শ্রীলংকার সুফী মুসলিমদের আতঙ্কিত করেছিল জাহরান, পার্লামেন্টারি প্যানেলকে তথ্য
পিএসসি’তে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সুফি নেতা সাহলান |
২১
এপ্রিলের আত্মঘাতী বোমা হামলার তদন্তে গঠিত পার্লামেন্টারি সিলেক্ট
কমিটিকে (পিএসসি) জানানো হয়েছে যে, সন্ত্রাসী হামলার মূল
পরিকল্পনাকারী জাহরান হাশিম বিভিন্ন সময়ে চরমপন্থী বক্তব্য দিয়েছেন বলে
শ্রীলংকার ইস্টার্ন প্রভিন্সের সুফী মুসলিমরা যথেষ্ট ও সুস্পষ্ট তথ্য
প্রমাণ দিয়েছিলো এবং সে এমনকি এটাও বলেছে যে, অমুসলিমদের হত্যা করা উচিত।
আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনার বেশ কয়েক মাস আগে, সুফী মুসলিম নেতারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এই ধরনের সিডি ও ডিভিডি জমা দিয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এই সিডি ও ডিভিডিগুলো সে সময় তৎকালীন বিচার মন্ত্রী বিজয়াদাসা রাজাপাকসে, আইন শৃঙ্খলা মন্ত্রী সাগালা রত্নায়াকা, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রায়ান বিজেবর্ধনে, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর, এবং তৎকালিন টেররিস্ট ইনভেস্টিগেশান ডিভিশানের ডিরেক্টর নালাকা ডি সিলভার কাছেও দেয়া হয়েছিল।
আলহাজ আব্দুল জাওয়াদ আলিম ওয়ালিউল্লাহ ট্রাস্টের সেক্রেটারি সুফী মৌলভী কে.আর.এম সাহলান পিএসসিকে বলেছেন যে, জাহরান মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো যাতে যারা দেশের মাটিকে অন্য ধর্মের মানুষের রক্তে ভিজিয়ে ফেলে”।
কাঠঠানকুডি এলাকার সুফিদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছিলেন এই সুফী নেতা। জাহরানের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি এবং জাহরানের দ্বারা তারা যে সব নির্যাতন ও হামলার শিকার হয়েছেন, অশ্রুসিক্ত চোখে সে সবের বিবরণ দেন তিনি। সুফীদেরকে ‘বিভ্রান্ত’ এবং ‘অন্য ধর্মের অনুসারী’ হিসেবে বর্ণনা দেয়া হতো। জাহরান প্রকাশ্যে এই কথা বলেছিল যে শ্রীলংকার সমস্ত অমুসলিমদের হত্যা করা উচিত।
মৌলভি সাহলান পিএসসিকে বলেন যে, সত্যিকারের ইসলাম কোন সহিংসতা সমর্থন করে না এবং শুধুমাত্র শান্তির কথা বলে। তিনি বলেন, “আমি একজন সত্যিকারের সুফী মুসলিম”।
বাত্তাকালোয়ার সুফী সম্প্রদায়ে মুসলিমের সংখ্যা প্রায় ১০,০০০। ওয়াহাবি ও সালাফি ইসলামপন্থীদের দিক থেকে মারাত্মক চাপের মধ্যে আছে তারা, যাদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। জাহরানের ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এসটিজে) বৌদ্ধ ও ক্রিস্টানদের উপর প্রতিশোধ নিতে মুসলিমদের উদ্বুদ্ধ করতো।
এই তথ্য জানানো হয়েছে যে, ২০১৩ সালের শুরু থেকেই সামরিক বাহিনীর কাছে অব্যাহতভাবে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে সুফী সম্প্রদায়। জাহরান সে সময় ‘তাওহিদ’ নামের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছিলো, যেটার মাধ্যমে সুফী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল।
২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাত্তাকালোয়ার সুফী মুসলিমরা কাঠঠানকুডি পুলিশ স্টেশনে জাহরান আর তার গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ করেছিল। কিন্তু জাহরানের এতটাই প্রভাব ছিল যে তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হয়নি। সে এতটাই শক্তিধর ছিল যে, পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার বিনিময়ে সমস্ত মুসলিম প্রার্থীদের সাথে সে এই চুক্তিতে এসেছিল যে, তারা সুফীদের প্রত্যাখ্যান করবে। কাঠঠানকুডি এলাকায় অন্তত ৩০০০ ভোটের নিয়ন্ত্রণ ছিল জাহরানের হাতে।
নিজেকে ‘মুসলিম নাস্তিক’ হিসেবে পরিচয় দেন রিশুইন ইসমাথ। নিজের সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন, শ্রীলংকায় ইসলামিক স্কুলগুলোর পাঠ্যবইয়ে শেখানো হয় যে, যারা ইসলাম ত্যাগ করবে, তাদের শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। ইসমাথ সিলেক্ট কমিটিতে ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রকাশিত ইসলামিক পাঠ্যবইয়ের কপি জমা দেন।
