আলোচিত পাঁচ বিচারপতি ছাড়াই বেঞ্চ গঠন
ছুটি প্রত্যাহার করে বিচারিক কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এম এ হাই, বিচারপতি ফারুক আহমেদ, বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে ছাড়াই গতকাল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করা হয়।
সে অনুযায়ী গতকালের কার্যতালিকা তৈরি হওয়ায় আলোচিত এ পাঁচ বিচারপতি এজলাসে বসে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।আপিল বিভাগে চার বিচারপতি নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁরা ২৩ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে যান। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা ছুটি প্রত্যাহার করে গতকাল থেকে বিচারিককাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, ওই পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী লিখিতভাবে ছুটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। বাকি চারজন মৌখিকভাবে ছুটি প্রত্যাহারের কথা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেন। কিন্তু এর আগেই প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক রবিবারের জন্য বেঞ্চ গঠন করেন। সে অনুযায়ী গতকালের কার্যতালিকা তৈরি হয়। এতে দেখা যায়, আলোচিত ওই পাঁচ বিচারপতি ছাড়াই কার্যতালিকা ছাপা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মো. ইমান আলীকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। নতুন নিয়োগ পাওয়া এ চারজন পরদিন শপথ নেন। প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানে আলোচিত পাঁচ বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা নিজেদের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি দাবি করে আপিল বিভাগে চার বিচারপতির নিয়োগে অসন্তোষ জানান বলে জানা যায়।
আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই হাইকোর্ট বিভাগের কয়েকজন বিচারপতির তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্য থেকে সিনিয়রদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। তা না হলে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৯ বিচারপতি একযোগে পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ওঠে। শেষ পর্যন্ত এ ৯ জনের মধ্য থেকে কাউকে আপিল বিভাগে নিয়োগ না দেওয়ায় পাঁচ বিচারপতি ছুটিতে যান।
No comments