রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন আট হাজার কোটি টাকা by মিজানুর রহমান
চলতি
বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থান এবং
সুরক্ষার বিষয়ে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। সরকারের সঙ্গে
সমন্বয় করে বিশ্ব সমপ্রদায় ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়। এবারই প্রথম
রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পের আশেপাশের প্রান্তিক লোকজনকে ওই সামাজিক সুরক্ষার
আওতায় আনা হচ্ছে। সে হিসাবে আশ্রিত প্রায় পৌনে ১১ লাখ রোহিঙ্গা এবং
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার সোয়া ২ লাখ স্থানীয় বাসিন্দাকে নিয়ে মোট
১৩ লাখ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ৯৪ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে বলে প্রাক্কলন তৈরি
করেছে জাতিসংঘ। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। সরকারি ও
কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, জাতিসংঘের জয়েন্ট রেসপন্স
প্ল্যান বা যৌথ সাড়া দান কর্মসূচি (জেআরপি)’র আওতায় ওই হিসাব তৈরি করা
হয়েছে। বৈশ্বিক সংস্থার প্রাক্কলিত ওই ব্যয় নিয়ে গত সোমবার পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের পূর্ব
নির্ধারিত সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মো, শহীদুল হকের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার
প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা
জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান
মার্চের মাঝামাঝিতে জেনেভায় একটি বৈঠকে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতির
বিষয়ে বিশ্ব সমপ্রদায়কে আপডেট বা হালনাগাদ করতেই এ বৈঠকের আয়োজন। এটি তহবিল
সংগ্রহের কোনো বৈঠক নয়। তথাপি- প্রকৃত প্রস্তাবে আসন্ন বৈঠকে রোহিঙ্গা
সংকটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তহবিল সরবরাহ করা নিয়ে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য,
জাতিসংঘের মধ্যমেয়াদি ওই পরিকল্পনা বা প্রাক্কলিত ব্যয়ের জন্য তহবিল
সংগ্রহকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে
’১৮-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মাত্র ৮ কোটি ৩৭ লাখ
ডলারের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিশেষত তহবিল
সংগ্রহে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র মতে, জেআরপি’র খসড়ায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় প্রান্তিক লোকজনের সুরক্ষার সমন্বিত ১২টি খাত চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। যার মধ্যে রয়েছে- প্রথমত: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয়দের মিলে ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫২০ জনের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ খাতের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ডলার। দ্বিতীয়ত: স্বাস্থ্যসেবা। এ খাতের জন্য প্রয়োজন ১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তৃতীয়ত: কেবল বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বর্ষা মৌসুম উপযোগী মোটামুটি কাঠামোর আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ। প্রায় ৮ লাখ ১৩ হাজার ২৮৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর জন্য ধাপে ধাপে তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৫ জনকে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে খসড়ায়। যাতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ ডলার। নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, সাইট ব্যবস্থাপনার জন্য ১২ কোটি ৫০ লাখ, শিক্ষায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ, পুষ্টি খাতের উন্নয়নে ৩ কোটি ৮০ লাখ, কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগসহ অন্যান্য খাতে আরো প্রায় এক কোটি ডলার ধরা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র মতে, জেআরপি’র খসড়ায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় প্রান্তিক লোকজনের সুরক্ষার সমন্বিত ১২টি খাত চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। যার মধ্যে রয়েছে- প্রথমত: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয়দের মিলে ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫২০ জনের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ খাতের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ডলার। দ্বিতীয়ত: স্বাস্থ্যসেবা। এ খাতের জন্য প্রয়োজন ১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তৃতীয়ত: কেবল বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বর্ষা মৌসুম উপযোগী মোটামুটি কাঠামোর আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ। প্রায় ৮ লাখ ১৩ হাজার ২৮৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর জন্য ধাপে ধাপে তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৫ জনকে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে খসড়ায়। যাতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ ডলার। নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, সাইট ব্যবস্থাপনার জন্য ১২ কোটি ৫০ লাখ, শিক্ষায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ, পুষ্টি খাতের উন্নয়নে ৩ কোটি ৮০ লাখ, কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগসহ অন্যান্য খাতে আরো প্রায় এক কোটি ডলার ধরা হয়েছে।
No comments