চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার খলিল হত
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস চট্টগ্রামে হাটহাজারী সার্কেল পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ডাকাত সর্দার খলিল (৩৭)। এ ঘটনায় তার সহযোগী আবুল হোসেনও (২৭) গুলিবিদ্ধ হয়।
রবিবার গভীর রাতে দু'জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খলিলকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খলিলকে বাঁচাতে এ সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অংশ নেয় খলিলের আরও ৪ সহযোগী। উলেস্নখ্য, তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময়ে উত্তর ও দৰিণ চট্টগ্রামের ১৬৩ ডাকাত এক মাসের মধ্যে জামিন পাবার পর ঐ এলাকায় আবারও প্রতিনিয়ত ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।রবিবার সন্ধ্যায় ১৫টি ডাকাতি মামলার আসামি খলিলকে ধরতে হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি বাবুল আকতারের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে অপেৰা করছিল ভবানীপুর সড়কের পাশে। একটি সিএনজি ট্যাঙ্ ি(চট্ট মেট্রো-১১-৫৫৬৫) থামানোর চেষ্টা করলে উক্ত সিএনজি অটোরিঙ্া থেকে গুলিবর্ষণ শুরম্ন হয়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিট গুলিবিনিময়ের পর ডাকাত সর্দার খলিল ও তার সহযোগী আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে প্রথমে হাটহাজারী থানা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েনিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় রাত সোয়া একটার দিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাদের অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশী বন্দুকসহ ৬টি অস্ত্র, ৩৩ রাউন্ড গুলি, একটি গ্রিল কাটার যন্ত্র, ৫টি কোরাবারিসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। খলিলের বিরম্নদ্ধে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনীয়া, পটিয়া, চান্দগাঁও, বোয়ালখালীসহ বিভিন্ন থানায় ১৮টি ডাকাতি ও খুনসহ মামলা রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের পর ২০০৯ সালে আবারও তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ডাকাতির ও মামলা থেকে রেহাই পাবার বিভিন্ন নির্দেশনাসহ একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছিল। ডায়েরিতে ৪২ জনের নামের তালিকা রয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর ও দৰিণ জেলায় প্রায় ৬শ' সদস্যের ডাকাত দল রয়েছে। এরমধ্যে ৩৮৮ জন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। এদের মধ্যে ২৬৬ জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী আদায় করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ৪৯টি ও ২০০৯ সালে ৭২টি মামলাসহ প্রায় দেড় শ' মামলার পুলিশী তদনত্ম ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি জানান, খলিলকে ধরার জন্য শুধু চট্টগ্রামেই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গত তিন মাস ধরে ডাকাতির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অন্য আসামির সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে তাকে ধরতে অভিযান চালানো হয় রবিবার রাতে। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড তার খালাত ভাই শাহেদ। শাহেদের স্ত্রী একটি মোবাইল চুরির মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছে। খলিলের কাছের সহযোগী আলীসহ ৪৫ সদস্যকে খুঁজছে পুলিশ।
No comments