অকাল গর্ভমোচনের লক্ষণ শনাক্ত
অকাল গর্ভমোচন বা বারবার গর্ভপাতের (রিপিটেড মিসকারেজ) লক্ষণ হিসেবে একটি বিশেষ ধরনের সংকেত শনাক্ত করেছেন একদল বিজ্ঞানী। প্রাথমিক পর্যায়ে গঠিত ভ্রূণ গর্ভাশয়ে স্থাপিত হয়েছে কি না, তা এ সংকেতের মাধ্যমে জানা সম্ভব।
অকাল গর্ভমোচনের ক্ষেত্রে এ সংকেতের অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। গবেষণাটি করেছেন ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষণা নিবন্ধটি বিজ্ঞান সাময়িকী প্লস ওয়ান-এ প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অকাল গর্ভমোচনের ক্ষেত্রে এ রাসায়নিক সংকেতের পেছনে কাজ করে আইএল-৩৩ নামের একধরনের জৈব অণু। এ গবেষণার ফলাফল ব্যবহার করে কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি বা ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে, যা বারবার গর্ভমোচন রোধ করতে পারবে।সাধারণ অবস্থায় গর্ভধারণের শুরুতে নিষিক্ত ভ্রূণ অবশ্যই জরায়ুর ভেতরের উপরিস্তরে গেঁথে যায়। প্রতিটি রজঃচক্রের কয়েক দিন সময় থাকে এটি জরায়ুতে প্রবেশের। তবে ভ্রূণটি অবশ্যই একটি সঠিক সময়ে জরায়ুতে যেতে হবে। বিজ্ঞানীরা জরায়ু থেকে কোষ সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে এর বৃদ্ধি ঘটান। তাঁরা দেখতে পান, ভ্রূণ গ্রহণের পর্যায়ে কোষ থেকে আইএল-৩৩ নামের রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা ওই কোষের আশপাশের কাজকেও প্রভাবিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভপাতের সম্মুখীন হয়েছেন এমন নারীর শরীরে আইএল-৩৩-এর উপস্থিতির কারণে সংকেতের তারতম্য ঘটে। সায়েন্স ডেইলি।
পাঠকের মন্তব্য
No comments