এদিকে, সিলন তাওহিদ জামাতের (সিটিজে) জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল রাজিক ওরফে রাজিক রাফিকদিন তার উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণাদিতে বলেছেন যে, তিনি সব সময় আইসিসের আদর্শের চরম বিরোধী ছিলেন।
রাজিক বলেন, “আমি তাদের নিন্দা করেছি এবং প্রকাশ্য বলেছি যে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। আইএস এবং আর অন্য যারাই ধর্ম প্রচারের জন্য অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তাদের নিন্দা করে দেয়া বিবৃতি সম্বলিত পত্রিকা ও বক্তৃতার অডিও আমার কাছে আছে”।
সিটিজে থেকে আলাদা হয়ে এনটিজে গঠন করা হয়েছিল। যদিও রাজিক নিজেও বেশ কয়েকবার বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছিলেন।
রাজিক দাবি করেছেন যে, জাহরান হাশিম কখনই শ্রীলংকা তাওহিদ জামাত (এসএলটিজে) বা সিটিজে’র সদস্য ছিল না, তবে নিজেই সে ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) নামে একটি গ্রুপ গঠন করেছিল।
এদিকে, পার্লামেন্ট ওভারসাইট কমিটি সুপারিশ করেছে যে, বিতর্কিত বাত্তিকালোয়া কলেজ – যেটি শরীয়া ইউনিভার্সিটি নামেও পরিচিত – যেটা চালু করেছিলেন সাবেক ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর এম.এল.এ.এম হিজবুল্লাহ, সেটা জরুরি নীতিমালার অধীনে সরকারের অধিগ্রহণ করা উচিত, কারণ তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সেক্টরাল ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যান ইউএনপি দলীয় এমপি আশু মারাসিঙ্গে পার্লামেন্টে যে রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন, সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে যে, ক্যাম্পাসের ভবনগুলোকে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধীনে দিয়ে দেয়া হোক।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং কমিটি সুপারিশ করেছে যে, সরকারের এখানে যাচাই করে দেখা উচিত সঠিক পরিমাণ জমি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, বা প্রাথমিকভাবে বরাদ্দকৃত জমির চেয়ে বেশি জমি এখানে দখল করা হয়েছে কি না।
এদিকে, ২১ জুলাই পর্যন্ত আরেক মাসের জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে শ্রীলংকা।
আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনার বেশ কয়েক মাস আগে, সুফী মুসলিম নেতারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এই ধরনের সিডি ও ডিভিডি জমা দিয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এই সিডি ও ডিভিডিগুলো সে সময় তৎকালীন বিচার মন্ত্রী বিজয়াদাসা রাজাপাকসে, আইন শৃঙ্খলা মন্ত্রী সাগালা রত্নায়াকা, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রায়ান বিজেবর্ধনে, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর, এবং তৎকালিন টেররিস্ট ইনভেস্টিগেশান ডিভিশানের ডিরেক্টর নালাকা ডি সিলভার কাছেও দেয়া হয়েছিল।
আলহাজ আব্দুল জাওয়াদ আলিম ওয়ালিউল্লাহ ট্রাস্টের সেক্রেটারি সুফী মৌলভী কে.আর.এম সাহলান পিএসসিকে বলেছেন যে, জাহরান মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো যাতে যারা দেশের মাটিকে অন্য ধর্মের মানুষের রক্তে ভিজিয়ে ফেলে”।
কাঠঠানকুডি এলাকার সুফিদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছিলেন এই সুফী নেতা। জাহরানের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি এবং জাহরানের দ্বারা তারা যে সব নির্যাতন ও হামলার শিকার হয়েছেন, অশ্রুসিক্ত চোখে সে সবের বিবরণ দেন তিনি। সুফীদেরকে ‘বিভ্রান্ত’ এবং ‘অন্য ধর্মের অনুসারী’ হিসেবে বর্ণনা দেয়া হতো। জাহরান প্রকাশ্যে এই কথা বলেছিল যে শ্রীলংকার সমস্ত অমুসলিমদের হত্যা করা উচিত।
মৌলভি সাহলান পিএসসিকে বলেন যে, সত্যিকারের ইসলাম কোন সহিংসতা সমর্থন করে না এবং শুধুমাত্র শান্তির কথা বলে। তিনি বলেন, “আমি একজন সত্যিকারের সুফী মুসলিম”।
