ইরাকজুড়ে বিক্ষোভের ডাক-মন্ত্রীদের কাজ দেখাতে ১০০ দিন সময় দিলেন মালিকি
দেশ পরিচালনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি। তিনি তাঁর মন্ত্রীদের এক শ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের কাজ করে দেখাতে হবে। অন্যথায় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
দেশজুড়ে সংস্কারের দাবিতে প্রবল আন্দোলনের মধ্যে এ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মালিকি। বিক্ষোভের কারণে ইতিমধ্যেই তিনটি প্রদেশের গভর্নর পদত্যাগ করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এক বছর পূর্তির দিন ৪ মার্চ বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ওই নির্বাচনের পর ৯ মাস লাগে সরকার গঠন করতে। এখনো স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই নানামুখী সংস্কারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ইরাক। তারা সরকারের দুর্বল পরিসেবা, দুর্নীতি এবং চাকরির দাবিতে ক্ষোভ দেখাচ্ছে।
মালিকির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'প্রধানমন্ত্রী এক শ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এরপর সরকার ও মন্ত্রণালয়গুলোর কাজ পর্যালোচনা করা হবে। যাতে করে প্রত্যেক ব্যক্তির কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।' গত রবিবার থেকেই দিন গোনা শুরু হয়েছে। 'এই পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করেই মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হবে।' দুর্নীতি মোকাবিলায়ও নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাগদাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বাবিলের গভর্নর সালমান আল-জারগানি গতকাল পদত্যাগ করেছেন। এ মাসে তাঁকে নিয়ে তিনজন গভর্নর পদত্যাগ করলেন। তাঁরা সবাই মালিকির স্টেট অব ল কোয়ালিশনের সদস্য। আল-জারগানি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'দুর্বল সরকারি পরিসেবা এবং রাস্তা বা সেতু নির্মাণের মতো প্রকল্পগুলো সম্পন্নে কারিগরি সংকটের কারণে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে বসরা ও কুতের গভর্নর পদত্যাগ করেন।'
আগামী শুক্রবার আবারও বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করছে ইরাকিরা। গত শুক্রবারও ১৭টি শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ১৬ জন নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়। সূত্র : এএফপি।
বিক্ষোভকারীরা ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এক বছর পূর্তির দিন ৪ মার্চ বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ওই নির্বাচনের পর ৯ মাস লাগে সরকার গঠন করতে। এখনো স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই নানামুখী সংস্কারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ইরাক। তারা সরকারের দুর্বল পরিসেবা, দুর্নীতি এবং চাকরির দাবিতে ক্ষোভ দেখাচ্ছে।
মালিকির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'প্রধানমন্ত্রী এক শ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এরপর সরকার ও মন্ত্রণালয়গুলোর কাজ পর্যালোচনা করা হবে। যাতে করে প্রত্যেক ব্যক্তির কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।' গত রবিবার থেকেই দিন গোনা শুরু হয়েছে। 'এই পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করেই মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হবে।' দুর্নীতি মোকাবিলায়ও নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাগদাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বাবিলের গভর্নর সালমান আল-জারগানি গতকাল পদত্যাগ করেছেন। এ মাসে তাঁকে নিয়ে তিনজন গভর্নর পদত্যাগ করলেন। তাঁরা সবাই মালিকির স্টেট অব ল কোয়ালিশনের সদস্য। আল-জারগানি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'দুর্বল সরকারি পরিসেবা এবং রাস্তা বা সেতু নির্মাণের মতো প্রকল্পগুলো সম্পন্নে কারিগরি সংকটের কারণে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে বসরা ও কুতের গভর্নর পদত্যাগ করেন।'
আগামী শুক্রবার আবারও বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করছে ইরাকিরা। গত শুক্রবারও ১৭টি শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ১৬ জন নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়। সূত্র : এএফপি।
No comments