আজ বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ
স্টাফ রিপোর্টার ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার সময় আজ বুধবার বিকেলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমর্ী-সমর্থকদের পাশাপাশি সর্বসত্মরের মানুষকে এই গণসংবর্ধনায় জমায়েত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন 'যমুনা'র শেরাটন ক্রসিং পর্যনত্ম সুদীর্ঘ সড়কপথে মানুষের ঢল নামাতে ঢাকা মহানগরী থেকে নির্বাচিত ১৫ দলীয় সংসদ সদস্যকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিন দিনের ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন যমুনা সংলগ্ন হোটেল শেরাটন ক্রসিং পর্যনত্ম তাঁকে ব্যাপক গণসংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ফুলের তোড়া, ব্যানার, ফেস্টুন ও সস্নোগানের মাধ্যমে উষ্ণ অভিনন্দন জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে।গণসংবর্ধনাকে সফল করতে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর, মহানগরের অনত্মর্গত সকল থানা, গাজীপুর জেলা ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর ও গাজীপুরের দলীয় সংসদ সদস্যদের বিশেষ যৌথ বৈঠকে গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি চূড়ানত্ম করা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধানত্ম অনুযায়ী বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলক্রসিং পর্যনত্ম এলাকায় মহানগরের উত্তরা, দৰিণখান, উত্তরখান, তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, মিরপুর, পলস্নবী, কাফরম্নল ও ক্যান্টনমেন্ট থানা এবং গাজীপুর জেলা ও টঙ্গী থানাসহ হরিরামপুর ইউনিয়নের দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা জড়ো হবেন। অন্যদিকে র্যাংগ্স ভবন থেকে হোটেল শেরাটন ক্রসিং পর্যনত্ম এলাকায় থাকবেন মোহাম্মদপুর, ধানম-ি, হাজারীবাগ, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, রমনা, ডেমরা, শ্যামপুর, সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মতিঝিল থানা এবং সারম্নলিয়া ইউনিয়নসহ মহানগরের বাকি সব থানার নেতাকর্মী-সমর্থকরা। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে এই গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও শানত্মিপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি চলে আসছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল ভারত সফরের মাধ্যমে সেই সঙ্কট উত্তরণ করে শানত্মিপূর্ণ দৰিণ এশিয়া গড়ে তোলার ৰেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। পাশাপাশি দেশের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখেছেন। এই কারণে বাঙালী জাতি গণজাগরণের মাধ্যমে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবে।
বৈঠক শেষে নূহ-উল-আলম লেনিন সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ প্রতীৰিত ভারত সফর সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন। বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে সফল এই সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাবে সর্বসত্মরের জনতা।
বৈঠকে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নূহ-উল-আলম লেনিন, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, আবুল হাসানাত আবদুলস্নাহ, মৃণাল কানত্মি দাশ, মির্জা আজম, এমএ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, রায় রমেশ চন্দ্র, মোলস্না মোঃ আবু কাওছার, পংকজ দেবনাথ, নাজমা আকতার, অপু উকিল, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।
No comments