১৮ দলের পাঁচ শতাধিক নেতা কর্মী আটক, আহত ৬ শতাধিক- বিএনপি নেতার দাবি
শনিবার থেকে রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সারাদেশে ১৮ দলীয় জোটের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
দাবি বিএনপি নেতাদের। হরতাল শেষে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিগত চার বছরে সরকারের কোন সফলতাও নেই। চার বছর সম্পর্কে বিএনপির মূল্যায়ন হলোÑ মানুষের নিরাপত্তা নেই, মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দেশ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেনÑ ৮ জানুয়ারি ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিক মজুমদারকে হত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে ঢাকা মহানগর বিএনপি। ওয়ান-ইলেভেনের বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে দলটি। হরতাল সফল করায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে অভিনন্দনও জানান তিনি। তবে সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষে সার্বিক বিষয় তিনি তুলে ধরলেও বিএনপি ছাড়া জোটের শরিক নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। হরতাল চলাকালে দিনভর মগবাজারে জামায়াতের কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ। কার্যালয়ের চারপাশ ঘিরে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
হরতালে আটক ও আহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল জানান, কর্মসূচী চলাকালে সারাদেশে বিএনপির তিন শ’ নেতাকমীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আহত হয়েছেন ৩৫০ নেতাকর্মী। এ ছাড়া জামায়াতের ৫৭ জন আটক, ৩৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার থেকে হিসাব করলে ১৮ দলীয় জোটের ৫ শতাধিক কর্মীকে আটক ও ৬ শতাধিক কর্মীকে আহত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনার সংলাপ নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে তরিকুল বলেন, সংলাপ তো হতেই হবে। কিন্তু অনানুষ্ঠানিক সংলাপ হচ্ছে বললে কোথায় হচ্ছে তা তিনি (মজেনা) জানেন। আমরা জানি না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যদি সংলাপ করে থাকেন, তাহলে নেত্রী (খালেদা) বলেই দিয়েছেন, সেটা সংলাপ নয়, ষড়যন্ত্র।
অর্থমন্ত্রীর আইন করে হরতাল বন্ধের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলাম বলেন, অর্থমন্ত্রীর বয়স ৮০ বছরের ওপরে। আমরা তাঁর কথায় কিছু মনে করি না। সরকারের চার বছরের সাফল্যকে ম্লান করার জন্য হরতাল ডাকা হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, তাদের চার বছরের সাফল্য হলো পদ্মা সেতু ও হলমার্ক দুর্নীতি আর শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা। তাদের আমলে দেশ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। খুন গুম ধর্ষণ এত বেড়েছে যে, তাদের সফলতা মাইক্রোস্কোপে দেখতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো অন্য বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের যে আওয়াজ আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দিয়েছেন তার জবাবে তরিকুল বলেন, তিনি বটতলার মন্ত্রী। অনেক কিছুই বলতে পারেন। এতে কিছুই যায়-আসে না। আমরা তো রেডি। তরিকুল আরও বলেন, এ সরকার অগণতান্ত্রিক উপায়ে তেলের দাম বাড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদরাও বলেছেন, এর কোন প্রয়োজন ছিল না। উন্নয়নের ললিত বাণী শুনিয়ে এ সরকার মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। রফিক মজুমদার হত্যার জন্য সরকারের প্রতিই অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন তরিকুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম, আশিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হিরা, শাম্মী আক্তার, নিলোফার চৌধুরী মনি প্রমুখ।
সরকারের লোকেরাই গাড়ি পোড়াচ্ছেÑ দাবি বিএনপির ॥ হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন পোড়ানোর ঘটনায় বিরোধী দলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বিএনপি বলেছে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিতে সরকারের লোকজন এসব ঘটাচ্ছে। সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ হরতাল করছি। সেখানেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। আমাদের কার্যালয় তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সরকার এভাবে গণতন্ত্রকে খাঁচার বন্দী করে রেখেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার পর তরিকুল ইসলাম পুলিশ বেষ্টনী ডিঙ্গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রধান ফটকের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত রাতে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত নন। সরকারের এজেন্টরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। হরতালের মধ্যেও সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। বিএনপি কর্মীরা তাতে বাধা সৃষ্টি করছে না। তবে অধিকাংশ যানবাহনই বের হয়নি। দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। এই হরতাল স্বতঃস্ফূর্ত, এটাই তার প্রমাণ।
