বোরো চাষে বিপুল আগ্রহ
বর্তমান মহাজোট সরকারের পাড়ি দেয়া প্রথম বছরের অন্যতম সাফল্য এসেছে কৃষি খাতে। এ সাফল্য দেখে প্রতীয়মান হচ্ছে, অনত্মত খাদ্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ সঙ্কটে পড়ার আর কোন কারণ নেই।
কৃষকদের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। সরকার ইতোমধ্যে নানা রকম কৃষকবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করে তা বাসত্মবায়নের জন্য গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন ধরনের সংশয় ও ভোগানত্মি থেকে কৃষকরা রা পাওয়ায় এবার বোরো চাষে ঘটতে যাচ্ছে কৃষি বিপস্নব। এই বোরো মৌসুমে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হচ্ছে। উচ্চফলনশীল জাতের হাইব্রিড, উফশী এবং স্থানীয় জাতের বোরো ধান চাষের জন্য বীজ সরবরাহ, সার, সেচ এবং প্রয়োজনানুযায়ী ভতর্ুকিসহ সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থাপনায় সরকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সরকারের সহযোগিতায় অনেক কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বীজতলা তৈরি করেছে। এখন অধিকাংশ এলাকায় চারা রোপণ শুরম্ন হয়ে গেছে পুরো উদ্যমে।এর মধ্যে শুরম্ন হয়েছে প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড, অর্থাৎ কৃষক পরিচয়পত্র বিতরণ। এই কার্ড বিতরণের কাজ শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি। ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার থেকে যেসব সুবিধা দেয়া হবে তা সাধারণ কৃষকের জমির অনুপাতে সমানভাবে পাওয়ার ল্যেই এই কার্ড বিতরণ। গত ক'মাস ধরে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে কৃষকদের তালিকা তৈরি হয়েছে। কৃষকের পরিচিতিসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা, প্রতি মৌসুমে ক ী পরিমাণ জমিতে কোন আবাদ করে, কী ধরনের এবং কতটুকু উপকরণ সহায়তা দরকার এমনসব তথ্য থাকছে এই কার্ডে। যাবতীয় তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিজন কৃষক সরকারের কাছ থেকে সকল ধরনের সহায়তা পাবে। ফসল উৎপাদনে সরকার বিভিন্ন খাতে যে ভতর্ুকি প্রদান করবে তাও দেয়া হবে এই কার্ডের ভিত্তিতে। সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, এবার বোরো চাষে ডিজেল ও বিদু্যতচালিত সেচে ভতর্ুকি দেবে। বোরো আবাদ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উৎপাদনের ত্রে। এই উপযুক্ত মৌসুমে সরকারের চাষাবাদে অনুকূল ব্যবস্থাপনা গ্রহণে কৃষকরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। প্রাকৃতিক পরিস্থিতি বৈরী না হলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের কৃষক। ভতর্ুকি প্রদান, সাবলীল পন্থায় ঋণগ্রহণ এবং নানাবিধ কৃষি উপকরণ পেতে সামগ্রিক আয়োজনে সরকারের দ্রম্নত পদপে কৃষকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
বোরো মৌসুমে এখন পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ন্যায্য দামে এবং ঝামেলামুক্তভাবে সারসহ কৃষি উপকরণ ক্রয় করতে পারবেন কৃষকরা। ুদ্র ও মাঝারি সারির কৃষক অনেক সময় সার পেতেন না ডিলারদের কারসাজির কারণে। এখন এসব ভোগানত্মিতে আর পড়তে হবে না। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কৃষকরা পরিমাণমতো সার পাবেন, যা বিক্রি করতে হবে নির্দিষ্ট কৃষকদের কাছে। এছাড়া ডিজেল কেনার পর তা কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকলে সরকার যে ভতর্ুকি দেবে তা পেতেও কোন অসুবিধা হবে না। বোরো মৌসুমে সরকার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় কৃষি খাতে আনন্দঘন কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
No comments