জয় শ্রীরাম’ না-বলায় এ বার মার পুরুলিয়ায়
‘জয়
শ্রীরাম’ না বলায় এ বার বছর এগারোর এক মাদ্রাসা-ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
উঠল পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায়। কিশোরের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে চার যুবক পথ আটকে
তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় তাকে মাটিতে ফেলে
মারা হয়। বৃহস্পতিবার তার বাবা নিতুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ
সুপার তদন্ত হচ্ছে বলে জানালেও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
তবে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, ‘‘বিজেপি উগ্র হিন্দুত্বের জিগির তুলে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপির ভাবমূর্তিতে কালি ছেটাতে তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’
ছাত্রটি জানায়, এক বন্ধুকে বাসে তুলে দিয়ে মাদ্রাসায় ফিরছিল সে। পথ আটকায় বছর তিরিশের জানা চারেক। প্রথমে পরিচয় জানতে চায়। তার পর ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপাচাপি করে। তার অভিযোগ, ‘‘ওদের কথা না শোনায় লাথি, ঘুষি মারে। কাকুতি-মিনতি করছিলাম। শোনেনি। পরে ওদের এক জন বলল, ‘খারাপ কিছু হলে ফেঁসে যাব’। তার পরে মার থামে।’’ মাদ্রাসার মৌলানা বলেন, ‘‘রাত পর্যন্ত ঘুমোচ্ছে না দেখে ছেলেটাকে ডেকে কথা বলি। তখনই জানলাম, কী কাণ্ড হয়েছে।’’ ছেলেটিকে এ দিন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তার বাবা। তিনি বলেন, ‘‘কোন ভরসায় মাদ্রাসায় ছেলেকে রাখব? যদি আরও খারাপ কিছু হয়! বাড়ি ফিরেও ছেলে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে।”
মাসখানেক আগে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এক ব্যক্তিকে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর এক মাদ্রাসা শিক্ষককেও ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। নিতুড়িয়ার মাদ্রাসাটির মৌলানা বলেন, ‘‘বুধবার যা ঘটল, তার পরে খুব অস্বস্তি হচ্ছে।’
তবে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, ‘‘বিজেপি উগ্র হিন্দুত্বের জিগির তুলে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপির ভাবমূর্তিতে কালি ছেটাতে তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’
ছাত্রটি জানায়, এক বন্ধুকে বাসে তুলে দিয়ে মাদ্রাসায় ফিরছিল সে। পথ আটকায় বছর তিরিশের জানা চারেক। প্রথমে পরিচয় জানতে চায়। তার পর ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপাচাপি করে। তার অভিযোগ, ‘‘ওদের কথা না শোনায় লাথি, ঘুষি মারে। কাকুতি-মিনতি করছিলাম। শোনেনি। পরে ওদের এক জন বলল, ‘খারাপ কিছু হলে ফেঁসে যাব’। তার পরে মার থামে।’’ মাদ্রাসার মৌলানা বলেন, ‘‘রাত পর্যন্ত ঘুমোচ্ছে না দেখে ছেলেটাকে ডেকে কথা বলি। তখনই জানলাম, কী কাণ্ড হয়েছে।’’ ছেলেটিকে এ দিন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তার বাবা। তিনি বলেন, ‘‘কোন ভরসায় মাদ্রাসায় ছেলেকে রাখব? যদি আরও খারাপ কিছু হয়! বাড়ি ফিরেও ছেলে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে।”
মাসখানেক আগে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এক ব্যক্তিকে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর এক মাদ্রাসা শিক্ষককেও ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। নিতুড়িয়ার মাদ্রাসাটির মৌলানা বলেন, ‘‘বুধবার যা ঘটল, তার পরে খুব অস্বস্তি হচ্ছে।’
No comments