সুস্থ হয়ে উঠছে ফাবিয়ান চৌধুরী by ওয়েছ খছরু
সুস্থ
হয়ে উঠছে সিলেটের ফাবিয়ান চৌধুরী। প্রায় ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর
তার জ্ঞান ফিরেছে। এরপর ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিয়ে তার কোমরের নিচে ও বাম
পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। ফাবিয়ানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফাবিয়ান
সুস্থ হওয়ার পথে। তবে তার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। সিলেটের
শিবগঞ্জ শাখা স্কলার্সহোমের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাবিয়ান চৌধুরী। গত
১৭ই জুন ছুটির সময় ফাবিয়ান চৌধুরীকে স্কুলের মাঠে বালুর মধ্যে অচেতন
অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে সিলেটের ওয়েসিস, আল হারমাইন হাসপাতালে চিকিৎসা
দেয়া হয়।
এরপরও ফাবিয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে ঘটনার দু’দিনের মাথায় ঢাকার গ্রীনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় ১০ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিল ফাবিয়ান। এরপর তার জ্ঞান ফিরে। ধরা পড়ে তার বুকের টিস্যু ছেঁড়া এবং কোমরের নিচের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থায় ডাক্তাররা গত সোমবার তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। এই অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় আপাতত ফাবিয়ানের জীবনহানির শঙ্কা কেটে গেছে বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে। কী হয়েছিল ফাবিয়ানের- সেটি নিয়ে এখনো কৌতূহল। বিষয়টি নিয়ে ফাবিয়ানের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ভালোভাবে কথা বলেননি। তবে ফাবিয়ান এইটুকু বলেছে- ‘তাকে ছাদ থেকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।’ পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে ফাবিয়ানের এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট গোলাম সুবহান চৌধুরী। তিনি ফেসবুক আইডিতেও এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। ফাবিয়ানকে হাসপাতালে দেখে এসে গত বুধবার অ্যাডভোকেট গোলাম সুবহান চৌধুরী নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘ফাবিয়ান চৌধুরীর বাম পায়ে ও কোমরের নিচে মেজর অপারেশন হয়েছে দু’দিন পূর্বে। পাশেই তার উদ্বিগ্ন বাবা-মা ব্যতিব্যস্ত যেন সন্তানের কোনো কষ্ট না হয়। কিছুক্ষণ পর পর ব্যথায় সে কুঁকড়ে উঠছে তাতেই বাবা-মা স্থির থাকতে পারছেন না। সুস্থ হয়ে উঠার জন্য বহুদিন লড়ে যেতে হবে ফাবিয়ান ও তার পরিবারকে।’ স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ফাবিয়ান বলেছে যে- তাকে কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে স্কুলের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। তাই সচেতন মহল মনে করে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত এবং তদন্তের ফলাফল সবার জানা দরকার। ছোট শিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে স্কুল কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছিল কি-না, তাতে তাদের কোনো গাফলতি ছিল কি-না তাও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা জানতে চান।’ এদিকে ফাবিয়ানের ঘটনার পর স্কলার্সহোমের শিক্ষকদের আচরণে চরম ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর প্রিন্সিপালের নানা কথা আহত করেছে পিতা ফারহিম চৌধুরীকে। তিনিও নিজের ফেসবুক আইডিতে স্কলার্সহোমের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন- ‘স্কলার্সহোম স্কুলের শিবগঞ্জ শাখা ও অন্যান্য শাখার অভিভাবকদের জ্ঞাতার্তে বলছি- আপনারা কি জানেন আপনার সন্তান স্কুলে কতটুকু নিরাপদে থাকে। আপনারা অবশ্যই জোর করে হলে স্কুলের ভেতর প্রদক্ষিণ করবেন এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশ না হলে আপনার সন্তানকে সেখানে দিবেন না। আমি চাই না আজ যেটা আমার সন্তানের বেলায় ঘটেছে সেটা আপনার সন্তানের বেলায় ঘটুক।