দাবি বিএনপি নেতাদের। হরতাল শেষে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিগত চার বছরে সরকারের কোন সফলতাও নেই। চার বছর সম্পর্কে বিএনপির মূল্যায়ন হলোÑ মানুষের নিরাপত্তা নেই, মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দেশ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেনÑ ৮ জানুয়ারি ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিক মজুমদারকে হত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে ঢাকা মহানগর বিএনপি। ওয়ান-ইলেভেনের বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে দলটি। হরতাল সফল করায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে অভিনন্দনও জানান তিনি। তবে সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষে সার্বিক বিষয় তিনি তুলে ধরলেও বিএনপি ছাড়া জোটের শরিক নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। হরতাল চলাকালে দিনভর মগবাজারে জামায়াতের কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ। কার্যালয়ের চারপাশ ঘিরে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
হরতালে আটক ও আহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল জানান, কর্মসূচী চলাকালে সারাদেশে বিএনপির তিন শ’ নেতাকমীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আহত হয়েছেন ৩৫০ নেতাকর্মী। এ ছাড়া জামায়াতের ৫৭ জন আটক, ৩৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার থেকে হিসাব করলে ১৮ দলীয় জোটের ৫ শতাধিক কর্মীকে আটক ও ৬ শতাধিক কর্মীকে আহত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনার সংলাপ নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে তরিকুল বলেন, সংলাপ তো হতেই হবে। কিন্তু অনানুষ্ঠানিক সংলাপ হচ্ছে বললে কোথায় হচ্ছে তা তিনি (মজেনা) জানেন। আমরা জানি না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যদি সংলাপ করে থাকেন, তাহলে নেত্রী (খালেদা) বলেই দিয়েছেন, সেটা সংলাপ নয়, ষড়যন্ত্র।
অর্থমন্ত্রীর আইন করে হরতাল বন্ধের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলাম বলেন, অর্থমন্ত্রীর বয়স ৮০ বছরের ওপরে। আমরা তাঁর কথায় কিছু মনে করি না। সরকারের চার বছরের সাফল্যকে ম্লান করার জন্য হরতাল ডাকা হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, তাদের চার বছরের সাফল্য হলো পদ্মা সেতু ও হলমার্ক দুর্নীতি আর শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা। তাদের আমলে দেশ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। খুন গুম ধর্ষণ এত বেড়েছে যে, তাদের সফলতা মাইক্রোস্কোপে দেখতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো অন্য বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের যে আওয়াজ আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দিয়েছেন তার জবাবে তরিকুল বলেন, তিনি বটতলার মন্ত্রী। অনেক কিছুই বলতে পারেন। এতে কিছুই যায়-আসে না। আমরা তো রেডি। তরিকুল আরও বলেন, এ সরকার অগণতান্ত্রিক উপায়ে তেলের দাম বাড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদরাও বলেছেন, এর কোন প্রয়োজন ছিল না। উন্নয়নের ললিত বাণী শুনিয়ে এ সরকার মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। রফিক মজুমদার হত্যার জন্য সরকারের প্রতিই অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন তরিকুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম, আশিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হিরা, শাম্মী আক্তার, নিলোফার চৌধুরী মনি প্রমুখ।
সরকারের লোকেরাই গাড়ি পোড়াচ্ছেÑ দাবি বিএনপির ॥ হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন পোড়ানোর ঘটনায় বিরোধী দলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বিএনপি বলেছে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিতে সরকারের লোকজন এসব ঘটাচ্ছে। সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ হরতাল করছি। সেখানেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। আমাদের কার্যালয় তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সরকার এভাবে গণতন্ত্রকে খাঁচার বন্দী করে রেখেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার পর তরিকুল ইসলাম পুলিশ বেষ্টনী ডিঙ্গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রধান ফটকের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত রাতে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত নন। সরকারের এজেন্টরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। হরতালের মধ্যেও সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। বিএনপি কর্মীরা তাতে বাধা সৃষ্টি করছে না। তবে অধিকাংশ যানবাহনই বের হয়নি। দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। এই হরতাল স্বতঃস্ফূর্ত, এটাই তার প্রমাণ।
No comments