জুজুর ভয় দেখায় শামীম ওসমান: আইভী
নারায়ণগঞ্জ
সিটি করপোরেশন মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে স্তব্ধ করে
রাখার জন্য শামীম ওসমান বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। গত ১৬ই জানুয়ারি নিরীহ
মানুষদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করলো। সেদিন যদি আমাকে ও আরো কয়েকজনকে হত্যা
করতে পারতো, তাহলে এই নারায়ণগঞ্জ আবার স্তব্ধ হয়ে যেতো। মানুষকে জুজুর ভয়
দেখিয়ে স্তব্ধ করে রাখতে চায় শামীম ওসমান। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন
আর ভয় পায় না। এ শহরের মানুষ প্রচণ্ডভাবে সাহসী হয়ে উঠেছে। তার প্রমাণ বিগত
৫ বছর যাবত দিচ্ছে এবং ১৬ই জানুয়ারি দিয়েছে। ওই সন্ত্রাসী নিয়াজুল যখন
আমার দিকে পিস্তল উঁচিয়ে তেড়ে আসছিল। তখন কারো সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু
নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ খালি হাতে আমাকে রক্ষা করেছে। গতকাল বুধবার
সন্ধ্যায় শহরের দেওভোগ লেকের মুক্তমঞ্চে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও
বিচারহীনতার পাঁচ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, ৬ই মার্চ ত্বকী নিখোঁজ হয়। ৮ই মার্চ ত্বকীর লাশ শীতলক্ষ্যায় পেয়েছিলাম। ত্বকী তার নিজের কারণে খুন হয়নি। ত্বকীকে খুন হতে হয়েছে তার বাবাকে শাস্তি দেয়ার জন্য। তবে শুধু তার বাবাকে শাস্তি দেয়ার জন্যই নয়। সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্তব্ধ করে রাখার জন্য যে পদ্ধতিগুলো দীর্ঘদিন যাবত করে আসছিল, তারই একটি এই ত্বকী হত্যা।
আইভী বলেন, শুধু ত্বকী নয়, চঞ্চল ও মিঠুসহ সব হত্যাকাণ্ড যেগুলো ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার আমরা চাই। বিচার অবশ্যই একদিন হবে। দল ক্ষমতায় থাকলে ওসমান পরিবার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে শুধু হত্যাকাণ্ডই নয়, সব রকমের কাজই তারা সম্পন্ন করে। ত্বকীকে হত্যা করে তার বাড়ির সামনে মঞ্চ করে ত্বকীর বাবাকে হেনস্তা করে। আমি ত্বকীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছি বলে আমার পরিবারের পাঁচজনকে দেড় মাস করে সেন্ট্রাল জেলে জেল খাটতে হয়েছে। ডিবি দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এই নির্যাতন চালিয়েছে যাতে আমি এখান থেকে সরে যাই, চুপ থাকি। এটা যে হয়নি, তার প্রমাণ আজকে আমি এখানে।
তিনি আরো বলেন, আমার একটা ইচ্ছা ছিল, এ শহরের মানুষ সাহসী হোক, কথা বলুক। চল্লিশ বছরে যে শহরের মানুষ কথা বলেনি, এখন কিন্তু অনেকেই কথা বলছেন। এ শহরের মানুষ প্রচণ্ড রকমের সাহসী হয়ে উঠেছেন। তার প্রমাণ দিয়েছেন সেদিন, যেদিন নিয়াজুলের মতো এক সন্ত্রাসীর পিস্তল খালি হাতে সাধারণ মানুষ ধরে ফেলে। এই সাহসটা ধরে রাখবেন। ওসমানদের ভয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি ঘাতকদের বলবো, সেইদিন বেশি দূরে নয়। বিচারের কাঠগড়ায় আপনারা দাঁড়াবেন কিনা জানি না। কিন্তু জনতার আদালতে আপনাদের দাঁড়াতেই হবে। এটা থেকে নিস্তার আপনারা পাবেন না। যতই ভয় দেখান না কেন, যতই চিৎকার করেন না কেন, যতই কথা বলেন না কেন, যত মামলা-মোকদ্দমা, প্রশাসনকে ব্যবহার করে যাই করেন না কেন, আপনারা যে কতটুকু দুর্বল তা আপনারা প্রমাণ পেয়েছেন।