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘স্কলার্সহোমের শিবগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল ওয়েসিস হাসপাতাল অথরিটিকে জানালেন- সে পাঁচতলায় মেয়েদের বাথরুমে গিয়েছিল, এরকম নোংরা মনে যে সমস্ত শিক্ষক কথা বলে তাদের মানসিকতা নিশ্চয় প্রশ্নবিদ্ধ। ফাবিয়ান যখন আলহারামাইনে ছিল তখন তিনি বললেন- সে পয়জন খেয়েছে। কিন্তু তার পাকস্থলি ও রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে কিছুই পাওয়া যায়নি। তিনি এখন আবার বলছেন- সে পরীক্ষায় সি পেয়েছে বলে সে সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে। এটা নিতান্তই হাস্যকর। এত কম বয়সের শিশুদের মধ্যে এই ট্যান্ডেন্সি তৈরি হয় না।’ ফাবিয়ানের ঘটনা নিয়ে এখনো অন্ধকারে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ। তবে- স্কুলের ট্রাস্টি হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি ফাবিয়ানের চিকিৎসা সম্পর্কে আন্তরিক। তিনি ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে গিয়ে ফাবিয়ান চৌধুরীকে দেখে এসেছেন। তার পিতা-মাতাকে সান্ত্বনা দিয়ে এসেছেন। এবং ফাবিয়ানের ঘটনাটি তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন বলে জানিয়ে এসেছেন। এ কারণে ফাবিয়ানের পরিবার কিছুটা সান্ত্বনা পেয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের আচরণে তারা খুশি নয়। ঘটনাটিকে ঝাপসা করে রাখায় পরিবারের ক্ষোভ। একই ভাবে ক্ষুব্ধ স্কুলের অভিভাবকরা। তারা জানিয়েছেন, সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কলার্সহোম একটি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা কমছে না। এদিকে ফাবিয়ানের ঘটনায় স্কুলের ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি তাদের প্রাথমিক একটি রিপোর্ট ট্রাস্টের সেক্রেটারি বরাবর দিয়েছে। স্কলার্সহোম শিবগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল প্রাণবন্ধু বিশ্বাস গতকাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ট্রাস্টের গঠিত তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় ফাবিয়ানের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আশার কথা হলো- ফাবিয়ান সুস্থ হয়ে উঠছে।
এরপরও ফাবিয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে ঘটনার দু’দিনের মাথায় ঢাকার গ্রীনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় ১০ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিল ফাবিয়ান। এরপর তার জ্ঞান ফিরে। ধরা পড়ে তার বুকের টিস্যু ছেঁড়া এবং কোমরের নিচের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থায় ডাক্তাররা গত সোমবার তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। এই অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় আপাতত ফাবিয়ানের জীবনহানির শঙ্কা কেটে গেছে বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে। কী হয়েছিল ফাবিয়ানের- সেটি নিয়ে এখনো কৌতূহল। বিষয়টি নিয়ে ফাবিয়ানের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ভালোভাবে কথা বলেননি। তবে ফাবিয়ান এইটুকু বলেছে- ‘তাকে ছাদ থেকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।’ পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে ফাবিয়ানের এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট গোলাম সুবহান চৌধুরী। তিনি ফেসবুক আইডিতেও এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। ফাবিয়ানকে হাসপাতালে দেখে এসে গত বুধবার অ্যাডভোকেট গোলাম সুবহান চৌধুরী নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘ফাবিয়ান চৌধুরীর বাম পায়ে ও কোমরের নিচে মেজর অপারেশন হয়েছে দু’দিন পূর্বে। পাশেই তার উদ্বিগ্ন বাবা-মা ব্যতিব্যস্ত যেন সন্তানের কোনো কষ্ট না হয়। কিছুক্ষণ পর পর ব্যথায় সে কুঁকড়ে উঠছে তাতেই বাবা-মা স্থির থাকতে পারছেন না। সুস্থ হয়ে উঠার জন্য বহুদিন লড়ে যেতে হবে ফাবিয়ান ও তার পরিবারকে।’ স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ফাবিয়ান বলেছে যে- তাকে কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে স্কুলের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। তাই সচেতন মহল মনে করে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত এবং তদন্তের ফলাফল সবার জানা দরকার। ছোট শিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে স্কুল কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছিল কি-না, তাতে তাদের কোনো গাফলতি ছিল কি-না তাও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা জানতে চান।’ এদিকে ফাবিয়ানের ঘটনার পর স্কলার্সহোমের শিক্ষকদের আচরণে চরম ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর প্রিন্সিপালের নানা কথা আহত করেছে পিতা ফারহিম চৌধুরীকে। তিনিও নিজের ফেসবুক আইডিতে স্কলার্সহোমের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন- ‘স্কলার্সহোম স্কুলের শিবগঞ্জ শাখা ও অন্যান্য শাখার অভিভাবকদের জ্ঞাতার্তে বলছি- আপনারা কি জানেন আপনার সন্তান স্কুলে কতটুকু নিরাপদে থাকে। আপনারা অবশ্যই জোর করে হলে স্কুলের ভেতর প্রদক্ষিণ করবেন এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশ না হলে আপনার সন্তানকে সেখানে দিবেন না। আমি চাই না আজ যেটা আমার সন্তানের বেলায় ঘটেছে সেটা আপনার সন্তানের বেলায় ঘটুক।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘স্কলার্সহোমের শিবগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল ওয়েসিস হাসপাতাল অথরিটিকে জানালেন- সে পাঁচতলায় মেয়েদের বাথরুমে গিয়েছিল, এরকম নোংরা মনে যে সমস্ত শিক্ষক কথা বলে তাদের মানসিকতা নিশ্চয় প্রশ্নবিদ্ধ। ফাবিয়ান যখন আলহারামাইনে ছিল তখন তিনি বললেন- সে পয়জন খেয়েছে। কিন্তু তার পাকস্থলি ও রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে কিছুই পাওয়া যায়নি। তিনি এখন আবার বলছেন- সে পরীক্ষায় সি পেয়েছে বলে সে সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে। এটা নিতান্তই হাস্যকর। এত কম বয়সের শিশুদের মধ্যে এই ট্যান্ডেন্সি তৈরি হয় না।’ ফাবিয়ানের ঘটনা নিয়ে এখনো অন্ধকারে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ। তবে- স্কুলের ট্রাস্টি হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি ফাবিয়ানের চিকিৎসা সম্পর্কে আন্তরিক। তিনি ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে গিয়ে ফাবিয়ান চৌধুরীকে দেখে এসেছেন। তার পিতা-মাতাকে সান্ত্বনা দিয়ে এসেছেন। এবং ফাবিয়ানের ঘটনাটি তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন বলে জানিয়ে এসেছেন। এ কারণে ফাবিয়ানের পরিবার কিছুটা সান্ত্বনা পেয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের আচরণে তারা খুশি নয়। ঘটনাটিকে ঝাপসা করে রাখায় পরিবারের ক্ষোভ। একই ভাবে ক্ষুব্ধ স্কুলের অভিভাবকরা। তারা জানিয়েছেন, সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কলার্সহোম একটি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা কমছে না। এদিকে ফাবিয়ানের ঘটনায় স্কুলের ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি তাদের প্রাথমিক একটি রিপোর্ট ট্রাস্টের সেক্রেটারি বরাবর দিয়েছে। স্কলার্সহোম শিবগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল প্রাণবন্ধু বিশ্বাস গতকাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ট্রাস্টের গঠিত তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় ফাবিয়ানের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আশার কথা হলো- ফাবিয়ান সুস্থ হয়ে উঠছে।
No comments