বাত্তাকালোয়ার সুফী সম্প্রদায়ে মুসলিমের সংখ্যা প্রায় ১০,০০০। ওয়াহাবি ও সালাফি ইসলামপন্থীদের দিক থেকে মারাত্মক চাপের মধ্যে আছে তারা, যাদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। জাহরানের ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এসটিজে) বৌদ্ধ ও ক্রিস্টানদের উপর প্রতিশোধ নিতে মুসলিমদের উদ্বুদ্ধ করতো।
এই তথ্য জানানো হয়েছে যে, ২০১৩ সালের শুরু থেকেই সামরিক বাহিনীর কাছে অব্যাহতভাবে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে সুফী সম্প্রদায়। জাহরান সে সময় ‘তাওহিদ’ নামের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছিলো, যেটার মাধ্যমে সুফী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল।
২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাত্তাকালোয়ার সুফী মুসলিমরা কাঠঠানকুডি পুলিশ স্টেশনে জাহরান আর তার গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ করেছিল। কিন্তু জাহরানের এতটাই প্রভাব ছিল যে তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হয়নি। সে এতটাই শক্তিধর ছিল যে, পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার বিনিময়ে সমস্ত মুসলিম প্রার্থীদের সাথে সে এই চুক্তিতে এসেছিল যে, তারা সুফীদের প্রত্যাখ্যান করবে। কাঠঠানকুডি এলাকায় অন্তত ৩০০০ ভোটের নিয়ন্ত্রণ ছিল জাহরানের হাতে।
নিজেকে ‘মুসলিম নাস্তিক’ হিসেবে পরিচয় দেন রিশুইন ইসমাথ। নিজের সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন, শ্রীলংকায় ইসলামিক স্কুলগুলোর পাঠ্যবইয়ে শেখানো হয় যে, যারা ইসলাম ত্যাগ করবে, তাদের শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। ইসমাথ সিলেক্ট কমিটিতে ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রকাশিত ইসলামিক পাঠ্যবইয়ের কপি জমা দেন।
এদিকে, সিলন তাওহিদ জামাতের (সিটিজে) জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল রাজিক ওরফে রাজিক রাফিকদিন তার উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণাদিতে বলেছেন যে, তিনি সব সময় আইসিসের আদর্শের চরম বিরোধী ছিলেন।
রাজিক বলেন, “আমি তাদের নিন্দা করেছি এবং প্রকাশ্য বলেছি যে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। আইএস এবং আর অন্য যারাই ধর্ম প্রচারের জন্য অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তাদের নিন্দা করে দেয়া বিবৃতি সম্বলিত পত্রিকা ও বক্তৃতার অডিও আমার কাছে আছে”।
সিটিজে থেকে আলাদা হয়ে এনটিজে গঠন করা হয়েছিল। যদিও রাজিক নিজেও বেশ কয়েকবার বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছিলেন।
রাজিক দাবি করেছেন যে, জাহরান হাশিম কখনই শ্রীলংকা তাওহিদ জামাত (এসএলটিজে) বা সিটিজে’র সদস্য ছিল না, তবে নিজেই সে ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) নামে একটি গ্রুপ গঠন করেছিল।
এদিকে, পার্লামেন্ট ওভারসাইট কমিটি সুপারিশ করেছে যে, বিতর্কিত বাত্তিকালোয়া কলেজ – যেটি শরীয়া ইউনিভার্সিটি নামেও পরিচিত – যেটা চালু করেছিলেন সাবেক ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর এম.এল.এ.এম হিজবুল্লাহ, সেটা জরুরি নীতিমালার অধীনে সরকারের অধিগ্রহণ করা উচিত, কারণ তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সেক্টরাল ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যান ইউএনপি দলীয় এমপি আশু মারাসিঙ্গে পার্লামেন্টে যে রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন, সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে যে, ক্যাম্পাসের ভবনগুলোকে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধীনে দিয়ে দেয়া হোক।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং কমিটি সুপারিশ করেছে যে, সরকারের এখানে যাচাই করে দেখা উচিত সঠিক পরিমাণ জমি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, বা প্রাথমিকভাবে বরাদ্দকৃত জমির চেয়ে বেশি জমি এখানে দখল করা হয়েছে কি না।
এদিকে, ২১ জুলাই পর্যন্ত আরেক মাসের জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে শ্রীলংকা।
No comments