মেয়র আইভী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ত্বকী শুধু রফিউর রাব্বি আর রওনক জাহানের সন্তান নয়। ত্বকী আমাদেরও সন্তান। সেই সন্তানের হত্যার প্রতিবাদ আমরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত করে যাবো। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো, সাত খুনের বিচার যেভাবে হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যান্য অন্যায়ের বিচার করে যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন, সেভাবেই আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিচার আপনি অবশ্যই করবেন। এটা শুধু নারায়ণগঞ্জের মানুষের চাহিদা না সারা বাংলাদেশের চাহিদা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, বরেণ্য শিক্ষাবিদ হায়াত মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শামসুল আলম আজাদ প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, ৬ই মার্চ ত্বকী নিখোঁজ হয়। ৮ই মার্চ ত্বকীর লাশ শীতলক্ষ্যায় পেয়েছিলাম। ত্বকী তার নিজের কারণে খুন হয়নি। ত্বকীকে খুন হতে হয়েছে তার বাবাকে শাস্তি দেয়ার জন্য। তবে শুধু তার বাবাকে শাস্তি দেয়ার জন্যই নয়। সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্তব্ধ করে রাখার জন্য যে পদ্ধতিগুলো দীর্ঘদিন যাবত করে আসছিল, তারই একটি এই ত্বকী হত্যা।
আইভী বলেন, শুধু ত্বকী নয়, চঞ্চল ও মিঠুসহ সব হত্যাকাণ্ড যেগুলো ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার আমরা চাই। বিচার অবশ্যই একদিন হবে। দল ক্ষমতায় থাকলে ওসমান পরিবার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে শুধু হত্যাকাণ্ডই নয়, সব রকমের কাজই তারা সম্পন্ন করে। ত্বকীকে হত্যা করে তার বাড়ির সামনে মঞ্চ করে ত্বকীর বাবাকে হেনস্তা করে। আমি ত্বকীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছি বলে আমার পরিবারের পাঁচজনকে দেড় মাস করে সেন্ট্রাল জেলে জেল খাটতে হয়েছে। ডিবি দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এই নির্যাতন চালিয়েছে যাতে আমি এখান থেকে সরে যাই, চুপ থাকি। এটা যে হয়নি, তার প্রমাণ আজকে আমি এখানে।
তিনি আরো বলেন, আমার একটা ইচ্ছা ছিল, এ শহরের মানুষ সাহসী হোক, কথা বলুক। চল্লিশ বছরে যে শহরের মানুষ কথা বলেনি, এখন কিন্তু অনেকেই কথা বলছেন। এ শহরের মানুষ প্রচণ্ড রকমের সাহসী হয়ে উঠেছেন। তার প্রমাণ দিয়েছেন সেদিন, যেদিন নিয়াজুলের মতো এক সন্ত্রাসীর পিস্তল খালি হাতে সাধারণ মানুষ ধরে ফেলে। এই সাহসটা ধরে রাখবেন। ওসমানদের ভয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি ঘাতকদের বলবো, সেইদিন বেশি দূরে নয়। বিচারের কাঠগড়ায় আপনারা দাঁড়াবেন কিনা জানি না। কিন্তু জনতার আদালতে আপনাদের দাঁড়াতেই হবে। এটা থেকে নিস্তার আপনারা পাবেন না। যতই ভয় দেখান না কেন, যতই চিৎকার করেন না কেন, যতই কথা বলেন না কেন, যত মামলা-মোকদ্দমা, প্রশাসনকে ব্যবহার করে যাই করেন না কেন, আপনারা যে কতটুকু দুর্বল তা আপনারা প্রমাণ পেয়েছেন।
মেয়র আইভী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ত্বকী শুধু রফিউর রাব্বি আর রওনক জাহানের সন্তান নয়। ত্বকী আমাদেরও সন্তান। সেই সন্তানের হত্যার প্রতিবাদ আমরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত করে যাবো। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো, সাত খুনের বিচার যেভাবে হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যান্য অন্যায়ের বিচার করে যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন, সেভাবেই আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিচার আপনি অবশ্যই করবেন। এটা শুধু নারায়ণগঞ্জের মানুষের চাহিদা না সারা বাংলাদেশের চাহিদা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, বরেণ্য শিক্ষাবিদ হায়াত মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শামসুল আলম আজাদ প্রমুখ।
No comments