কুড়ির সাজ
ত্বক কুড়িতে আমাদের স্কিন-গঠন পরিপূর্ণতার দিকে পা বাড়ায়। এ সময় ত্বকের যত্ন যত স্বাভাবিকভাবে করা যায় ততই মঙ্গল। পার্লারে এ অধিক দৌড়াদৌড়ি না করে যতদূর সম্ভব বাসায় বসে করাই ভাল।
প্রাকৃতিক ও ভেষজ দ্রব্যের ব্যবহার ত্বকের স্বাভাবিক গঠন ও সৌন্দর্য রৰায় বেশি কাজ দেবে। চন্দন, বেসন, দুধের সর, দই, নানাবিধ লেবু, ফলের রস, নিমপাতা গুঁড়া ইত্যাদি ত্বক অনুযায়ী প্যাক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। গোলাপ জল একটি অতি উত্তম ফ্রেশেনর যা কিনা ত্বকের আদর্্রতা রৰা করে।চুল
স্বাভাবিকভাবে কুড়ি বয়সের মেয়েদের চুলের অবস্থা খুবই ভাল থাকে। এ ৰেত্রে চুলের স্বাভাবিক পরিচর্যাই করা উচিত। এ সময় চুলের যত যত্ন করবে, চুল ততই ভাল থাকবে। নিয়মিত চুলের গোড়ায় তেল ম্যাসাজ সরষফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া, গরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল মোছা সবই এ যত্নের মধ্যে পড়ে। মোট কথা চুল খুব পরিষ্কার রাখতে হবে, সম্ভব হলে নিয়ম করে কোন ভাল পার্লারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট, হট অয়েল ম্যাসাজ ইত্যাদি করে নেবেন।
খাবার
ত্বক বা চুল, যা-ই বলুন না কেন দুটোর জন্য সব থেকে প্রথম প্রয়োজন হচ্ছে, পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ। অতিরিক্ত, ঝাল মশলাযুক্ত এবং চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে মাছ, সবজি, প্রাকৃতিক পানীয়, ফল ইত্যাদি।
মেক আপ
কুড়ি-একুশের মেকাপ হবে একেবারেই হাল্কা, স্বাভাবিক। এ সময় ত্বক সাধারণত থাকে মোলায়েম ও মসৃণ। সে জন্য ভারি ফাউন্ডেশন না দিয়ে হাল্কা পাউডারের প্রলেপ, হাল্কা করে আই পেন্সিল এবং খুব লাইট লিপস্টিক লাগালে ভাল দেখাবে। রাতের পার্টিতে এসবই এক কোর্ট গাঢ় করে দিতে পারেন।
হেয়ার স্টাইল
খোলা চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্যই এই বয়স ও পোশাকের সঙ্গে মানানসই। এ ছাড়া পোনিটেল, স্টাইলিং কিপ দিয়ে চুল আইকালে, স্পাইয়াল এ বয়সের সঙ্গে যায়।
কুড়ি/একুশ বয়সের মেয়েদের যাদের ত্বক একটু স্পর্শকাতর কিংবা যাদের ত্বকে কোন সমস্যা আছে তারা ভাল পার্লারে গিয়ে প্রসিদ্ধ রূপ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। এসব পার্লারে এ ধরনের ত্বকের জন্য বিশেষ ফেসিয়ালের ব্যবস্থা আছে।
No comments