিলেন। সে অনুযায়ী এখানে গড়ে তোলা হয়েছিল বিভিন্ন অবকাঠামো। বিলাসবহুল একটি সম্মেলন কেন্দ্রও এখানে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে গত বছর আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসব কিছুই এখন ধ্বংসাবশেষ। শহরের একটি ভবনও আর আস্ত নেই।
লিবিয়ায় গত আট মাসের গৃহযুদ্ধের সর্বশেষ বড় লড়াইটা হয়েছে এই সির্ত শহরে। এর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে তুমুল লড়াই চলেছে গাদ্দাফি অনুগত বাহিনী ও জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের (এনটিসি) যোদ্ধাদের মধ্যে। গত বৃহস্পতিবার মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই লড়াই শেষ হয়েছে। কিন্তু লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে সির্ত শহরও। গাদ্দাফির এই জন্মশহর এখন ধ্বংসাবশেষ ও লাশের শহর। চারদিকে বিধ্বস্ত চেহারা আর এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে অসংখ্য মৃতদেহ।
এনটিসির এক যোদ্ধা গতকাল গাড়িতে করে যেতে যেতে চিৎকার করছিলেন, ‘যুদ্ধ শেষ। আমরা বাড়ি ফিরছি। গাদ্দাফি আর নেই।’
১৯৪২ সালের জুনে এই পুরোনো মৎস্য ও বন্দরনগরেই জন্মেছিলেন গাদ্দাফি। ৪২ বছর দেশ শাসন শেষে গত বৃহস্পতিবার এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে এনটিসি যোদ্ধাদের হাতে।
শহরের কেন্দ্রস্থলের বাইরে একটি জায়গায় গতকাল ১৭৫টির বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা। বৃহস্পতিবার গাড়িবহর নিয়ে পালানোর সময় ন্যাটোর বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল গাদ্দাফির অনুগত এই লোকজন।
শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত আল-মাহারি হাসপাতাল। সেখানে এখন দুর্গন্ধে টেকা মুশকিল। হাসপাতালের সামনে খোলা জায়গায় পড়ে আছে প্রায় ৬০টি মৃতদেহ। সেগুলোতে পচন ধরেছে। অনেক মৃতদেহের হাত-পা বাঁধা। হত্যা করা হয়েছে সরাসরি মাথায় গুলি করে।
শরিফ আহমেদ শরিফ নামের এক এনটিসি যোদ্ধা বলেন, ‘গাদ্দাফির লোকজন এই হাসপাতালটিকে বন্দিশালা হিসেবেই ব্যবহার করেছিল। আমাদের লোকজনকে এখানে আটকে রাখা হয়েছিল। গাদ্দাফির মৃত্যুর পর আমরা এটির খোঁজ পেয়েছি। তারা চলে যাওয়ার আগে আমাদের লোকজনকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।’
তাবিয়া নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী সাদুক আল-বানানি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক মৃতদেহ এখান থেকে সরিয়ে নিয়েছি। আমার হিসাব নেই, সেই সংখ্যা শত শত নাকি হাজার হাজার।’
সির্ত শহরকে নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল গাদ্দাফির। এমনকি একসময় তিনি এটিকে দেশের রাজধানী করার কথাও চিন্তা করেছিলেন। সে অনুযায়ী এখানে গড়ে তোলা হয়েছিল বিভিন্ন অবকাঠামো। বিলাসবহুল একটি সম্মেলন কেন্দ্রও এখানে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে গত বছর আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসব কিছুই এখন ধ্বংসাবশেষ। শহরের একটি ভবনও আর আস্ত নেই।
No comments