ধর্ষণ
নিয়ে তীব্র ক্ষোভের মুখে যৌন সম্মতির বয়স পুনর্নির্ধারণ করছে ফ্রান্স।
সরকারের তরফ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে, ১৫ বছর বয়স হলেই যৌন সম্পর্কে সম্মতি
দিতে পারবে মেয়েরা। অর্থাৎ যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের বৈধ বয়স হবে
১৫ বছর। এর ফলে ১৫ বছরের বেশি বয়স হলেই একটি মেয়ে বা একটি ছেলে যৌন সম্পর্ক
স্থাপনে বৈধভাবে সম্মতি দিতে পারবে। সম্প্রতি সেখানে উচ্চ পর্যায়ের দুজন
রাজনীতিকের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালিকাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের
অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজনৈতিক অঙ্গন। বলা হয়, মাত্র ১১ বছর বয়সী বালিকাদের
যৌন সম্পর্কে ব্যবহার করেছেন ওই রাজনীতিকরা। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমন
সম্পর্ককে সেখানে ধর্ষণ হিসেবে দেখা হয়। ফলে ফ্রান্সের সমতা বিষয়ক মন্ত্রী
মারলেন শিয়াপ্পা তার সরকারের নতুন প্রস্তাব ঠেলে দেন সামনে। এর আগে জনগণ ও
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এরপর তিনি বলেন, তার সরকার যৌন
সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দেয়ার জন্য বয়স ১৫ বছরকে নির্ধারণের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২১শে মার্চ একটি নতুন আইন উপস্থাপন করা
হবে কাউন্সিল অব মিনিস্টারসে বা মন্ত্রিপরিষদে। ফ্রান্সে এখন যে আইন আছে
তাতে ১৫ বছর বয়সের কোনো ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে
গণ্য করা হয়। এমন দুটি ঘটনায় ১১ বছর বয়সী বালিকাদের ব্যবহার করা হয়েছিল।
ফলে অভিযোগ ছিল, ওই বালিকাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু যারা তাদের ধর্ষণ
করেছে তাদেরকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়। নভেম্বরেই ঘটে গেছে এ ঘটনা। তখন
৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। আরেকটি
ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে ১১ বছর বয়সী একটি বালিকাকে ধর্ষণের
অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেই মামলাও খারিজ করে দেয়া হয়। এতে ফ্রান্সে তীব্র
ক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে সমতা বিষয়ক মন্ত্রী মারলেন শিয়াপ্পা বলেন, অনেক সময়ই
তিনি বলেছেন যৌন সম্পর্কে সম্মতির বয়স হওয়া উচিত ১৫ বছর। ফরাসি
প্রেসিডেন্টও এমন সম্পর্কের জন্য বয়স নির্ধারণ করতে চেয়েছেন ১৫ বছর। গত
অক্টোবরে মারলেন শিয়াপ্পা সিএনএনকে বলেছিলেন, ফ্রান্সে ধর্ষণের যে সংস্কৃতি
আছে সে বিষয়ে তিনি কাজ করতে চান। আরো বলেছিলেন, আমরা যৌন সম্মতির বয়স আরো
কমিয়ে আনতে চাই। এই বয়সসীমার নিচে কোনো বালক, বালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক
স্থাপন করলে তা ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হবে।
No comments