প্রেসিডেন্ট ভারত যাচ্ছেন আজ
চারদিনের
সফরে আজ ভারত যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। ১২ই মার্চ পর্যন্ত
তিনি সেখানে কাটাবেন। ১১ই মার্চ দিল্লিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ
নেয়া ছাড়াও সফরকালে মুক্তিযুদ্ধ ও শরণার্থীকালীন স্মৃতিবিজড়িত ভারতের
পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি।
এদিকে তিনদিনের সরকারি সফরে আগামী ১১ই মার্চ সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ই মার্চ পর্যন্ত তার দ্বিপক্ষীয় এ সফর হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনে মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মাহমুদ আলী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্বীকৃতি পাওয়া তার সেই কালজয়ী ভাষণকে স্মরণ করেন। পরে তিনি হাই প্রোফাইল সফর দু’টির বিষয় গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
প্রেসিডেন্টের সফরে সৌর বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা গতি পাবে: দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় সৌর জোটের শীর্ষ সম্মেলন সৌর বিদ্যুৎ-সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে চলমান সহযোগিতায় গতি আনবে বলে আশা করছে ঢাকা। ওই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ২২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশ নিচ্ছেন দিল্লির ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স অ্যান্ড সোলার সামিটে। ওই শীর্ষ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে। ‘সূর্যপুত্রখ্যাত’ সূর্যরশ্মির দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ ওই সম্মেলনে আয়োজক রাষ্ট্র ভারত ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হতে পারে। এছাড়া লঙ্কান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। দিল্লির ওই সম্মেলনে যাওয়ার আগে ভারতের ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্য সফর করবেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তার স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন। সফরকালে রাজ্য দু’টির গভর্নর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ১২ই মার্চ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত বছর গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ। ১২১টির বেশি দেশ নিয়ে গঠিত এই জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কর্কটক্রান্ত্রীয় অঞ্চল ও মকরক্রান্ত্রীয় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থান করে, যেগুলোকে ‘সূর্যরশ্মির দেশ’ বলা হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ ২৪০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য রয়েছে দেশের সম্পূর্ণ জ্বালানির ১০ শতাংশ বা ২ হাজার মেগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদন করা। সরকার এরই মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
সিঙ্গাপুরে অর্কিডের নাম হবে ‘শেখ হাসিনা’: ওদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি অর্কিডের নামকরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। সরকার প্রধানের আসন্ন সিঙ্গাপুর সফরে তার সম্মানে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ওই বোটানিক্যাল গার্ডেনে এটি হবে। সফরকালে তিনি গার্ডেনটি পরিদর্শনও করবেন। মন্ত্রী মাহমুদ আলী জানান, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরটি হচ্ছে। সফরকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের নির্বাচিত প্রথম মহিলা মুসলিম রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব-এর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। মতবিনিময় হবে দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের মধ্যে একটি সমঝোতা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক, আকাশ পথে যোগাযোগ, ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ট্রান্সফর্মেশন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং এফবিসিসিআই ও এমসিসিআইয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের দুটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে এর মধ্যে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর বর্তমানে আসিয়ানের নেতৃত্বে রয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা চাইবেন। আগামী ১৪ই মার্চ সরকার প্রধানের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এদিকে তিনদিনের সরকারি সফরে আগামী ১১ই মার্চ সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ই মার্চ পর্যন্ত তার দ্বিপক্ষীয় এ সফর হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনে মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মাহমুদ আলী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্বীকৃতি পাওয়া তার সেই কালজয়ী ভাষণকে স্মরণ করেন। পরে তিনি হাই প্রোফাইল সফর দু’টির বিষয় গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
প্রেসিডেন্টের সফরে সৌর বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা গতি পাবে: দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় সৌর জোটের শীর্ষ সম্মেলন সৌর বিদ্যুৎ-সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে চলমান সহযোগিতায় গতি আনবে বলে আশা করছে ঢাকা। ওই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ২২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশ নিচ্ছেন দিল্লির ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স অ্যান্ড সোলার সামিটে। ওই শীর্ষ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে। ‘সূর্যপুত্রখ্যাত’ সূর্যরশ্মির দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ ওই সম্মেলনে আয়োজক রাষ্ট্র ভারত ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হতে পারে। এছাড়া লঙ্কান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। দিল্লির ওই সম্মেলনে যাওয়ার আগে ভারতের ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্য সফর করবেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তার স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন। সফরকালে রাজ্য দু’টির গভর্নর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ১২ই মার্চ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত বছর গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ। ১২১টির বেশি দেশ নিয়ে গঠিত এই জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কর্কটক্রান্ত্রীয় অঞ্চল ও মকরক্রান্ত্রীয় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থান করে, যেগুলোকে ‘সূর্যরশ্মির দেশ’ বলা হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ ২৪০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য রয়েছে দেশের সম্পূর্ণ জ্বালানির ১০ শতাংশ বা ২ হাজার মেগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদন করা। সরকার এরই মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
সিঙ্গাপুরে অর্কিডের নাম হবে ‘শেখ হাসিনা’: ওদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি অর্কিডের নামকরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। সরকার প্রধানের আসন্ন সিঙ্গাপুর সফরে তার সম্মানে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ওই বোটানিক্যাল গার্ডেনে এটি হবে। সফরকালে তিনি গার্ডেনটি পরিদর্শনও করবেন। মন্ত্রী মাহমুদ আলী জানান, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরটি হচ্ছে। সফরকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের নির্বাচিত প্রথম মহিলা মুসলিম রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব-এর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। মতবিনিময় হবে দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের মধ্যে একটি সমঝোতা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক, আকাশ পথে যোগাযোগ, ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ট্রান্সফর্মেশন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং এফবিসিসিআই ও এমসিসিআইয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের দুটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে এর মধ্যে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর বর্তমানে আসিয়ানের নেতৃত্বে রয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা চাইবেন। আগামী ১৪ই মার্চ সরকার প্রধানের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
No comments