মুক্তি পাচ্ছেন ইউসুফ কারযাভির মেয়ে
স্বামীর সাথে ওলা আল কারযাভি |
দীর্ঘ
দুই বছর বিনাবিচারে মিসরের সামরিক শাসকদের কারাগারে বন্দি থাকার পর
বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার আল্লামা শেখ ইউসুফ আল কারযাভির মেয়ে ওলা কারযাভিকে
মুক্তির আদেশ দিয়েছে মিসরের একটি আদালত। এর ফলে দুই বছর পর তার কারামুক্তির
সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
‘পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে এই মুক্তির আদেশর শর্ত হচ্ছে তাকে নির্দিষ্ট সময় পরপর স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিতে হবে। তবে আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপিল করতে পারবে সরকারি কৌশলিরা। তেমনটি হলে তার মুক্তি নাও হতে পারে।
দুই বছর আগে ৫৬ বছর বয়সী ওলা কারযাভি ও তার স্বামী হোসাম খালাফকে আটক করে মিসরের জান্তা সরকার। বিনাবিচারে তারা দুই বছর ধরে আটক রয়েছে মিসরের কারাগারে।
তাদের পরিবার বলছেন, কোন অপরাধ ছাড়া শুধুমাত্র ইউসুফ কারযাভির মেয়ে ও মেয়ে জামাই হওয়ার কারণেই তাদের আটক করা হয়েছে। ওলা কারযাভির মেয়ে আয়াহ বলেছেন, কোন ধরনের অভিযোগ বা প্রমাণ ছাড়াই তাদের দুই বছর ধরে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
আয়াহ বলেন, আমরা আশা করছি এবার তারা মুক্তি পাবেন।
২০১৭ সালের জুনে ওলা ও তার স্বামী হোসামকে আটক করা হয় ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে। একই সাথে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় তাদের ওপর। যদিও এসব অভিযোগে গ্রেফতার করা হলেও দুই বছরে তার কোন বিচার শুরু হয়নি। এই দুই বছর তাদের কোন ধরনের আইনি সহায়তা গ্রহণ, পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ ও চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি।
মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসকিকে সরিয়ে ৬ বছর আগে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে ভিন্নমতের সদস্যদের ওপর চলছে নানা নিপীড়ন। হত্যা, গুম, নির্যাতন, কারাবরণসহ সব ধরণের নির্যাতন চলছে নাগরিকদের ওপর। কাতারে বসবাসরত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইসলামিক স্কলার ইউসুফ কারযাভির মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য এ কারণে। আল্লামা কারযাভি মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাতিক নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিডল ইস্ট মনিটর
‘পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে এই মুক্তির আদেশর শর্ত হচ্ছে তাকে নির্দিষ্ট সময় পরপর স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিতে হবে। তবে আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপিল করতে পারবে সরকারি কৌশলিরা। তেমনটি হলে তার মুক্তি নাও হতে পারে।
দুই বছর আগে ৫৬ বছর বয়সী ওলা কারযাভি ও তার স্বামী হোসাম খালাফকে আটক করে মিসরের জান্তা সরকার। বিনাবিচারে তারা দুই বছর ধরে আটক রয়েছে মিসরের কারাগারে।
তাদের পরিবার বলছেন, কোন অপরাধ ছাড়া শুধুমাত্র ইউসুফ কারযাভির মেয়ে ও মেয়ে জামাই হওয়ার কারণেই তাদের আটক করা হয়েছে। ওলা কারযাভির মেয়ে আয়াহ বলেছেন, কোন ধরনের অভিযোগ বা প্রমাণ ছাড়াই তাদের দুই বছর ধরে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
আয়াহ বলেন, আমরা আশা করছি এবার তারা মুক্তি পাবেন।
২০১৭ সালের জুনে ওলা ও তার স্বামী হোসামকে আটক করা হয় ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে। একই সাথে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় তাদের ওপর। যদিও এসব অভিযোগে গ্রেফতার করা হলেও দুই বছরে তার কোন বিচার শুরু হয়নি। এই দুই বছর তাদের কোন ধরনের আইনি সহায়তা গ্রহণ, পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ ও চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি।
মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসকিকে সরিয়ে ৬ বছর আগে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে ভিন্নমতের সদস্যদের ওপর চলছে নানা নিপীড়ন। হত্যা, গুম, নির্যাতন, কারাবরণসহ সব ধরণের নির্যাতন চলছে নাগরিকদের ওপর। কাতারে বসবাসরত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইসলামিক স্কলার ইউসুফ কারযাভির মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য এ কারণে। আল্লামা কারযাভি মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাতিক নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিডল ইস্ট মনিটর
No comments