পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন তালেবানদের সঙ্গে বৈঠককারী প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান
২০০১
সালে কাবুলের ক্ষমতা থেকে তালেবানরা উচ্ছেদের পর পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্ভবত ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে সাক্ষতদানকারী
প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হতে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান কর্মকর্তা
এ কথা জানিয়েছেন। আফগান সরকারের সম্মতিতেই এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও
জানান তিনি।
কর্মকর্তাটি আরো বলেন, আফগান পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে এটা করা হচ্ছে। বৈঠকের পর পাকিস্তান এ বিষয়ে আফগানিস্তানকে ব্রিফ করবে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম পাকিস্তানের মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ পায়।
রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী নাইম উল হক জানিয়েছেন যে আফগান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য শিগগিরই ইমরান খান তালেবান নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতেও ইসলামাবাদে একই ধরনের বৈঠক আয়োজন করা হয়। কিন্তু কাবুল সরকারের প্রবল আপত্তির মুখে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। হক বলেন, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সাম্প্রতি পাকিস্তান সফর ব্যাপকভাবে সফল হয়েছে। এতে আস্থা জোরদার হয়েছে।
ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হক যেদিন এই ঘোষণা দেন সেই একই দিন আরেক ঘোষণায় বলা হয় যে চলতি মাসের শেষ দিকে তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ইমরান। সেখানে ২২ জুলাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি।
এসব অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে বরফ গলার ইংগিত দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। গত বছর পাকিস্তানকে দেয়া ১.৬ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা বাতির করে যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনা
কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যখন সপ্তম দফা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তখনই আফগান বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের খবর প্রকাশ করা হয়।
দোহা আলোচনার ব্যাপারে তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন বুধবার আল জাজিরাকে বলেন যে বর্তমান দফা আলোচনায় দুই পক্ষ চমৎকার অগ্রগতি করেছে। ২০০১ সাল থেকে চলে আসা সংঘাত নিরসনে একটি খসড়া চুক্তি তৈরির কাজ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
পাশাপাশি কাতার ও জার্মান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দোহায় ৭-৮ জুলাই একটি আন্ত:আফগান সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।
কাবুল থেকে সেখানে ৬৪ জন প্রতিনিধি যাচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে আফগান সরকারের প্রতিনিধি থাকবে বলে ঘানির সহাকারি মুখপাত্র শামিম আরিফ জানান। অবশ্য কর্মকর্তারা নিজেদের সামর্থ্যে সেখানে যাবে বলে স্পষ্ট করে দেন তিনি।
এ পর্যন্ত তালেবান নেতারা কাবুল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে আসছে। কাবুল সরকারকে পশ্চিমাদের পুতুল মনে করে তালেবানরা।
পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত আতিফ মাশাল বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সরকারকে ছকের উপর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
দোহা বৈঠকের তালিকায় নারী, সুশীল সমাজের সদস্য এবং আফগান সাংবাদিকদের প্রতিনিধিরাও রয়েছে।
কর্মকর্তাটি আরো বলেন, আফগান পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে এটা করা হচ্ছে। বৈঠকের পর পাকিস্তান এ বিষয়ে আফগানিস্তানকে ব্রিফ করবে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম পাকিস্তানের মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ পায়।
রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী নাইম উল হক জানিয়েছেন যে আফগান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য শিগগিরই ইমরান খান তালেবান নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতেও ইসলামাবাদে একই ধরনের বৈঠক আয়োজন করা হয়। কিন্তু কাবুল সরকারের প্রবল আপত্তির মুখে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। হক বলেন, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সাম্প্রতি পাকিস্তান সফর ব্যাপকভাবে সফল হয়েছে। এতে আস্থা জোরদার হয়েছে।
ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হক যেদিন এই ঘোষণা দেন সেই একই দিন আরেক ঘোষণায় বলা হয় যে চলতি মাসের শেষ দিকে তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ইমরান। সেখানে ২২ জুলাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি।
এসব অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে বরফ গলার ইংগিত দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। গত বছর পাকিস্তানকে দেয়া ১.৬ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা বাতির করে যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনা
কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যখন সপ্তম দফা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তখনই আফগান বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের খবর প্রকাশ করা হয়।
দোহা আলোচনার ব্যাপারে তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন বুধবার আল জাজিরাকে বলেন যে বর্তমান দফা আলোচনায় দুই পক্ষ চমৎকার অগ্রগতি করেছে। ২০০১ সাল থেকে চলে আসা সংঘাত নিরসনে একটি খসড়া চুক্তি তৈরির কাজ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
পাশাপাশি কাতার ও জার্মান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দোহায় ৭-৮ জুলাই একটি আন্ত:আফগান সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।
কাবুল থেকে সেখানে ৬৪ জন প্রতিনিধি যাচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে আফগান সরকারের প্রতিনিধি থাকবে বলে ঘানির সহাকারি মুখপাত্র শামিম আরিফ জানান। অবশ্য কর্মকর্তারা নিজেদের সামর্থ্যে সেখানে যাবে বলে স্পষ্ট করে দেন তিনি।
এ পর্যন্ত তালেবান নেতারা কাবুল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে আসছে। কাবুল সরকারকে পশ্চিমাদের পুতুল মনে করে তালেবানরা।
পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত আতিফ মাশাল বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সরকারকে ছকের উপর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
দোহা বৈঠকের তালিকায় নারী, সুশীল সমাজের সদস্য এবং আফগান সাংবাদিকদের প্রতিনিধিরাও রয়েছে।
গত ২৭ জুন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি (বাঁয়ে) পাকিস্তান সফর করেন |
No comments