রাজধানীতে বর্ণিল ডেজার্ট প্রতিযোগিতা
মিষ্টান্ন
খাবারে কে কত পারদর্শী। কোন রন্ধনশিল্পী মিষ্টি হাতে মিষ্টান্ন তৈরিতে
দক্ষ- এমনই এক প্রতিযোগিতা হয়ে যায় রাজধানীতে। গতকাল ধানমন্ডিস্থ পানসী
হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে বর্ণিল আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
রন্ধনশিল্পীদের নিয়ে এমন আয়োজন বাংলাদেশে এবারই প্রথম। বিশিষ্ট রন্ধন
শিল্পীদের সংগঠন উইমেন কালিনারি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ প্রতিযোগিতামূলক
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট ফুড জার্নালিস্ট ও লেখক
পাঞ্চালী দত্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট নাজমা হুদা,
সেক্রেটারি লবী রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাজেদা মিনহাজ, দ্বিতীয় ভাইস
প্রেসিডেন্ট কল্পনা রহমান এবং অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সোহেলী শামীম। পুরো
প্রতিযোগিতাটি বিচারণার দায়িত্ব পালন করেন নাজমা হুদা, লবী রহমান, কল্পনা
রহমান ও সোহেলী শামীম। এতে সারা দেশ থেকে তিনশ’ প্রতিযোগীর মধ্যে চূড়ান্ত
পর্বে অংশ নিয়েছেন ৪০ জন রন্ধনশিল্পী। হরেক রকমের মিষ্টান্ন খাবারের
প্রাণবন্ত উপস্থাপন ছিল সবার টেবিলেই। দেশের ছানার তৈরি পদ্মার ইলিশ,
ক্ষীরের দুধ লাউ, স্টবের ডাবের লেয়ার পুডিং, রেইনবো ডেজার্ট, ম্যাজিক
ডেজার্ট, কার্তাপ্তাসহ সব বাহারি মিষ্টান্ন প্রতিযোগীদের টেবিলে উপস্থিতি
ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পর্যায়ে মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য
রাখেন আয়োজক ও প্রধান অতিথি। এ সময় উইমেন কালিনারি অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশের লবী রহমান বলেন, ৮ই মার্চ নারী দিবস। এ উপলক্ষে আমরা
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কি করবো ভাবছিলাম। খুব স্বল্প সময়ের সিদ্ধান্তে
আমরা এ আয়োজন করেছি। জানি না সবার কেমন লাগে। পাঞ্চালী দিদিকেও আমরা অল্প
সময়ের মধ্যে পেয়ে গেছি। তিনি কলকাতা থেকে এসেছেন আমাদের এ আয়োজনের জন্য।
আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ তার কাছে। সে সঙ্গে খুবই আনন্দিত। আর এ আয়োজনে যেসব
প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। প্রধান
অতিথি পাঞ্চালী দত্ত বলেন, বাংলাদেশে আমার আসার খবরটি ফেসবুকে যখন দিয়েছি
অনেকে আমাকে খুব শুভকামনা আর স্বাগত জানিয়েছেন তাতে আর বলার অপেক্ষা রাখে
না এদেশের মানুষ কতটা আন্তরিক। এ আয়োজনের সঙ্গী হতে পেরে সত্যিই খুব ভালো
লাগলো। আরেকটা কথা- আমি কিন্তু এদেশেরই একজন। শুধু কাঁটাতারের বেড়া আমাদের
আলাদা করেছে। কিন্তু আমার পূর্ব পুরুষ এখানকার সিলেটের বাসিন্দা। তাই বলতে
পারেন আমি সিলেটেরই মেয়ে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নাজমা হুদা বলেন, খুব
স্বল্প সময়ে এমন একটা আয়োজন করতে পারবো ভাবতে পারিনি। তবে এটা ভেবে ভালো
লাগছে যে দিদি (পাঞ্চালী দত্ত) আমাদের সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছেন। তার কাছে
সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগীদের প্রতিটি
টেবিল ঘুরে বিচারণার কাজ পরিচালনা করেন তিন বিচারক। এরপর মিষ্টান্নের স্বাদ
ও বৈচিত্র্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তাদের নম্বর প্রদান করে দশজনকে পুরস্কৃত
করেন তারা। প্রদর্শনীতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেরা তিনজন হলেন- রন্ধনশিল্পী
ফারজানা আফরিন, রাজিয়া সুলতানা ও জাকিয়া জাহান রূপা।
No comments