ত্রিপলির অভিবাসী শিবিরে বিমান হামলায় এক বাংলাদেশি নিহত
লিবিয়ার অভিবাসী শিবিরে বিমান হামলায় একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরো দুইজন।
ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ওই অভিবাসী শিবিরে ১৩জন বাংলাদেশি ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন।
"তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে, আরো দুইজন আহত হয়েছেন।"
বুধবার ত্রিপলির বাইরে একটি বন্দী শিবিরে ওই হামলায় অন্তত ৪০জন অভিবাসী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৮০জন।
এই হামলা 'যুদ্ধপরাধ' বলে বিবেচিত হতে পারে বলে জাতিসংঘ বলছে।
লিবিয়ায়
জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলেছে, বিরোধীদের বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের
ঘটনা ঘটেছে। খালিফা হাফতার এর নেতৃত্বে সরকার বিরোধীরা অবশ্য এই হামলার
জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা।
এখানকার সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়।
লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. খালিদ বিন আত্তিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
বিবিসি
ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে তিনি বলেন, "প্রায় সব জায়গায় মানুষ ছিল। শিবিরটি
ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। যেখানে সেখানে মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো।
অনেকেই মানসিক আঘাতে হতবিহবল হয়ে গিয়েছিলো। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ
সংযোগও।"
হামলার জন্য দায়ী কে?
জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন,
স্ব-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি
বলেন, এই "জঘন্য অপরাধ" "পূর্বপরিকল্পিত" ও "নিখুঁত"।
তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা।
বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয় যে, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা।
এলএনএ
জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা
চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী।
ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে।
সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। |
No comments