পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অবশেষে বিদায় নিতে বাধ্য হচ্ছেন ফ্রান্সের বিতর্কিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল অ্যালিয়ত মারি। দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, মারি পদত্যাগ করবেন। দুই-এক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির কাছে জমা দেওয়া হবে।
তিউনিসিয়ার ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলীর ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মারি। তাঁকে বহিষ্কারের জন্য সারকোজির ওপরও বিরোধীদের চাপ ছিল।
মারি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে কুয়েতে রয়েছেন। গতকাল রবিবারই তাঁর দেশে ফেরার কথা। ফ্রান্সের একাধিক মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, দেশে ফিরেই মারি পদত্যাগ করবেন। তবে ওই মন্ত্রীরা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। এক মন্ত্রী বলেন, 'মারির কারণে দলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই তিনি পদত্যাগ করছেন।' ওই মন্ত্রী জানান, মারির বিদায়ের পর ফ্রান্সের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন অ্যালাঁ জুপ। আরেকজন মন্ত্রী বলেন, মারির বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন আগে থেকেই নানা কারণে চাপের মুখে থাকা সারকোজি। জনসমর্থনের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছিল মারিকে বহিষ্কার করবেন সারকোজি।
গত ডিসেম্বরে তিউনিসিয়ায় গণআন্দোলন চলাকালেই সপরিবারে ছুটি কাটাতে দেশটিতে যান মারি। সেখানে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আজিজ মিলেদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নেন ৬৪ বছর বয়সী মন্ত্রী। গণমাধ্যমের দাবি, ওই সময় তিনি মিলেদের ব্যক্তিগত বিমানে দুবার ভ্রমণ করেন। মিলেদ বেন আলীর খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শুরুতে এ ভ্রমণের বিষয়ে একরোখা বক্তব্য দিয়ে বিরোধীদের আরো ক্ষুব্ধ করে তোলেন মারি। তিনি বলেন, 'ছুটিতে থাকা অবস্থায় আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নই।' কিন্তু কিছুক্ষণ পরই এক বিবৃতিতে মারি নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, 'এ বিষয়টিতে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি দুঃখিত। আসলে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও মন্ত্রীদের মাঝেমধ্যে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ওই সময় মানুষ নিজের দায়িত্বের কথাও ভুলে যায়।'
ফ্রান্সের বেন আলীকে সমর্থন দেওয়ার কৌশল গ্রহণের পেছনেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারির ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটির গণমাধ্যম।
সূত্র : এএফপি।
মারি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে কুয়েতে রয়েছেন। গতকাল রবিবারই তাঁর দেশে ফেরার কথা। ফ্রান্সের একাধিক মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, দেশে ফিরেই মারি পদত্যাগ করবেন। তবে ওই মন্ত্রীরা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। এক মন্ত্রী বলেন, 'মারির কারণে দলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই তিনি পদত্যাগ করছেন।' ওই মন্ত্রী জানান, মারির বিদায়ের পর ফ্রান্সের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন অ্যালাঁ জুপ। আরেকজন মন্ত্রী বলেন, মারির বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন আগে থেকেই নানা কারণে চাপের মুখে থাকা সারকোজি। জনসমর্থনের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছিল মারিকে বহিষ্কার করবেন সারকোজি।
গত ডিসেম্বরে তিউনিসিয়ায় গণআন্দোলন চলাকালেই সপরিবারে ছুটি কাটাতে দেশটিতে যান মারি। সেখানে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আজিজ মিলেদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নেন ৬৪ বছর বয়সী মন্ত্রী। গণমাধ্যমের দাবি, ওই সময় তিনি মিলেদের ব্যক্তিগত বিমানে দুবার ভ্রমণ করেন। মিলেদ বেন আলীর খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শুরুতে এ ভ্রমণের বিষয়ে একরোখা বক্তব্য দিয়ে বিরোধীদের আরো ক্ষুব্ধ করে তোলেন মারি। তিনি বলেন, 'ছুটিতে থাকা অবস্থায় আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নই।' কিন্তু কিছুক্ষণ পরই এক বিবৃতিতে মারি নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, 'এ বিষয়টিতে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি দুঃখিত। আসলে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও মন্ত্রীদের মাঝেমধ্যে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ওই সময় মানুষ নিজের দায়িত্বের কথাও ভুলে যায়।'
ফ্রান্সের বেন আলীকে সমর্থন দেওয়ার কৌশল গ্রহণের পেছনেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারির ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটির গণমাধ্যম।
সূত্র : এএফপি।
No comments