এনআরসি’র নিজস্ব সংস্করণ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের নাগাল্যান্ড
ভারতের
উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আরেকটি রাজ্য নাগাল্যান্ড তার আদিবাসী জনগণের জন্য
আসামের জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) আদলে একটি তালিকা তৈরির প্রস্তুতি
নিচ্ছে। দি হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে রোববার এ কথা বলা হয়েছে। আসামে
এখন এনআরসি হালনাগাদ করার কাজ চলছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার আর রামকৃষ্ণ শনিবার এক নোটিফিকেশনে জানান যে আদিবাসী অধিবাসীদের জন্য ইস্যু করা সনদগুলোর মধ্যে কোন ভুয়া সনদ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ‘রেজিস্টার অব ইন্ডিজেনাস ইনহেবিট্যান্টস অব নাগাল্যান্ড’ (আরআইআইএন) গঠন করা হয়েছে। ১০ জুলাই এই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে শেষ হবে।
সরকার এই কাজ করতে টিম গঠন এবং গ্রাম ও উপজাতি কাউন্সিলগুলোকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে। জরিপকারীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেখানে বসবাসরত আদিবাসী জনগণের তালিকা তৈরি করবে। গ্রামের প্রতিটি অধিবাসীকে তাদের মূল বাসস্থানের ঠিকানায় তালিকাভুক্ত করা হবে এবং পরিবারের কোন সদস্য অন্যকোথাও বাস করলে তাদের নামও তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আধার নাম্বারও রেকর্ড করা হবে।
গ্রাম ও ওয়ার্ডে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গ্রাম ও ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ এর সত্যমিথ্যা যাচাই করবে। এরপর প্রতিটি তালিকায় সই করবে জরিপকারী দল এবং গ্রাম ও ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
১১ সেপ্টেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। সরকারি রেকর্ড ও প্রমাণের ভিত্তিতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দাবি ও আপত্তি নিস্পত্তি করা যাবে। প্রত্যেক আদিবাসী ব্যক্তিকে একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার দেয়া হবে। ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর এই তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রত্যেক আদিবাসী অধিবাসীকে আদিবাসী অধিবাসী সনদ (আইআইসি) দেয়া হবে। তখন বর্তমান আইআইসি অকার্যকর হয়ে যাবে। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আর কোন আইআইসি ইস্যু করা হবে না। শুধু নতুন জন্ম নেয়া আদিবাসী সদস্যকে এই সনদ দেয়া হবে এবং আরআইআইএন-এ তার নাম অন্তর্ভুক্ত হবে।
আসামে যে এনআরসি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা ইতোমধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই তালিকা কিছু সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ রয়েছে। এই তালিকার ঘোষিত লক্ষ্য হলো রাজ্যের প্রকৃত অধিবাসীদের চিহ্নিত করা। শর্ত অনুযায়ী কোন অধিবাসী যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে তার পরিবার বা পূর্বপুরুষ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে এই রাজ্যে ছিলেন তাহলে তিনি বিদেশী হিসেবে গণ্য হবেন। গত সপ্তাহে খসড়া এনআরসি থেকে এক লাখের বেশি ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার আর রামকৃষ্ণ শনিবার এক নোটিফিকেশনে জানান যে আদিবাসী অধিবাসীদের জন্য ইস্যু করা সনদগুলোর মধ্যে কোন ভুয়া সনদ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ‘রেজিস্টার অব ইন্ডিজেনাস ইনহেবিট্যান্টস অব নাগাল্যান্ড’ (আরআইআইএন) গঠন করা হয়েছে। ১০ জুলাই এই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে শেষ হবে।
সরকার এই কাজ করতে টিম গঠন এবং গ্রাম ও উপজাতি কাউন্সিলগুলোকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে। জরিপকারীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেখানে বসবাসরত আদিবাসী জনগণের তালিকা তৈরি করবে। গ্রামের প্রতিটি অধিবাসীকে তাদের মূল বাসস্থানের ঠিকানায় তালিকাভুক্ত করা হবে এবং পরিবারের কোন সদস্য অন্যকোথাও বাস করলে তাদের নামও তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আধার নাম্বারও রেকর্ড করা হবে।
গ্রাম ও ওয়ার্ডে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গ্রাম ও ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ এর সত্যমিথ্যা যাচাই করবে। এরপর প্রতিটি তালিকায় সই করবে জরিপকারী দল এবং গ্রাম ও ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
১১ সেপ্টেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। সরকারি রেকর্ড ও প্রমাণের ভিত্তিতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দাবি ও আপত্তি নিস্পত্তি করা যাবে। প্রত্যেক আদিবাসী ব্যক্তিকে একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার দেয়া হবে। ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর এই তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রত্যেক আদিবাসী অধিবাসীকে আদিবাসী অধিবাসী সনদ (আইআইসি) দেয়া হবে। তখন বর্তমান আইআইসি অকার্যকর হয়ে যাবে। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আর কোন আইআইসি ইস্যু করা হবে না। শুধু নতুন জন্ম নেয়া আদিবাসী সদস্যকে এই সনদ দেয়া হবে এবং আরআইআইএন-এ তার নাম অন্তর্ভুক্ত হবে।
আসামে যে এনআরসি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা ইতোমধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই তালিকা কিছু সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ রয়েছে। এই তালিকার ঘোষিত লক্ষ্য হলো রাজ্যের প্রকৃত অধিবাসীদের চিহ্নিত করা। শর্ত অনুযায়ী কোন অধিবাসী যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে তার পরিবার বা পূর্বপুরুষ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে এই রাজ্যে ছিলেন তাহলে তিনি বিদেশী হিসেবে গণ্য হবেন। গত সপ্তাহে খসড়া এনআরসি থেকে এক লাখের বেশি ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
হর্ণবিল উৎসবে নাগাদের ঐহিত্যবাহী নাজ |
No comments