প্রধানমন্ত্রী ন্যায্য হিস্যা আদায় করেই ভারত থেকে ফিরবেন- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার- অবশ্যই হবে by নাসিম
স্টাফ রিপোর্টার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ভারত সফর থেকে দেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় করেই মাথা উচুঁ করে দেশে ফিরবেন।
দেশবাসীও বিমানবন্দরে তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করতে প্রস্তুত হয়ে আছে। দেশের মানুষ জানে, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের স্বার্থ ৰুণ্ন করে কিছু করতে পারে না। অথচ শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া বিভ্রানত্মিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার বিভ্রানত্মিমূলক ও ধাপ্পাবাজি বক্তব্যের কারণেই গত নির্বাচনে জনগণ খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন।সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে "যুদ্ধাপরাধ বিচারের গণদাবি এবং বিজয় দিবস-২০০৯" শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যত তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও আমরা প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি মনত্মব্য করে তিনি বলেন, এর কারণ হচ্ছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে গনতন্ত্র বার বার হোঁচট খেয়েছে। ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করা না হলে এতদিনে আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম।
দৈনিক মানবকণ্ঠ আয়োজিত এ আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন মানবকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক রেজাউল করিম। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, প্রখ্যাত সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুইট, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মজনু, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শামীম আহম্মেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মানবকণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইউনুছ আলী। সভা পরিচালনা করেন মানবকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতির জনক হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগে। আত্মস্বীকৃত খুনীদের শাসত্মি দিতে সাৰীর প্রয়োজন ছিল না। তার পরেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাবশত না হয়ে স্বাভাবিক আইনে খুনীদের বিচার চেয়েছেন। দেশবাসী এখন চূড়ানত্ম রায় কার্যকরের অপেৰায় আছে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল উলেস্নখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই তত্তা্ববধায়ক সরকার সেনাসমর্থিত সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। এমন সময় এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল যখন স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে ভোটারবিহীন নির্বাচনের নীলনকশা করেছিল। দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনের ফসল হিসেবেই এ সরকার এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, তারা শেখ হাসিনাকে মাইনাসের ফর্মুলা নিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনার বিরম্নদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ক্যাঙ্গারম্ন আদালতে তাঁর বিচার শুরম্ন করেছিল। যারা দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে সোচ্চার ছিল সেইসব নেতার বিরম্নদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলো। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে নির্যাতন করা হলো। কিন্তু যারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিল জনগণের চাপে তারাই মাইনাস হয়ে গেছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে বিপুলভাবে সমর্থন দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ ৰমতায় এলে দেশের মানুষ শানত্মি পায়, দেশের উন্নয়ন হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ৰমতায় এলে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের চক্রানত্মও শুরু হয়। এজন্য তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহবান জানান।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুদ্ধাপরাধী নরপশুদের বিচারের কাজ বর্তমান সরকার শুরম্ন করেছে। অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তিনি সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার ওপর গুরম্নত্বারোপ করে বলেন, আমরা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আমরা ২৬ মার্চের আগেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরম্ন দেখতে চাই। তিনি আওয়ামী লীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল সাংসদ ও নেতার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ৰুণ্ন হচ্ছে মনত্মব্য করে বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ৰুণ্নকারী কাউকেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, গত এক বছরে দেশে ও বিদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। বর্তমান সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসম্পন্ন হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
No comments