শাহবাগের আন্দোলনে জনগণের বিজয় হবে ॥ ফখরুল সরকারের ইমান প্রশ্নবিদ্ধ ॥ by মওদুদ
শাহবাগের আন্দোলনে জনগণের বিজয় হবে বলে
মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন শাহবাগের মহাসমাবেশ গণতন্ত্রের জন্য জনগণের আন্দোলন।
এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জনগণ জেগে উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর
শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনগণের আন্দোলনের কারণে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ জন্য দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, হত্যা, গুম, মামলা ও হামলা করে গণতন্ত্রের সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনগণ জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের এ আন্দোলনে জনগণই জয়ী হবে। পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচীতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মোঃ শাজাহান রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খন্দকার, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়ে ৫৬ দিন কারাবাসের পর ৬ জানুয়ারি মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের ইমান প্রশ্নবিদ্ধ- মওদুদ ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকারের এ দ্বিমুখী আচরণের কারণ জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। এ কারণে সরকারের ইমান আজ প্রশ্নবিদ্ধ। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বদেশ জাগরণ পরিষদ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায় জনগণ কেন নেবে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সরকারের পছন্দসই বিচারকের রায় নিয়ে সমাজে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এজন্য সরকারই দায়ী।
মওদুদ বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আইন প্রণয়ন করেছে। বিচারের জন্য ট্রাব্যুনাল গঠন করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সরকার নিজেই নিজের ফাঁদে ধরা পড়েছে। ইমান ঠিক না থাকলে যে শেষ বেলায় ধরা খেতে হয় আওয়ামী লীগই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, এ সরকারের ভেতরে দুটি সরকার রয়েছে। এ জন্যই দেশের এ অবস্থা।
মওদুদ বলেন, রাজধানীর শাহবাগে যে আন্দোলন চলছে সে আন্দোলনে সরকারের নামীদামী মন্ত্রীরা যেতে চেয়েও পারছেন না। তবে তাঁদের মধ্যে যে দুই-একজন ভাল আছেন তাঁরা তাদের সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন তাঁদের কোথাও ভুল রয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে মওদুদ বলেন, সরকারের দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এ সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করবে। যারা ওই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা কখনই ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। তিনি বলেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টিকে সরকারের দিবাস্বপ্ন। কারণ এটা কখনও সম্ভব হবে না। বিদেশী সাহায্য ছাড়া কোনভাবে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সরকার নিজস্ব অর্থায়নের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। যারা ৪ বছরে সেতু নির্মাণ করতে পারেনি। তারা ৮ মাসে কিভাবে পারবে।
তত্ত্বাবধায়ক ও পদ্মা সেতু ইস্যু ধামাচাপা দিচ্ছে সরকারÑ ড. মোশাররফ ॥ সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ও পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি ইস্যু ধামাচাপা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে ফেরাতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনের নামে নাটক করছে। এই নাটকের আসল উদ্দেশ্য জনগণ বুঝতে পেরেছে। সরকার যতই ছলচাতুরী করুক না কেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া এ দেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়িমির্জানগরে ভাওরখোলা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক কর্মিসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভাওরখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি কেএমআই খলিল, কুমিল্লা জেলা বিএনপি নেতা ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সহসভাপতি ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, মেজর (অব) এমএম মেহবুব রহমান প্রমুখ।
আজ নয়াপল্টনে ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮-দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ। বৃহস্পতিবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় খালেদা জিয়ার শোক প্রকাশ ॥ শুক্রবার সকাল ৮টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে এম এল সারস নামের একটি লঞ্চ ডুবে বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এ হেন মর্মান্তিক ও শোকার্ত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়া তিনি আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনগণের আন্দোলনের কারণে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ জন্য দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, হত্যা, গুম, মামলা ও হামলা করে গণতন্ত্রের সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনগণ জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের এ আন্দোলনে জনগণই জয়ী হবে। পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচীতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মোঃ শাজাহান রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খন্দকার, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়ে ৫৬ দিন কারাবাসের পর ৬ জানুয়ারি মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের ইমান প্রশ্নবিদ্ধ- মওদুদ ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকারের এ দ্বিমুখী আচরণের কারণ জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। এ কারণে সরকারের ইমান আজ প্রশ্নবিদ্ধ। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বদেশ জাগরণ পরিষদ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায় জনগণ কেন নেবে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সরকারের পছন্দসই বিচারকের রায় নিয়ে সমাজে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এজন্য সরকারই দায়ী।
মওদুদ বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আইন প্রণয়ন করেছে। বিচারের জন্য ট্রাব্যুনাল গঠন করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সরকার নিজেই নিজের ফাঁদে ধরা পড়েছে। ইমান ঠিক না থাকলে যে শেষ বেলায় ধরা খেতে হয় আওয়ামী লীগই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, এ সরকারের ভেতরে দুটি সরকার রয়েছে। এ জন্যই দেশের এ অবস্থা।
মওদুদ বলেন, রাজধানীর শাহবাগে যে আন্দোলন চলছে সে আন্দোলনে সরকারের নামীদামী মন্ত্রীরা যেতে চেয়েও পারছেন না। তবে তাঁদের মধ্যে যে দুই-একজন ভাল আছেন তাঁরা তাদের সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন তাঁদের কোথাও ভুল রয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে মওদুদ বলেন, সরকারের দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এ সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করবে। যারা ওই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা কখনই ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। তিনি বলেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টিকে সরকারের দিবাস্বপ্ন। কারণ এটা কখনও সম্ভব হবে না। বিদেশী সাহায্য ছাড়া কোনভাবে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সরকার নিজস্ব অর্থায়নের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। যারা ৪ বছরে সেতু নির্মাণ করতে পারেনি। তারা ৮ মাসে কিভাবে পারবে।
তত্ত্বাবধায়ক ও পদ্মা সেতু ইস্যু ধামাচাপা দিচ্ছে সরকারÑ ড. মোশাররফ ॥ সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ও পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি ইস্যু ধামাচাপা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে ফেরাতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনের নামে নাটক করছে। এই নাটকের আসল উদ্দেশ্য জনগণ বুঝতে পেরেছে। সরকার যতই ছলচাতুরী করুক না কেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া এ দেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়িমির্জানগরে ভাওরখোলা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক কর্মিসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভাওরখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি কেএমআই খলিল, কুমিল্লা জেলা বিএনপি নেতা ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সহসভাপতি ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, মেজর (অব) এমএম মেহবুব রহমান প্রমুখ।
আজ নয়াপল্টনে ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮-দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ। বৃহস্পতিবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় খালেদা জিয়ার শোক প্রকাশ ॥ শুক্রবার সকাল ৮টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে এম এল সারস নামের একটি লঞ্চ ডুবে বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এ হেন মর্মান্তিক ও শোকার্ত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়া তিনি আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
No comments