ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন তিনগুণ হয়েছে ইরানের
ইরানের
আইআরজিসি'র শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী
হাজিজাদেহ বলেছেন, শত্রুদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র
উৎপাদন তিনগুণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে
ধন্যবাদ জানান। আইআরজিসি'র আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডার জেনারেল
হাজিজাদেহ বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে শত্রুদের সমস্ত
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানী তেহরানে বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা
বলেছেন। তিনি আরো বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা আরোপ এবং
তেহরানের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে শত্রুদের সমস্ত প্রচেষ্টা খারাপ
ফলাফল বয়ে এনেছে। জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, বলদর্পী শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্রের
কারণে ইরান তার প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অনেক বাড়াতে বাধ্য হয়েছে এবং দেশের
সরকার, জাতীয় সংসদ, জনগণ -সবাই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ
অবস্থান নিয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে মার্কিন সরকারের দ্বৈত
অবস্থানের সমালোচনা করে জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, আমেরিকা নিজে প্রতিদিন
পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছে অথচ ইরানের প্রচলিত
ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের বিষয়ে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মার্কিন এ বাধা
ইরানকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে ইরানের
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে
শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ইরানের
সমরাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র বা প্রতিরক্ষা শক্তিতে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু
নেই।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বুধবার তেহরানে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো দেশে আগ্রাসন চালানোর জন্য ইরান নিজের
প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করছে না বরং সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করার
লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার
লক্ষ্যে এ অঞ্চলেরই কোনো কোনো দেশের প্রচেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,
ইরান সব সময় সম্মান অর্জনের চেষ্টা করলেও কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন
চালায়নি এবং ভবিষ্যতেও চালাবে না। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য
দিচ্ছে ইরান কখনো প্রতিবেশী কোনো দেশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করেনি বরং যুদ্ধ
কবলিত প্রতিবেশী দেশের লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। ইরানের প্রসিডেন্ট
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও গণহত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা
গত ৭০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে দাঙ্গা, যুদ্ধ ও হাহাকার সৃষ্টি করেছে এবং
যারা সাবরা ও শাতিলার মতো ভয়বাহ গণহত্যার হোতা তাদের পক্ষে ইরান-আতঙ্ক
সৃষ্টি করা মানায় না।
No comments