জিতেই চলেছে বার্সেলোনা
স্প্যানিশ লিগে একেবারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বার্সেলোনা। গতকাল পেদ্রোর জোড়া গোলের সুবাদে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসপানিওলের বিপক্ষে কাতালানরা পেয়েছে ৪-০ গোলের বড় জয়। বাকি দুটি গোল করেছেন লিওনেল মেসি ও জাভি।
লা লিগায় এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচের একটিতেও হারের মুখ দেখেনি টিটো ভিলানোভার শিষ্যরা। জয় পেয়েছে ১৭টিতেই। ৫২ পয়েন্ট নিয়ে এখন নিজেদের অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ১১। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের থেকে বার্সেলোনা এগিয়ে আছে ১৬ পয়েন্টের ব্যবধানে।কয়েক দিনের অনুপস্থিতির পর আবার গতকাল বার্সেলোনার ডাগআউটে ফিরে এসেছেন কোচ টিটো ভিলানোভা। প্রিয় কোচকে স্বাগত জানানোর জন্য হয়তো প্রথম থেকেই বিধ্বংসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মেসি-জাভি-পেদ্রো-ইনিয়েস্তারা। খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ইনিয়েস্তার ক্রস থেকে চমত্কারভাবে জালে বল জড়িয়ে দেন জাভি। পাঁচ মিনিট পরে এবার নিজের প্রথম গোলটি করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো। ২৭ মিনিটে সার্জিও বুসকেটসের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। দুই মিনিট পরে পেনাল্টি থেকে দলের পক্ষে চতুর্থ গোলটি করেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধের ৪-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে জয়টা নিশ্চিতই করে ফেলেছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোলের দেখা না পেলেও আফসোস করতে হয়নি কাতালানদের।
ক্যানসার ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য কয়েকদিন ডাগআউটের বাইরে ছিলেন বার্সেলোনার কোচ টিটো ভিলানোভা। গতকালই আবার ফিরে এসেছিলেন ন্যু ক্যাম্পের ডাগআউটে। দলের জয়ের চেয়েও ভিলানোভার এই প্রত্যাবর্তনকেই বেশি খুশির সংবাদ বলে মন্তব্য করেছেন বার্সার ক্রীড়া পরিচালক জুবিজারেত্তা। তিনি বলেছেন, ‘আজকের সবচেয়ে ভালো খবর হচ্ছে যে, আমরা টিটোকে আবার ডাগআউটে ফিরে পেয়েছি।’ দলের পারফরমেন্স নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভিলানোভাও। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ৩০ মিনিটের পারফরমেন্স ছিল খুবই দুর্দান্ত। আমি ডাগআউট ছেড়ে বেরিয়ে আসিনি, কারণ পুরো দলই খুব ভালো খেলছিল। মাঠের পাশে আমার দাঁড়িয়ে থাকার কোনো প্রয়োজন ছিল না।’— রয়টার্স
No comments