নিজের ব্যর্থতা এড়িয়ে অন্যদের দোষী করা অন্যায়
কংগ্রেস
পার্টির সেবক হয়ে কাজ করা আমার জন্য বিশাল সম্মানের। এই দলটির মূল্যবোধ ও
আদর্শ সবসময়ই এই সুন্দর জাতির প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই দেশ ও আমার
সংগঠনের অসাধারণ ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী। আমি কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে ২০১৯
লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের জন্য দায়ী। দলের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য
দায়বদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কারণেই আমি কংগ্রেসের সভাপতির পদ
থেকে পদত্যাগ করছি।
দলের পুনর্গঠনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। ২০১৯ নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্য অনেককেই দায়ী করা যায়।
তবে দলের সভাপতি হিসেবে নিজের ব্যর্থতা এড়িয়ে শুধু অন্যদের দোষী করা হবে অন্যায়। আমার অনেক সহকর্মী পরামর্শ দিয়েছেন যাতে আমি পরবর্তী সভাপতি নির্ধারণ করে যাই। কিন্তু দলের যখন নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন তখন আমার উচিত হবে না সেই ব্যক্তিকে নির্ধারণ করে দেয়া। দল হিসেবে কংগ্রেসের সংগ্রাম ও মর্যাদার একটি শক্তিশালী ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। এটি ভারত রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে গাঁথা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি কংগ্রেসই এ বিষয়ে সেরা সিদ্ধান্তটি নেবে যে, কে আমাদের সাহস, ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে নেতৃত্ব দেবে। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিকে আমি পরামর্শ দেব, আমার পদত্যাগের পর দ্রুতই তারা যেন নতুন সভাপতি নির্ধারণের কাজ শুরু করে। আমি তাদের সেই ক্ষমতাই দিয়েছি এবং এই প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
আমি কখনোই রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য লড়াই করিনি। বিজেপির প্রতি আমার কোনো ক্রোধ নেই কিন্তু আমার শরীরের প্রতিটি কোষ তাদের আদর্শের বিরোধিতা করে। এটি কোনো নতুন যুদ্ধ নয়, আমাদের মাটিতে হাজার বছর ধরে এ যুদ্ধ চলছে। যেখানে তারা দেখে বিভেদ আমি দেখি সাদৃশ্য। যেখানে তারা দেখে ঘৃণা আমি দেখি ভালোবাসা। তারা যা ভয় পায় আমি তাকে আলিঙ্গন করি।
আমাদের দেশ ও সংবিধানের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে তা ভারতীয় জাতির সত্তাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি কোনো অবস্থাতেই এই যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে আসব না। আমি কংগ্রেসের একজন অনুগত যোদ্ধা। ভারতমাতার একজন ত্যাগী সন্তান হিসেবে আমার সর্বশেষ নিশ্বাস দিয়ে আমি দেশকে রক্ষা করব। আমরা শক্তি ও গৌরবের সঙ্গে একটি নির্বাচনে লড়েছি। আমাদের প্রচারণা ছিল ভ্রাতৃত্ব, অহিংস ও সকল ধর্মের মানুষের জন্য সম্মানের। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী, আরএসএসের সঙ্গে লড়াই করেছি। আমি লড়াই করেছি কারণ আমি ভারতকে ভালোবাসি। যে আদর্শের ওপর ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আমি তার জন্য লড়াই করছি। আমি আমার কর্মী ও দলীয় সদস্যদের থেকে উদ্যম ও ত্যাগের শিক্ষা পেয়েছি।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিরপেক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্বাচন কখনই স্বাধীন গণমাধ্যম, স্বাধীন বিচারবিভাগ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। নির্বাচনে আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে নয় বরঞ্চ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়েছি। এটি এখন সপষ্ট হয়ে গেছে যে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এখন আর সেই নিরপেক্ষতা নেই।
দলের পুনর্গঠনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। ২০১৯ নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্য অনেককেই দায়ী করা যায়।
তবে দলের সভাপতি হিসেবে নিজের ব্যর্থতা এড়িয়ে শুধু অন্যদের দোষী করা হবে অন্যায়। আমার অনেক সহকর্মী পরামর্শ দিয়েছেন যাতে আমি পরবর্তী সভাপতি নির্ধারণ করে যাই। কিন্তু দলের যখন নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন তখন আমার উচিত হবে না সেই ব্যক্তিকে নির্ধারণ করে দেয়া। দল হিসেবে কংগ্রেসের সংগ্রাম ও মর্যাদার একটি শক্তিশালী ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। এটি ভারত রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে গাঁথা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি কংগ্রেসই এ বিষয়ে সেরা সিদ্ধান্তটি নেবে যে, কে আমাদের সাহস, ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে নেতৃত্ব দেবে। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিকে আমি পরামর্শ দেব, আমার পদত্যাগের পর দ্রুতই তারা যেন নতুন সভাপতি নির্ধারণের কাজ শুরু করে। আমি তাদের সেই ক্ষমতাই দিয়েছি এবং এই প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
আমি কখনোই রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য লড়াই করিনি। বিজেপির প্রতি আমার কোনো ক্রোধ নেই কিন্তু আমার শরীরের প্রতিটি কোষ তাদের আদর্শের বিরোধিতা করে। এটি কোনো নতুন যুদ্ধ নয়, আমাদের মাটিতে হাজার বছর ধরে এ যুদ্ধ চলছে। যেখানে তারা দেখে বিভেদ আমি দেখি সাদৃশ্য। যেখানে তারা দেখে ঘৃণা আমি দেখি ভালোবাসা। তারা যা ভয় পায় আমি তাকে আলিঙ্গন করি।
আমাদের দেশ ও সংবিধানের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে তা ভারতীয় জাতির সত্তাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি কোনো অবস্থাতেই এই যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে আসব না। আমি কংগ্রেসের একজন অনুগত যোদ্ধা। ভারতমাতার একজন ত্যাগী সন্তান হিসেবে আমার সর্বশেষ নিশ্বাস দিয়ে আমি দেশকে রক্ষা করব। আমরা শক্তি ও গৌরবের সঙ্গে একটি নির্বাচনে লড়েছি। আমাদের প্রচারণা ছিল ভ্রাতৃত্ব, অহিংস ও সকল ধর্মের মানুষের জন্য সম্মানের। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী, আরএসএসের সঙ্গে লড়াই করেছি। আমি লড়াই করেছি কারণ আমি ভারতকে ভালোবাসি। যে আদর্শের ওপর ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আমি তার জন্য লড়াই করছি। আমি আমার কর্মী ও দলীয় সদস্যদের থেকে উদ্যম ও ত্যাগের শিক্ষা পেয়েছি।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিরপেক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্বাচন কখনই স্বাধীন গণমাধ্যম, স্বাধীন বিচারবিভাগ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। নির্বাচনে আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে নয় বরঞ্চ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়েছি। এটি এখন সপষ্ট হয়ে গেছে যে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এখন আর সেই নিরপেক্ষতা নেই।
No comments