নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে
নারী
শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক মায়া, মমতা ও ভালোবাসা। নারী কখনও মা, কখনও
বোন, কখনও বা প্রিয়জন। সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য নারী-পুরুষ উভয়ের সমান
অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু যুগ যুগ ধরে নারীরা বিভিন্ন অধিকারবঞ্চিত হয়ে
আসছে। বিশ্বের যতটুকু এগিয়ে যাওয়া তার পেছনে রয়েছে নারীদের অনেক
দুঃখ-কষ্টের গল্প। ঘরে ও কর্মক্ষেত্রে তারা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার
হচ্ছে। এছাড়া যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই মেলে
ধর্ষণের খবর। অহরহ ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা। শুধু ধর্ষণেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে
হত্যাও করা হচ্ছে। সচেতনতা বাড়াতে চলছে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন ও
সচেতনতামূলক সেমিনার। করা হচ্ছে মামলাও। কিন্তু কিছুতেই টেনে ধরা যাচ্ছে না
ধর্ষণের লাগাম।
আজ ৮ মার্চ , বিশ্ব নারী দিসব। নারী দিবস উপলক্ষে
যুগান্তরের সঙ্গে নারীদের অধিকার, ঘরে-বাইরে নারীদের বৈষম্য, নারীদের
অগ্রযাত্রা,সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় আলাপ করেছেন
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের জেলা প্রশাসক ( ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন। নারী
ক্ষমতায়ন, সফলতা, এগিয়ে যাওয়া, বৈষম্য, যৌন হয়রানির, কর্মক্ষেত্রে বেতন
বৈষম্যসহ বিভিন্ন বিষয় যুগান্তরের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। ফরিদা ইয়াসমিন
বলেন, সর্বক্ষেত্রে নারীদের সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের অধিকার
নিজেদেরই আদায় করতে হবে। নারীকে নারী নয়, মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের
সমাজের নারী-পুরুষের ব্যাপক বৈষম্য করা হয়। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না।
একজন নারী কোনও অংশে পুরুষের চেয়ে কম নয়। তারা যে কোনও কাজ সুচারুভাবে
সম্পাদন করতে পারে।
নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে
আমাদের সমাজে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে সেটি হলো ঘরে ও বাইরে নারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। তার অধিকার হনন করা হয়। তাকে মানুষ হিসেবে না দেখে নারী হিসেবে দেখা হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
ঘরে -বাইরে নারীর অধিকার
নারীর অধিকার আদায়ের কথা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বলা হলেও তা আদায় হয় না। এছাড়া নারীরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়। যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত হচ্ছে। এর জন্য নারীদের আরো বেশি অ্যাকটিভ হতে হবে। ফিজিক্যালি ভাষা হোক প্রতিবাদের ভাষা। নারীকে না বলা শিখতে হবে।
বেতন বৈষম্য
কর্মক্ষেত্রে এখনো নারী কর্মীদের বেতন বৈষম্য হয়। একজন নারী পুরুষের চেয়ে বেশি কাজে দক্ষ হলেও তাকে মূল্যায়ন করা হয় না। এছাড়া তাদের অগ্রগতির পথে সব সময় বাধা দেয়া হয়। সুযোগ দেয়া তো অনেক দূরের বিষয়।
স্বামীকে সহযোদ্ধা মনোভাব রাখতে হবে
একজন স্বামীর সব সময় মনে রাখতে হবে- স্ত্রী আমার জীবনসঙ্গী আমার সংসার জীবনের সহযোদ্ধা। তাকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না।
সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা
নারী এগিয়ে যাওয়ার জন্য সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা অনেক প্রয়োজন। সমাজকে একটি বিষয় বোঝাতে হবে নারী শুধু ঘরের কাজের জন্য নয়। নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণে গড়ে উঠতে পারে একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ।
নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে
আমাদের সমাজে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে সেটি হলো ঘরে ও বাইরে নারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। তার অধিকার হনন করা হয়। তাকে মানুষ হিসেবে না দেখে নারী হিসেবে দেখা হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
ঘরে -বাইরে নারীর অধিকার
নারীর অধিকার আদায়ের কথা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বলা হলেও তা আদায় হয় না। এছাড়া নারীরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়। যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত হচ্ছে। এর জন্য নারীদের আরো বেশি অ্যাকটিভ হতে হবে। ফিজিক্যালি ভাষা হোক প্রতিবাদের ভাষা। নারীকে না বলা শিখতে হবে।
বেতন বৈষম্য
কর্মক্ষেত্রে এখনো নারী কর্মীদের বেতন বৈষম্য হয়। একজন নারী পুরুষের চেয়ে বেশি কাজে দক্ষ হলেও তাকে মূল্যায়ন করা হয় না। এছাড়া তাদের অগ্রগতির পথে সব সময় বাধা দেয়া হয়। সুযোগ দেয়া তো অনেক দূরের বিষয়।
স্বামীকে সহযোদ্ধা মনোভাব রাখতে হবে
একজন স্বামীর সব সময় মনে রাখতে হবে- স্ত্রী আমার জীবনসঙ্গী আমার সংসার জীবনের সহযোদ্ধা। তাকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না।
সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা
নারী এগিয়ে যাওয়ার জন্য সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা অনেক প্রয়োজন। সমাজকে একটি বিষয় বোঝাতে হবে নারী শুধু ঘরের কাজের জন্য নয়। নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণে গড়ে উঠতে পারে একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ।
No comments