‘অসামান্য অগ্রগতি’, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পঞ্চম দিনের আলোচনার আগে জানালো তালেবানরা
কাতারে
তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যে সপ্তম দফা আলোচনা চলছে,
সেখানে ১৮ বছরের দীর্ঘ আফগানিস্তান যুদ্ধের ইতি টানার জন্য একটা খসড়া
চুক্তির পথে ‘অসামান্য অগ্রগতি’ অর্জিত হয়েছে। তালেবানদের একজন মুখপাত্র এ
কথা বলেছেন।
তালেবানদের দোহা অফিসের রাজনৈতিক মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বুধবার আল জাজিরাকে বলেন, “শান্তিচুক্তির ব্যাপারে ৮০-৯০ শতাংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে”।
তিনি আরও বলেন, “এবারের আলোচনায় অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। আজও এ বৈঠক চলবে”। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু তিনি জানাননি।
দোহাতে এই আলোচনা শুরু হয় ২৯ জুন। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটা খসড়া চুক্তিতে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে এই আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, তারা কোন অবস্থাতেই সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হবে না, যতক্ষণ না তালেবানরা নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়, অস্ত্রবিরতি বাস্তবায়ন করে এবং কাবুল সরকারের সাথে ‘সর্ব-আফগান’ সংলাপের প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু তালেবানরা জোর দিয়ে বলে আসছে যে, যে কোন চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে সেনা প্রত্যাহারের একটা সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে।
তালেবানরা একই সাথে আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় বসতেও রাজি হয়নি। আফগান সরকারকে তারা পশ্চিমের ‘পুতুল’ সরকার হিসেবে অভিহিত করে আসছে।
আফগানিস্তানে এ মুহূর্তে প্রায় ১৭,০০০ বিদেশী সেনা রয়েছে, এর মধ্যে মার্কিন সেনা রয়েছে প্রায় ১৪,০০০। আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও উপদেশ দেয়ার জন্য ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে সেখানে তারা অবস্থান করছে।
কিছু মার্কিন সেনা সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানেও অংশ নিয়ে থাকে।
সোমবার ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, আফগানিস্তান ‘সন্ত্রাসীদের ল্যাবরেটরি’ এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি সেখান থেকে তাদের সেনা সরিয়েও নেয়, তবু সেখানে ‘শক্তিশালী গোয়েন্দাদের’ রেখে আসা হবে।
শনিবার দোহাতে যখন আলোচনা চলছিল, তালেবান যোদ্ধারা সে সময় দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশের মারুফ জেলায় সরকারী অফিসে হামলা করে। হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়।
শান্তির নতুন প্রচেষ্টা
সোমবার কাবুলে হামলার পরপরই জার্মানি ও কাতার ঘোষণা দেয় যে, ৭-৮ জুলাই দোহাতে অল-আফগান শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখানে আফগান সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে না।
কাবুল সরকারের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক জার্মানি এবং মার্কিন-তালেবান আলোচনার আয়োজক কাতার জানিয়েছে যে, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকলের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জার্মানির বিশেষ প্রতিনিধি মার্কুস পোটজেল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, আফগানরা “তাদের ব্যক্তিগত তরফে আলোচনায় অংশ নিবেন, এবং সকলের এখানে সমান মর্যাদা থাকবে”।
তিনি আরও বলেন, “আফগানিস্তান এখন একটা জটিল মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে শান্তির পথে অগ্রগতির একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে”।
তালেবানদের দোহা অফিসের রাজনৈতিক মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বুধবার আল জাজিরাকে বলেন, “শান্তিচুক্তির ব্যাপারে ৮০-৯০ শতাংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে”।
তিনি আরও বলেন, “এবারের আলোচনায় অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। আজও এ বৈঠক চলবে”। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু তিনি জানাননি।
দোহাতে এই আলোচনা শুরু হয় ২৯ জুন। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটা খসড়া চুক্তিতে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে এই আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, তারা কোন অবস্থাতেই সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হবে না, যতক্ষণ না তালেবানরা নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়, অস্ত্রবিরতি বাস্তবায়ন করে এবং কাবুল সরকারের সাথে ‘সর্ব-আফগান’ সংলাপের প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু তালেবানরা জোর দিয়ে বলে আসছে যে, যে কোন চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে সেনা প্রত্যাহারের একটা সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে।
তালেবানরা একই সাথে আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় বসতেও রাজি হয়নি। আফগান সরকারকে তারা পশ্চিমের ‘পুতুল’ সরকার হিসেবে অভিহিত করে আসছে।
আফগানিস্তানে এ মুহূর্তে প্রায় ১৭,০০০ বিদেশী সেনা রয়েছে, এর মধ্যে মার্কিন সেনা রয়েছে প্রায় ১৪,০০০। আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও উপদেশ দেয়ার জন্য ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে সেখানে তারা অবস্থান করছে।
কিছু মার্কিন সেনা সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানেও অংশ নিয়ে থাকে।
সোমবার ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, আফগানিস্তান ‘সন্ত্রাসীদের ল্যাবরেটরি’ এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি সেখান থেকে তাদের সেনা সরিয়েও নেয়, তবু সেখানে ‘শক্তিশালী গোয়েন্দাদের’ রেখে আসা হবে।
শনিবার দোহাতে যখন আলোচনা চলছিল, তালেবান যোদ্ধারা সে সময় দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশের মারুফ জেলায় সরকারী অফিসে হামলা করে। হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়।
শান্তির নতুন প্রচেষ্টা
সোমবার কাবুলে হামলার পরপরই জার্মানি ও কাতার ঘোষণা দেয় যে, ৭-৮ জুলাই দোহাতে অল-আফগান শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখানে আফগান সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে না।
কাবুল সরকারের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক জার্মানি এবং মার্কিন-তালেবান আলোচনার আয়োজক কাতার জানিয়েছে যে, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকলের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জার্মানির বিশেষ প্রতিনিধি মার্কুস পোটজেল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, আফগানরা “তাদের ব্যক্তিগত তরফে আলোচনায় অংশ নিবেন, এবং সকলের এখানে সমান মর্যাদা থাকবে”।
তিনি আরও বলেন, “আফগানিস্তান এখন একটা জটিল মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে শান্তির পথে অগ্রগতির একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে”।
No comments